[12:44]
তারা
বললঃ এটা কল্পনাপ্রসূত
স্বপ্ন। এরূপ স্বপ্নের ব্যাখ্যা
আমাদের জানা নেই।
[12:45]
দু’জন কারারুদ্ধের
মধ্য থেকে যে ব্যক্তি
মুক্তি পেয়েছিল
এবং দীর্ঘকাল পর
স্মরণ হলে, সে বলল, আমি তোমাদেরকে
এর ব্যাখ্যা বলছি। তোমরা
আমাকে প্রেরণ কর।
[12:46]
সে তথায়
পৌঁছে বললঃ হে
ইউসুফ! হে সত্যবাদী!
সাতটি মোটাতাজা
গাভী-তাদেরকে খাচ্ছে
সাতটি শীর্ণ গাভী
এবং সাতটি সবুজ
শীর্ষ ও অন্যগুলো
শুষ্ক; আপনি আমাদেরকে
এ স্বপ্ন সম্পর্কে
পথনির্দেশ প্রদান
করুনঃ যাতে আমি তাদের
কাছে ফিরে গিয়ে
তাদের অবগত করাতে
পারি।
[12:47]
বললঃ
তোমরা সাত বছর
উত্তম রূপে চাষাবাদ
করবে। অতঃপর যা কাটবে, তার মধ্যে
যে সামান্য পরিমাণ
তোমরা খাবে তা
ছাড়া অবশিষ্ট শস্য
শীষ সমেত রেখে
দেবে।
[12:48]
এবং এরপরে
আসবে দূর্ভিক্ষের
সাত বছর; তোমরা এ দিনের জন্যে
যা রেখেছিলে, তা খেয়ে
যাবে, কিন্তু
অল্প পরিমাণ ব্যতীত, যা তোমরা
তুলে রাখবে।
[12:49]
এর পরেই
আসবে একবছর-এতে
মানুষের উপর বৃষ্টি
বর্ষিত হবে এবং
এতে তারা রস নিঙড়াবে।
[12:50]
বাদশাহ
বললঃ ফিরে যাও
তোমাদের প্রভুর
কাছে এবং জিজ্ঞেস
কর তাকে ঐ মহিলার
স্বরূপ কি, যারা স্বীয়
হস্ত কর্তন করেছিল!
আমার পালনকর্তা
তো তাদের ছলনা
সবই জানেন।
[12:51]
বাদশাহ
মহিলাদেরকে বললেনঃ
তোমাদের হাল-হাকিকত
কি, যখন তোমরা
ইউসুফকে আত্মসংবরণ
থেকে ফুসলিয়েছিলে? তারা বললঃ
আল্লাহ মহান, আমরা তার সম্পর্কে
মন্দ কিছু জানি
না।
আযীয-পত্মি
বললঃ এখন সত্য
কথা প্রকাশ হয়ে
গেছে। আমিই তাকে
আত্মসংবরণ থেকে
ফুসলিয়েছিলাম
এবং সে সত্যবাদী।
[12:52]
ইউসুফ
বললেনঃ এটা এজন্য, যাতে আযীয
জেনে নেয় যে, আমি গোপনে
তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা
করিনি। আরও এই যে, আল্লাহ
বিশ্বাসঘাতকদের প্রতারণাকে
এগুতে দেন না।