[9:73]
হে নবী, কাফেরদের
সাথে যুদ্ধ করুন
এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের
সাথে কঠোরতা অবলম্বন
করুন। তাদের ঠিকানা
হল দোযখ এবং তাহল
নিকৃষ্ট ঠিকানা।
[9:74]
তারা
কসম খায় যে, আমরা বলিনি, অথচ নিঃসন্দেহে
তারা বলেছে কুফরী
বাক্য এবং মুসলমান
হবার পর অস্বীকৃতিজ্ঞাপনকারী
হয়েছে। আর তারা কামনা
করেছিল এমন বস্তুর
যা তারা প্রাপ্ত
হয়নি। আর এসব তারই
পরিণতি ছিল যে, আল্লাহ
ও তাঁর রসূল তাদেরকে
সম্পদশালী করে
দিয়েছিলেন নিজের
অনুগ্রহের মাধ্যমে। বস্তুতঃ
এরা যদি তওবা করে
নেয়, তবে তাদের
জন্য মঙ্গল। আর যদি
তা না মানে, তবে তাদের
কে আযাব দেবেন
আল্লাহ তা’আলা, বেদনাদায়ক
আযাব দুনিয়া ও
আখেরাতে। অতএব, বিশ্বচরাচরে
তাদের জন্য কোন
সাহায্যকারী-সমর্থক
নেই।
[9:75]
তাদের
মধ্যে কেউ কেউ
রয়েছে যারা আল্লাহ
তা’আলার সাথে ওয়াদা
করেছিল যে, তিনি যদি
আমাদের প্রতি অনুগ্রহ
দান করেন, তবে অবশ্যই
আমরা ব্যয় করব এবং
সৎকর্মীদের
অন্তর্ভুক্ত হয়ে
থাকব।
[9:76]
অতঃপর
যখন তাদেরকে স্বীয়
অনুগ্রহের মাধ্যমে
দান করা হয়, তখন তাতে
কার্পণ্য করেছে
এবং কৃত ওয়াদা
থেকে ফিরে গেছে
তা ভেঙ্গে দিয়ে।
[9:77]
তারপর
এরই পরিণতিতে তাদের
অন্তরে কপটতা স্থান
করে নিয়েছে সেদিন
পর্যন্ত, যেদিন তার
তাঁর সাথে গিয়ে
মিলবে। তা এজন্য যে, তারা আল্লাহর
সাথে কৃত ওয়াদা
লংঘন করেছিল এবং
এজন্যে যে, তারা মিথ্যা
কথা বলতো।
[9:78]
তারা
কি জেনে নেয়নি
যে, আল্লাহ
তাদের রহস্য ও শলা-পরামর্শ
সম্পর্কে অবগত
এবং আল্লাহ খুব
ভাল করেই জানেন
সমস্ত গোপন বিষয়
?
[9:79]
সে সমস্ত
লোক যারা ভৎর্সনা-বিদ্রূপ
করে সেসব মুসলমানদের
প্রতি যারা মন
খুলে দান-খয়রাত
করে এবং তাদের
প্রতি যাদের কিছুই
নেই শুধুমাত্র
নিজের পরিশ্রমলব্দ
বস্তু ছাড়া। অতঃপর
তাদের প্রতি ঠাট্টা
করে। আল্লাহ তাদের
প্রতি ঠাট্টা করেছেন
এবং তাদের জন্য
রয়েছে বেদনাদায়ক
আযাব।