[10:7]
অবশ্যই
যেসব লোক আমার
সাক্ষাৎ লাভের
আশা রাখে না এবং পার্থিব
জীবন নিয়েই উৎফুল্ল
রয়েছে, তাতেই প্রশান্তি
অনুভব করেছে এবং
যারা আমার নির্দশনসমূহ
সম্পর্কে বেখবর।
[10:8]
এমন লোকদের
ঠিকানা হল আগুন
সেসবের বদলা হিসাবে
যা তারা অর্জন করছিল।
[10:9]
অবশ্য
যেসব লোক ঈমান
এনেছে এবং সৎকাজ
করেছে, তাদেরকে হেদায়েত
দান করবেন তাদের
পালনকর্তা, তাদের
ঈমানের মাধ্যমে। এমন সুসময় কানন-কুঞ্জের
প্রতি যার তলদেশে
প্রবাহিত হয় প্রস্রবণসমূহ।
[10:10]
সেখানে
তাদের প্রার্থনা
হল ‘পবিত্র
তোমার সত্তা হে আল্লাহ’। আর শুভেচ্ছা
হল সালাম আর তাদের
প্রার্থনার সমাপ্তি
হয়, ‘সমস্ত
প্রশংসা বিশ্বপালক
আল্লাহর জন্য’ বলে।
[10:11]
আর যদি
আল্লাহ তা’আলা মানুষকে
যথাশীঘ্র অকল্যাণ
পৌঁছে দেন যতশীঘ্র
তার কামনা করে, তাহলে
তাদের আশাই শেষ
করে দিতে হত। সুতরাং
যাদের মনে আমার সাক্ষাতের
আশা নেই, আমি তাদেরকে তাদের
দুষ্টুমিতে ব্যতিব্যস্ত
ছেড়ে দিয়ে রাখি।
[10:12]
আর যখন
মানুষ কষ্টের সম্মুখীন
হয়, শুয়ে বসে, দাঁড়িয়ে আমাকে
ডাকতে থাকে। তারপর
আমি যখন তা থেকে
মুক্ত করে দেই, সে কষ্ট
যখন চলে যায় তখন মনে
হয় কখনো কোন
কষ্টেরই সম্মুখীন
হয়ে যেন আমাকে
ডাকেইনি। এমনিভাবে
মনঃপুত হয়েছে
নির্ভয় লোকদের
যা তারা করেছে।
[10:13]
অবশ্য
তোমাদের পূর্বে
বহু দলকে ধ্বংস
করে দিয়েছি, তখন তারা
জালেম হয়ে গেছে। অথচ রসূল
তাদের কাছেও এসব
বিষয়ের প্রকৃষ্ট
নির্দেশ নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু
কিছুতেই তারা ঈমান
আনল না। এমনিভাবে আমি
শাস্তি দিয়ে থাকি পাপি সম্প্রদায়কে।
[10:14]
অতঃপর
আমি তোমাদেরকে
যমীনে তাদের পর
প্রতিনিধি বানিয়েছি
যাতে দেখতে পারি
তোমরা কি কর।