[11:13]
তারা
কি বলে? কোরআন তুমি তৈরী
করেছ? তুমি
বল, তবে তোমরাও
অনুরূপ দশটি সূরা
তৈরী করে নিয়ে
আস এবং আল্লাহ
ছাড়া যাকে পার
ডেকে নাও, যদি তোমাদের
কথা সত্য হয়ে থাকে।
[11:14]
অতঃপর
তারা যদি তোমাদের
কথা পুরণ করতে
অপারগ হয়; তবে জেনে রাখ, এটি আল্লাহর
এলম দ্বারা অবতীর্ণ
হয়েছে; আরো একীন করে
নাও যে, আল্লাহ ব্যতীত
অন্য কোন মাবুদ
নেই। অতএব, এখন কি
তোমরা আত্নসমর্পন
করবে?
[11:15]
যে ব্যক্তি
পার্থিবজীবন ও
তার চাকচিক্যই
কামনা করে, হয় আমি
তাদের দুনিয়াতেই
তাদের আমলের প্রতিফল
ভোগ করিয়ে দেব
এবং তাতে তাদের প্রতি
কিছুমাত্র কমতি
করা হয় না।
[11:16]
এরাই
হল সেসব লোক আখেরাতে
যাদের জন্য আগুন
ছাড়া নেই। তারা এখানে
যা কিছু করেছিল
সবই বরবাদ করেছে; আর যা
কিছু উপার্জন করেছিল, সবই বিনষ্ট
হল।
[11:17]
আচ্ছা
বল তো, যে ব্যক্তি তার
প্রভুর সুস্পষ্ট
পথে রয়েছে, আর সাথে
সাথে আল্লাহর তরফ
থেকে একটি সাক্ষীও
বর্তমান রয়েছে
এবং তার পূর্ববর্তী
মূসা (আঃ) এর কিতাবও
সাক্ষী যা ছিল
পথনির্দেশক ও রহমত
স্বরূপ, (তিনি কি অন্যান্যের
সমান) অতএব তাঁরা
কোরআনের প্রতি
ঈমান আনেন। আর ঐসব
দলগুলি যে কেউ তা অস্বীকার
করে, দোযখই
হবে তার ঠিকানা। অতএব, আপনি তাতে
কোন সন্দেহে থাকবেন না। নিঃসন্দেহে
তা আপনার পালনকর্তার
পক্ষ হতে ধ্রুব
সত্য; তথাপি
অনেকেই তা বিশ্বাস
করে না।
[11:18]
আর তাদের
চেয়ে বড় যালেম
কে হতে পারে, যারা আল্লাহর প্রতি
মিথ্যারোপ করে। এসব লোককে
তাদের পালনকর্তার
সাক্ষাত সম্মূখীন
করা হবে আর সাক্ষিগণ
বলতে থাকবে, এরাই ঐসব
লোক, যারা
তাদের পালনকর্তার
প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল। শুনে রাখ, যালেমদের
উপর আল্লাহর অভিসম্পাত
রয়েছে।
[11:19]
যারা
আল্লাহর পথে বাধা
দেয়, আর তাতে
বক্রতা খুজে বেড়ায়, এরাই আখরাতকে
অস্বীকার করে।