[4:155]
অতএব, তারা যে
শাস্তিপ্রাপ্ত
হয়েছিল, তা ছিল তাদেরই অঙ্গীকার
ভঙ্গর জন্য এবং
অন্যায়ভাবে রসূলগণকে
হত্যা করার কারণে
এবং তাদের এই উক্তির
দরুন যে, আমাদের হৃদয় আচ্ছন্ন। অবশ্য
তা নয়, বরং
কুফরীর কারণে স্বয়ং আল্লাহ
তাদের অন্তরের
উপর মোহর এঁটে
দিয়েছেন। ফলে এরা
ঈমান আনে না কিন্তু
অতি অল্পসংখ্যক।
[4:156]
আর তাদের
কুফরী এবং মরিয়মের
প্রতি মহা অপবাদ
আরোপ করার কারণে।
[4:157]
আর তাদের
একথা বলার কারণে
যে, আমরা মরিয়ম
পুত্র ঈসা মসীহকে
হত্যা করেছি যিনি
ছিলেন আল্লাহর
রসূল। অথচ তারা না
তাঁকে হত্যা করেছে, আর না শুলীতে
চড়িয়েছে, বরং তারা এরূপ
ধাঁধায় পতিত হয়েছিল। বস্তুতঃ
তারা এ ব্যাপারে নানা রকম
কথা বলে, তারা এক্ষেত্রে
সন্দেহের মাঝে
পড়ে আছে, শুধুমাত্র অনুমান
করা ছাড়া তারা
এ বিষয়ে কোন খবরই
রাখে না। আর নিশ্চয়ই
তাঁকে তারা হত্যা
করেনি।
[4:158]
বরং তাঁকে
উঠিয়ে নিয়েছেন
আল্লাহ তা’আলা নিজের
কাছে। আর আল্লাহ
হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
[4:159]
আর আহলে-কিতাবদের
মধ্যে যত শ্রেণী
রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে
ঈসার উপর তাদের
মৃত্যুর পূর্বে। আর কেয়ামতের
দিন তাদের জন্য
সাক্ষীর উপর সাক্ষী
উপস্থিত হবে।
[4:160]
বস্তুতঃ
ইহুদীদের জন্য
আমি হারাম করে
দিয়েছি বহু পূত-পবিত্র
বস্তু যা তাদের
জন্য হালাল ছিল-তাদের
পাপের কারণে এবং
আল্লাহর পথে অধিক পরিমাণে
বাধা দানের দরুন।
[4:161]
আর এ কারণে
যে, তারা সুদ
গ্রহণ করত, অথচ এ
ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা
আরোপ করা হয়েছিল
এবং এ কারণে যে, তারা অপরের
সম্পদ ভোগ করতো অন্যায়
ভাবে। বস্তুত; আমি কাফেরদের
জন্য তৈরী করে
রেখেছি বেদনাদায়ক
আযাব।
[4:162]
কিন্তু
যারা তাদের মধ্যে
জ্ঞানপক্ক ও ঈমানদার, তারা তাও মান্য
করে যা আপনার উপর
অবতীর্ণ হয়েছে
এবং যা অবতীর্ণ
হয়েছে আপনার পূর্বে। আর যারা
নামাযে অনুবর্তিতা
পালনকারী, যারা যাকাত
দানকারী এবং যারা
আল্লাহ ও কেয়ামতে
আস্থাশীল। বস্তুতঃ
এমন লোকদেরকে
আমি দান করবো
মহাপুণ্য।