[10:34]
বল, আছে কি
কেউ তোমাদের শরীকদের
মাঝে যে সৃষ্টি
কে পয়দা করতে পারে
এবং আবার জীবিত
করতে পারে? বল, আল্লাহই
প্রথমবার সৃষ্টি
করেন এবং অতঃপর
তার পুনরুদ্ভব
করবেন। অতএব, কোথায়
ঘুরপাক খাচ্ছে?
[10:35]
জিজ্ঞেস
কর, আছে কি
কেউ তোমাদের শরীকদের
মধ্যে যে সত্য-সঠিক
পথ প্রদর্শন করবে? বল, আল্লাহই
সত্য-সঠিক পথ প্রদর্শন
করেন, সুতরাং এমন যে
লোক সঠিক পথ দেখাবে
তার কথা মান্য
করা কিংবা যে লোক
নিজে নিজে পথ খুঁজে পায় না, তাকে পথ
দেখানো কর্তব্য। অতএব, তোমাদের
কি হল, কেমন
তোমাদের বিচার?
[10:36]
বস্তুতঃ
তাদের অধিকাংশই
শুধু আন্দাজ-অনুমানের
উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান
সত্যের বেলায় কোন
কাজেই আসে না। আল্লাহ
ভাল করেই জানেন, তারা যা
কিছু করে।
[10:37]
আর কোরআন
সে জিনিস নয় যে, আল্লাহ
ব্যতীত কেউ তা বানিয়ে
নেবে। অবশ্য এটি
পূর্ববর্তী কালামের
সত্যায়ন করে এবং
সে সমস্ত বিষয়ের বিশ্লেষণ
দান করে যা তোমার
প্রতি দেয়া হয়েছে, যাতে কোন
সন্দেহ নেই-তোমার বিশ্বপালনকর্তার
পক্ষ থেকে।
[10:38]
মানুষ
কি বলে যে, এটি বানিয়ে
এনেছ? বলে
দাও, তোমরা নিয়ে এসো
একটিই সূরা, আর ডেকে
নাও, যাদেরকে
নিতে সক্ষম হও
আল্লাহ ব্যতীত, যদি তোমরা
সত্যবাদী হয়ে থাক।
[10:39]
কিন্তু
কথা হল এই যে, তারা মিথ্যা
প্রতিপন্ন করতে আরম্ভ
করেছে যাকে বুঝতে, তারা অক্ষম। অথচ এখনো
এর বিশ্লেষণ আসেনি। এমনিভাবে মিথ্যা
প্রতিপন্ন করেছে
তাদের পূর্ববর্তীরা। অতএব, লক্ষ্য
করে দেখ, কেমন হয়েছে পরিণতি।
[10:40]
আর তাদের
মধ্যে কেউ কেউ
কোরআনকে বিশ্বাস
করবে এবং কেউ কেউ
বিশ্বাস করবে না। বস্তুতঃ
তোমার পরওয়ারদেগার
যথার্থই জানেন দুরাচারদিগকে।
[10:41]
আর যদি
তোমাকে মিথ্যা
প্রতিপন্ন করে, তবে বল, আমার জন্য আমার
কর্ম, আর
তোমাদের জন্য
তোমাদের কর্ম। তোমাদের
দায়-দায়িত্ব নেই
আমার কর্মের উপর
এবং আমারও দায়-দায়িত্ব
নেই তোমরা যা
কর সেজন্য।
[10:42]
তাদের
কেউ কেউ কান রাখে
তোমাদের প্রতি; তুমি বধিরদেরকে
কি শোনাবে যদি
তাদের বিবেক-বুদ্ধি
না থাকে!