[10:15]
আর যখন
তাদের কাছে আমার
প্রকৃষ্ট আয়াত
সমূহ পাঠ করা হয়, তখন সে
সমস্ত লোক বলে, যাদের
আশা নেই আমার সাক্ষাতের, নিয়ে এসো
কোন কোরআন এটি
ছাড়া, অথবা
একে পরিবর্তিত
করে দাও। তাহলে
বলে দাও, একে নিজের পক্ষ থেকে পরিবর্তিত
করা আমার কাজ নয়। আমি সে
নির্দেশেরই আনুগত্য
করি, যা আমার
কাছে আসে। আমি যদি
স্বীয় পরওয়ারদেগারের
নাফরমানী করি, তবে কঠিন
দিবসের আযাবের
ভয় করি।
[10:16]
বলে দাও, যদি আল্লাহ
চাইতেন, তবে আমি এটি তোমাদের সামনে
পড়তাম না, আর নাইবা
তিনি তোমাদেরেকে
অবহিত করতেন এ
সম্পর্কে। কারণ আমি তোমাদের
মাঝে ইতিপূর্বেও
একটা বয়স অতিবাহিত
করেছি। তারপরেও কি
তোমরা চিন্তা করবে না?
[10:17]
অতঃপর
তার চেয়ে বড় জালেম, কে হবে, যে আল্লাহর
প্রতি অপবাদ আরোপ
করেছে কিংবা তাঁর
আয়াতসমূহকে মিথ্যা
বলে অভিহিত করছে? কস্মিনকালেও পাপীদের
কোন কল্যাণ হয়
না।
[10:18]
আর উপাসনা
করে আল্লাহকে বাদ
দিয়ে এমন বস্তুর, যা না তাদের
কোন ক্ষতিসাধন
করতে পারে, না লাভ
এবং বলে, এরা তো আল্লাহর
কাছে আমাদের সুপারিশকারী। তুমি বল, তোমরা
কি আল্লাহকে এমন
বিষয়ে অবহিত করছ, যে সম্পর্কে তিনি অবহিত
নন আসমান ও যমীনের
মাঝে ? তিনি
পুতঃপবিত্র ও মহান
সে সমস্ত থেকে
যাকে তোমরা শরীক
করছ।
[10:19]
আর সমস্ত
মানুষ একই উম্মতভুক্ত
ছিল, পরে পৃথক
হয়ে গেছে। আর একটি
কথা যদি তোমার
পরওয়ারদেগারের
পক্ষ থেকে পূর্ব
নির্ধারিত না হয়ে যেত; তবে তারা
যে বিষয়ে বিরোধ
করছে তার মীমাংসা
হয়ে যেত।
[10:20]
বস্তুতঃ
তারা বলে, তাঁর কাছে
তাঁর পরওয়ারদেগারের
পক্ষ থেকে কোন
নির্দেশ এল না
কেন? বলে দাও
গায়েবের কথা আল্লাহই
জানেন। আমি ও তোমাদের
সাথে অপেক্ষায়
রইলাম।