[11:109]
অতএব, তারা যেসবের
উপাসনা করে তুমি
সে ব্যাপারে কোনরূপ
ধোঁকায় পড়বে না। তাদের
পূর্ববর্তী বাপ-দাদারা
যেমন পূজা উপাসনা
করত, এরাও তেমন
করছে। আর নিশ্চয়
আমি তাদেরকে আযাবের
ভাগ কিছু মাত্রও
কম না করেই পুরোপুরি
দান করবো।
[11:110]
আর আমি
মূসা (আঃ)-কে অবশ্যই
কিতাব দিয়েছিলাম
অতঃপর তাতে বিরোধ
সৃষ্টি হল; বলাবাহুল্য
তোমার পালনকর্তার
পক্ষ হতে, একটি কথা
যদি আগেই বলা না
হত, তাহলে
তাদের মধ্যে চুড়ান্ত
ফয়সালা হয়ে যেত
তারা এ ব্যাপারে
এমনই সন্দেহ প্রবণ
যে, কিছুতেই
নিশ্চিত হতে পারছে
না।
[11:111]
আর যত
লোকই হোক না
কেন, যখন সময়
হবে, তোমার
প্রভু তাদের সকলেরই
আমলের প্রতিদান
পুরোপুরি দান
করবেন। নিশ্চয় তিনি
তাদের যাবতীয় কার্যকলাপের
খবর রাখেন।
[11:112]
অতএব, তুমি এবং
তোমার সাথে যারা
তওবা করেছে সবাই সোজা
পথে চলে যাও-যেমন
তোমায় হুকুম দেয়া
হয়েছে এবং সীমা
লঙ্ঘন করবে না, তোমরা যা কিছু
করছ, নিশ্চয়
তিনি তার প্রতি
দৃষ্টি রাখেন।
[11:113]
আর পাপিষ্ঠদের
প্রতি ঝুঁকবে না। নতুবা
তোমাদেরকেও আগুনে
ধরবে। আর আল্লাহ
ব্যতীত তোমাদের
কোন বন্ধু নাই। অতএব কোথাও
সাহায্য পাবে না।
[11:114]
আর দিনের
দুই প্রান্তেই
নামায ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে
পূর্ণ কাজ অবশ্যই
পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ
রাখে তাদের জন্য
এটি এক মহা স্মারক।
[11:115]
আর ধৈর্য্যধারণ
কর, নিশ্চয়ই
আল্লাহ পূণ্যবানদের প্রতিদান
বিনষ্ট করেন না।
[11:116]
কাজেই, তোমাদের
পূর্ববতী জাতি
গুলির মধ্যে এমন সৎকর্মশীল
কেন রইল না, যারা পৃথিবীতে
বিপর্যয় সৃষ্টি
করতে বাধা দিত; তবে মুষ্টিমেয়
লোক ছিল যাদেরকে
আমি তাদের মধ্য
হতে রক্ষা করেছি। আর পাপিষ্ঠরা
তো ভোগ বিলাসে
মত্ত ছিল যার সামগ্রী
তাদেরকে যথেষ্ট
দেয়া হয়েছিল। আসলে তারা
ছিল মহা অপরাধী।
[11:117]
আর তোমার
পালনকর্তা এমন
নন যে, জনবসতিগুলোকে অন্যায়ভাবে
ধ্বংস করে দেবেন, সেখানকার
লোকেরা সৎকর্মশীল
হওয়া সত্ত্বেও।