[6:119]
কোন
কারণে তোমরা এমন
জন্তু থেকে ভক্ষণ
করবে না, যার উপর আল্লাহর
নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আল্লাহ
ঐ সব জন্তুর বিশদ
বিবরণ দিয়েছেন, যেগুলোকে
তোমাদের জন্যে
হারাম করেছেন; কিন্তু
সেগুলোও তোমাদের
জন্যে হালাল, যখন তোমরা
নিরুপায় হয়ে যাও। অনেক লোক
স্বীয় ভ্রান্ত
প্রবৃত্তি দ্বারা
না জেনে বিপথগামী
করতে থাকে। আপনার
প্রতিপালক সীমাতিক্রম
কারীদেরকে যথার্থই
জানেন।
[6:120]
তোমরা
প্রকাশ্য ও প্রচ্ছন্ন
গোনাহ পরিত্যাগ
কর। নিশ্চয়
যারা গোনাহ করেছে, তারা অতিসত্বর
তাদের কৃতকর্মের
শাস্তি পাবে।
[6:121]
যেসব
জন্তুর উপর আল্লাহর
নাম উচ্চারিত হয়
না, সেগুলো থেকে ভক্ষণ
করো না; এ ভক্ষণ করা গোনাহ। নিশ্চয়
শয়তানরা তাদের
বন্ধুদেরকে প্রত্যাদেশ
করে-যেন তারা তোমাদের
সাথে তর্ক করে। যদি তোমরা
তাদের আনুগত্য
কর, তোমরাও
মুশরেক হয়ে যাবে।
[6:122]
আর যে
মৃত ছিল অতঃপর
আমি তাকে জীবিত
করেছি এবং তাকে এমন একটি
আলো দিয়েছি, যা নিয়ে
সে মানুষের মধ্যে
চলাফেরা করে। সে কি
ঐ ব্যক্তির সমতুল্য
হতে পারে, যে অন্ধকারে
রয়েছে-সেখান থেকে
বের হতে পারছে
না? এমনিভাবে কাফেরদের
দৃষ্টিতে তাদের
কাজকর্মকে সুশোভিত
করে দেয়া হয়েছে।
[6:123]
আর এমনিভাবে
আমি প্রত্যেক জনপদে
অপরাধীদের জন্য
কিছু সর্দার নিয়োগ
করেছি-যেন তারা
সেখানে চক্রান্ত
করে। তাদের
সে চক্রান্ত তাদের নিজেদের
বিরুদ্ধেই; কিন্তু
তারা তা উপলব্ধি
করতে পারে না।
[6:124]
যখন তাদের
কাছে কোন আয়াত
পৌঁছে, তখন বলে, আমরা কখনই মানব না
যে, পর্যন্ত
না আমরাও তা প্রদত্ত
হই, যা আল্লাহর
রসূলগণ প্রদত্ত
হয়েছেন। আল্লাহ
এ বিষয়ে সুপারিজ্ঞাত
যে, কোথায়
স্বীয় পয়গাম প্রেরণ
করতে হবে। যারা অপরাধ করছে, তারা অতিসত্বর
আল্লাহর কাছে পৌছে
লাঞ্ছনা ও কঠোর
শাস্তি পাবে, তাদের চক্রান্তের
কারণে।