[5:114]
ঈসা ইবনে
মরিয়ম বললেনঃ হে
আল্লাহ আমাদের
পালনকর্তা আমাদের
প্রতি আকাশ থেকে
খাদ্যভর্তি খাঞ্চা
অবতরণ করুন। তা আমাদের
জন্যে অর্থাৎ, আমাদের
প্রথম ও পরবর্তী
সবার জন্যে আনন্দোৎসব
হবে এবং আপনার
পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন
হবে। আপনি
আমাদের রুযী দিন। আপনিই
শ্রেষ্ট রুযীদাতা।
[5:115]
আল্লাহ
বললেনঃ নিশ্চয়
আমি সে খাঞ্চা
তোমাদের প্রতি অবতরণ
করব। অতঃপর
যে ব্যাক্তি এর
পরেও অকৃতজ্ঞ হবে, আমি তাকে
এমন শাস্তি দেব, যে শাস্তি
বিশ্বজগতের অপর
কাউকে দেব না।
[5:116]
যখন আল্লাহ
বললেনঃ হে ঈসা
ইবনে মরিয়ম! তুমি
কি লোকদেরকে বলে
দিয়েছিলে যে, আল্লাহকে
ছেড়ে আমাকে ও আমার
মাতাকে উপাস্য
সাব্যস্ত কর? ঈসা বলবেন; আপনি পবিত্র!
আমার জন্যে শোভা
পায় না যে, আমি এমন
কথা বলি, যা বলার কোন
অধিকার আমার নেই। যদি আমি
বলে থাকি, তবে আপনি
অবশ্যই পরিজ্ঞাত; আপনি তো আমার
মনের কথা ও জানেন
এবং আমি জানি না
যা আপনার মনে আছে। নিশ্চয়
আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে
জ্ঞাত।
[5:117]
আমি তো
তাদেরকে কিছুই
বলিনি, শুধু সে কথাই বলেছি
যা আপনি বলতে আদেশ
করেছিলেন যে, তোমরা
আল্লাহর দাসত্ব
অবলম্বন কর যিনি
আমার ও তোমাদের
পালনকর্তা আমি
তাদের সম্পর্কে
অবগত ছিলাম যতদিন
তাদের মধ্যে ছিলাম। অতঃপর
যখন আপনি আমাকে
লোকান্তরিত করলেন, তখন থেকে
আপনিই তাদের সম্পর্কে
অবগত রয়েছেন। আপনি সর্ববিষয়ে
পূর্ণ পরিজ্ঞাত।
[5:118]
যদি আপনি
তাদেরকে শাস্তি
দেন, তবে তারা
আপনার দাস এবং যদি আপনি
তাদেরকে ক্ষমা
করেন, তবে
আপনিই পরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞ।
[5:119]
আল্লাহ
বললেনঃ আজকের দিনে
সত্যবাদীদের সত্যবাদিতা তাদের
উপকারে আসবে। তাদের
জন্যে উদ্যান রয়েছে, যার তলদেশে
নির্ঝরিনী প্রবাহিত হবে; তারা তাতেই
চিরকাল থাকবে। আল্লাহ
তাদের প্রতি সন্তুষ্ট। এটিই মহান
সফলতা।
[5:120]
নভোমন্ডল, ভূমন্ডল
এবং এতদুভয়ে অবস্থিত
সবকিছুর আধিপত্য
আল্লাহরই। তিনি সবকিছুর
উপর ক্ষমতাবান।