[2:164]
নিশ্চয়ই
আসমান ও যমীনের
সৃষ্টিতে, রাত ও
দিনের বিবর্তনে
এবং নদীতে নৌকাসমূহের
চলাচলে মানুষের
জন্য কল্যাণ রয়েছে। আর আল্লাহ তা’ আলা আকাশ
থেকে যে পানি নাযিল
করেছেন, তদ্দ্বারা মৃত
যমীনকে সজীব করে
তুলেছেন এবং তাতে
ছড়িয়ে দিয়েছেন
সবরকম জীব-জন্তু। আর আবহাওয়া
পরিবর্তনে এবং
মেঘমালার যা তাঁরই
হুকুমের অধীনে
আসমান ও যমীনের
মাঝে বিচরণ করে, নিশ্চয়ই
সে সমস্ত বিষয়ের মাঝে নিদর্শন
রয়েছে বুদ্ধিমান
সম্প্রদায়ের জন্যে।
[2:165]
আর কোন
লোক এমনও রয়েছে
যারা অন্যান্যকে
আল্লাহর সমকক্ষ
সাব্যস্ত করে এবং
তাদের প্রতি তেমনি
ভালবাসা পোষণ
করে, যেমন আল্লাহর প্রতি
ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু
যারা আল্লাহর প্রতি
ঈমানদার তাদের
ভালবাসা ওদের তুলনায়
বহুগুণ বেশী। আর কতইনা
উত্তম হ’ত যদি এ জালেমরা
পার্থিব কোন কোন
আযাব প্রত্যক্ষ
করেই উপলব্ধি করে
নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা
শুধুমাত্র আল্লাহরই
জন্য এবং আল্লাহর
আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর।
[2:166]
অনুসৃতরা
যখন অনুসরণকারীদের
প্রতি অসন্তুষ্ট
হয়ে যাবে এবং যখন
আযাব প্রত্যক্ষ
করবে আর বিচ্ছিন্ন
হয়ে যাবে তাদের
পারস্পরিক সমস্ত সম্পর্ক।
[2:167]
এবং অনুসারীরা
বলবে, কতইনা
ভাল হত, যদি আমাদিগকে পৃথিবীতে
ফিরে যাবার সুযোগ
দেয়া হত। তাহলে
আমরাও তাদের প্রতি
তেমনি অসন্তুষ্ট হয়ে যেতাম, যেমন তারা
অসন্তুষ্ট হয়েছে
আমাদের প্রতি। এভাবেই
আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে
দেখাবেন তাদের
কৃতকর্ম তাদেরকে
অনুতপ্ত করার জন্যে। অথচ, তারা কস্মিনকালেও
আগুন থেকে বের
হতে পারবে না।
[2:168]
হে মানব
মন্ডলী, পৃথিবীর হালাল
ও পবিত্র বস্তু-সামগ্রী
ভক্ষন কর। আর শয়তানের
পদাঙ্ক অনুসরণ
করো না। সে নিঃসন্দেহে তোমাদের
প্রকাশ্য শত্রু।
[2:169]
সে তো
এ নির্দেশই তোমাদিগকে
দেবে যে, তোমরা অন্যায় ও অশ্লীল
কাজ করতে থাক এবং
আল্লাহর প্রতি
এমন সব বিষয়ে মিথ্যারোপ
কর যা তোমরা জান না।