[13:14]
সত্যের
আহবান একমাত্র
তাঁরই এবং তাকে
ছাড়া যাদেরকে ডাকে, তারা তাদের
কোন কাজে আসে
না; ওদের দৃষ্টান্ত
সেরূপ, যেমন কেউ দু’ হাত পানির
দিকে প্রসারিত
করে যাতে পানি
তার মুখে পৌঁছে
যায়। অথচ
পানি কোন সময় পৌঁছাবে
না।
কাফেরদের
যত আহবান তার সবই
পথভ্রষ্টতা।
[13:15]
আল্লাহকে
সেজদা করে যা কিছু
নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে
আছে ইচ্ছায় অথবা
অনিচ্ছায় এবং তাদের
প্রতিচ্ছায়াও
সকাল-সন্ধ্যায়। [ Sajdah ]
[13:16]
জিজ্ঞেস
করুন নভোমন্ডল
ও ভুমন্ডলের পালনকর্তা
কে? বলে দিনঃ
আল্লাহ! বলুনঃ
তবে কি তোমরা
আল্লাহ ব্যতীত
এমন অভিভাবক স্থির
করেছ, যারা
নিজেদের ভাল-মন্দের
ও মালিক নয়? বলুনঃ
অন্ধ চক্ষুষ্মান
কি সমান হয়? অথবা কোথাও
কি অন্ধকার ও আলো
সমান হয়। তবে কি
তারা আল্লাহর জন্য
এমন অংশীদার স্থির করেছে
যে, তারা কিছু
সৃষ্টি করেছে, যেমন সৃষ্টি
করেছেন আল্লাহ? অতঃপর
তাদের সৃষ্টি এরূপ
বিভ্রান্তি ঘটিয়েছে? বলুনঃ
আল্লাহই প্রত্যেক
বস্তুর স্রষ্টা
এবং তিনি একক, পরাক্রমশালী।
[13:17]
তিনি
আকাশ থেকে পানি
বর্ষণ করেন। অতঃপর
স্রোতধারা প্রবাহিত
হতে থাকে নিজ নিজ
পরিমাণ অনুযায়ী। অতঃপর
স্রোতধারা স্ফীত
ফেনারাশি উপরে নিয়ে
আসে। এবং
অলঙ্কার অথবা তৈজসপত্রের
জন্যে যে বস্তুকে
আগুনে উত্তপ্ত করে, তাতেও
তেমনি ফেনারাশি
থাকে। এমনি ভাবে
আল্লাহ সত্য ও
অসত্যের দৃষ্টান্ত প্রদান
করেন। অতএব, ফেনা তো
শুকিয়ে খতম হয়ে
যায় এবং যা মানুষের
উপকারে আসে, তা জমিতে
অবশিষ্ট থাকে। আল্লাহ
এমনিভাবে দৃষ্টান্তসমূহ
বর্ণনা করেন।
[13:18]
যারা
পালনকর্তার আদেশ
পালন করে, তাদের
জন্য উত্তম প্রতিদান
রয়েছে এবং যারা
আদেশ পালন করে
না, যদি তাদের
কাছে জগতের সবকিছু
থাকে এবং তার সাথে
তার সমপরিমাণ আরও
থাকে, তবে
সবই নিজেদের মুক্তিপণ
স্বরূপ দিয়ে দেবে। তাদের
জন্যে রয়েছে কঠোর
হিসাব। তাদের আবাস
হবে জাহান্নাম। সেটা কতইনা নিকৃষ্ট
অবস্থান।