[7:138]
বস্তুতঃ
আমি সাগর পার করে
দিয়েছি বনী-ইসরাঈলদিগকে। তখন তারা
এমন এক সম্প্রদায়ের
কাছে গিয়ে পৌছাল, যারা স্বহস্তনির্মিত
মূর্তিপুজায় নিয়োজিত
ছিল। তারা
বলতে লাগল, হে মূসা; আমাদের
উপাসনার জন্যও
তাদের মূর্তির
মতই একটি মূর্তি
নির্মাণ করে দিন। তিনি বললেন, তোমাদের
মধ্যে বড়ই অজ্ঞতা
রয়েছে।
[7:139]
এরা যে, কাজে নিয়োজিত
রয়েছে তা ধ্বংস
হবে এবং যা কিছু তারা
করেছে তা যে ভুল!
[7:140]
তিনি
বললেন, তাহলে কি আল্লাহকে
ছাড়া তোমাদের
জন্য অন্য কোন
উপাস্য অনুসন্ধান
করব, অথচ তিনিই
তোমাদিগকে সারা
বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।
[7:141]
আর সে
সময়ের কথা স্মরণ
কর, যখন আমি
তোমাদেরকে ফেরাউনের
লোকদের কবল থেকে
মুক্তি দিয়েছি; তারা তোমাদেরকে
দিত নিকৃষ্ট শাস্তি, তোমাদের
পুত্র-সন্তানদের
মেরে ফেলত এবং
মেয়েদের বাঁচিয়ে
রাখত। এতে তোমাদের প্রতি
তোমাদের পরওয়ারদেগারের
বিরাট পরীক্ষা
রয়েছে।
[7:142]
আর আমি
মূসাকে প্রতিশ্রুতি
দিয়েছি ত্রিশ রাত্রির
এবং সেগুলোকে
পূর্ন করেছি আরো
দশ দ্বারা। বস্তুতঃ
এভাবে চল্লিশ রাতের
মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেছে। আর মূসা
তাঁর ভাই হারুনকে
বললেন, আমার সম্প্রদায়ে
তুমি আমার প্রতিনিধি হিসাবে
থাক। তাদের
সংশোধন করতে থাক
এবং হাঙ্গামা সৃষ্টিকারীদের
পথে চলো না।
[7:143]
তারপর
মূসা যখন আমার
প্রতিশ্রুত সময়
অনুযায়ী এসে হাযির
হলেন এবং তাঁর
সাথে তার পরওয়ারদেগার
কথা বললেন, তখন তিনি
বললেন, হে আমার প্রভু, তোমার
দীদার আমাকে দাও, যেন আমি
তোমাকে দেখতে
পাই। তিনি
বললেন, তুমি আমাকে কস্মিনকালেও
দেখতে পাবে না, তবে তুমি
পাহাড়ের দিকে দেখতে
থাক, সেটি যদি স্বস্থানে
দঁড়িয়ে থাকে তবে
তুমিও আমাকে দেখতে
পাবে। তারপর যখন
তার পরওয়ারদগার পাহাড়ের
উপর আপন জ্যোতির
বিকিরণ ঘটালেন, সেটিকে
বিধ্বস্ত করে দিলেন
এবং মূসা অজ্ঞান
হয়ে পড়ে গেলেন। অতঃপর
যখন তাঁর জ্ঞান
ফিরে এল; বললেন, হে প্রভু! তোমার সত্তা
পবিত্র, তোমার দরবারে
আমি তওবা করছি
এবং আমিই সর্বপ্রথম
বিশ্বাস স্থাপন করছি।