[12:23]
আর সে
যে মহিলার ঘরে
ছিল, ঐ মহিলা
তাকে ফুসলাতে লাগল এবং দরজাসমূহ
বন্ধ করে দিল। সে মহিলা
বললঃ শুন! তোমাকে
বলছি, এদিকে
আস, সে বললঃ আল্লাহ
রক্ষা করুন; তোমার
স্বামী আমার মালিক। তিনি আমাকে
সযত্নে থাকতে দিয়েছেন। নিশ্চয়
সীমা লংঘনকারীগণ
সফল হয় না।
[12:24]
নিশ্চয়
মহিলা তার বিষয়ে
চিন্তা করেছিল
এবং সেও মহিলার বিষয়ে
চিন্তা করত। যদি না
সে স্বীয় পালনকর্তার
মহিমা অবলোকন
করত। এমনিবাবে হয়েছে, যাতে আমি
তার কাছ থেকে মন্দ
বিষয় ও নিলজ্জ
বিষয় সরিয়ে দেই। নিশ্চয়
সে আমার মনোনীত
বান্দাদের একজন।
[12:25]
তারা
উভয়ে ছুটে দরজার
দিকে গেল এবং মহিলা
ইউসুফের জামা পিছন
দিক থেকে ছিঁড়ে
ফেলল। উভয়ে মহিলার
স্বামীকে দরজার
কাছে পেল। মহিলা বললঃ যে
ব্যক্তি তোমার
পরিজনের সাথে কুকর্মের
ইচ্ছা করে, তাকে কারাগারে
পাঠানো অথবা অন্য
কোন যন্ত্রণাদায়ক
শাস্তি দেয়া ছাড়া
তার আর কি শাস্তি
হতে পারে?
[12:26]
ইউসুফ
(আঃ) বললেন, সেই আমাকে
আত্মসংবরণ না করতে ফুসলিয়েছে। মহিলার
পরিবারে জনৈক সাক্ষী
দিল যে, যদি তার জামা সামনের
দিক থেকে ছিন্ন
থাকে, তবে
মহিলা সত্যবাদিনী
এবং সে মিথ্যাবাদি।
[12:27]
এবং যদি
তার জামা পেছনের
দিক থেকে ছিন্ন
থাকে, তবে মহিলা
মিথ্যাবাদিনী
এবং সে সত্যবাদী।
[12:28]
অতঃপর
গৃহস্বামী যখন
দেখল যে, তার জামা পেছন
দিক থেকে ছিন্ন, তখন সে
বলল, নিশ্চয়
এটা তোমাদের ছলনা। নিঃসন্দেহে
তোমাদের ছলনা
খুবই মারাত্নক।
[12:29]
ইউসুফ
এ প্রসঙগ ছাড়! আর
হে নারী, এ পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা
কর নিঃসন্দেহে
তুমি-ই পাপাচারিনী।
[12:30]
নগরে
মহিলারা বলাবলি
করতে লাগল যে, আযীযের
স্ত্রী স্বীয়
গোলামকে কুমতলব
চরিতার্থ করার
জন্য ফুসলায়। সে তার
প্রেমে উম্মত্ত
হয়ে গেছে। আমরা তো
তাকে প্রকাশ্য
ভ্রান্তিতে দেখতে
পাচ্ছি।