[6:36]
তারাই
মানে, যারা
শ্রবণ করে। আল্লাহ
মৃতদেরকে জীবিত করে উত্থিত
করবেন। অতঃপর তারা
তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত
হবে।
[6:37]
তারা
বলেঃ তার প্রতি
তার পালনকর্তার
পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন
অবতীর্ণ হয়নি কেন? বলে দিনঃ
আল্লাহ নিদর্শন
অবতরণ করতে পূর্ন
সক্ষম; কিন্তু তাদের
অধিকাংশই জানে
না।
[6:38]
আর যত
প্রকার প্রাণী
পৃথিবীতে বিচরণশীল
রয়েছে এবং যত প্রকার
পাখী দু’ ডানাযোগে উড়ে
বেড়ায় তারা সবাই
তোমাদের মতই একেকটি
শ্রেণী। আমি কোন কিছু
লিখতে ছাড়িনি। অতঃপর
সবাই স্বীয় প্রতিপালকের
কাছে সমবেত হবে।
[6:39]
যারা
আমার নিদর্শনসমূহকে
মিথ্যা বলে, তারা অন্ধকারের মধ্যে
মূক ও বধির। আল্লাহ
যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট
করেন এবং যাকে
ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত
করেন।
[6:40]
বলুন, বলতো
দেখি, যদি
তোমাদের উপর আল্লাহর
শাস্তি পতিত হয়
কিংবা তোমাদের
কাছে কিয়ামত এসে
যায়, তবে তোমরা
কি আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে
ডাকবে যদি তোমরা
সত্যবাদী হও।
[6:41]
বরং তোমরা
তো তাঁকেই ডাকবে। অতঃপর
যে বিপদের জন্যে তাঁকে
ডাকবে, তিনি ইচ্ছা করলে
তা দুরও করে দেন। যাদেরকে
অংশীদার করছ, তখন তাদেরকে
ভুলে যাবে।
[6:42]
আর আমি
আপনার পূর্ববর্তী
উম্মতদের প্রতিও
পয়গম্বর প্রেরণ
করেছিলাম। অতঃপর
আমি তাদেরকে অভাব-অনটন
ও রোগ-ব্যধি দ্বারা
পাকড়াও করেছিলাম
যাতে তারা কাকুতি
মিনতি করে।
[6:43]
অতঃপর
তাদের কাছে যখন
আমার আযাব আসল, তখন কেন কাকুতি-মিনতি
করল না ? বস্তুতঃ তাদের
অন্তর কঠোর হয়ে
গেল এবং শয়তান
তাদের কাছে সুশোভিত
করে দেখাল, যে কাজ
তারা করছিল।
[6:44]
অতঃপর
তারা যখন ঐ উপদেশ
ভুলে গেল, যা তাদেরকে
দেয়া হয়েছিল, তখন আমি
তাদের সামনে সব
কিছুর দ্বার উম্মুক্ত
করে দিলাম। এমনকি, যখন তাদেরকে
প্রদত্ত বিষয়াদির
জন্যে তারা খুব
গর্বিত হয়ে পড়ল, তখন আমি
অকস্মাৎ তাদেরকে
পাকড়াও করলাম। তখন তারা
নিরাশ হয়ে গেল।