[8:70]
হে নবী, তাদেরকে
বলে দাও, যারা তোমার হাতে
বন্দী হয়ে আছে যে, আল্লাহ
যদি তোমাদের অন্তরে
কোন রকম মঙ্গলচিন্তা
রয়েছে বলে জানেন, তবে তোমাদেরকে
তার চেয়ে বহুগুণ
বেশী দান করবেন
যা তোমাদের কাছ
থেকে বিনিময়ে নেয়া হয়েছে। তাছাড়া
তোমাদেরকে তিনি
ক্ষমা করে দিবেন। বস্তুতঃ
আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।
[8:71]
আর যদি
তারা তোমার সাথে
প্রতারণা করতে
চায়-বস্তুতঃ তারা আল্লাহর
সাথেও ইতিপূর্বে
প্রতারণা করেছে, অতঃপর
তিনি তাদেরকে ধরিয়ে দিয়েছেন। আর আল্লাহ
সর্ববিষয়ে পরিজ্ঞাত, সুকৌশলী।
[8:72]
এতে কোন
সন্দেহ নেই যে, যারা ঈমান
এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে, স্বীয়
জান ও মাল দ্বারা
আল্লাহর রাহে জেহাদ
করেছে এবং যারা
তাদেরকে আশ্রয় ও সাহায্য
সহায়তা দিয়েছে, তারা একে
অপরের সহায়ক। আর যারা
ঈমান এনেছে কিন্তু
দেশ ত্যাগ করেনি
তাদের বন্ধুত্বে
তোমাদের প্রয়োজন
নেই যতক্ষণ না
তারা দেশত্যাগ করে। অবশ্য
যদি তারা ধর্মীয়
ব্যাপারে তোমাদের
সহায়তা কামনা করে, তবে তাদের সাহায্য
করা তোমাদের কর্তব্য। কিন্তু
তোমাদের সাথে
যাদের সহযোগী
চুক্তি বিদ্যমান
রয়েছে, তাদের মোকাবেলায়
নয়।
বস্তুতঃ
তোমরা যা কিছু
কর, আল্লাহ
সেসবই দেখেন।
[8:73]
আর যারা
কাফের তারা পারস্পরিক
সহযোগী, বন্ধু। তোমরা যদি এমন
ব্যবস্থা না কর, তবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা
বিস্তার লাভ করবে
এবং দেশময় বড়ই অকল্যাণ
হবে।
[8:74]
আর যারা
ঈমান এনেছে, নিজেদের
ঘর-বাড়ী ছেড়েছে
এবং আল্লাহর রাহে
জেহাদ করেছে এবং
যারা তাদেরকে আশ্রয়
দিয়েছে, সাহায্য-সহায়তা
করেছে, তাঁরা হলো সত্যিকার
মুসলমান। তাঁদের
জন্যে রয়েছে, ক্ষমা
ও সম্মানজনক রুযী।
[8:75]
আর যারা
ঈমান এনেছে পরবর্তী
পর্যায়ে এবং ঘর-বাড়ী ছেড়েছে
এবং তোমাদের সাথে
সম্মিলিত হয়ে জেহাদ
করেছে, তারাও তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত। বস্তুতঃ
যারা আত্নীয়, আল্লাহর
বিধান মতে তারা
পরস্পর বেশী হকদার। নিশ্চয়ই
আল্লাহ যাবতীয়
বিষয়ে সক্ষম ও
অবগত।