[16:73]
তারা
আল্লাহ ব্যতীত
এমন বস্তুর ইবাদত
করে, যে তাদের জন্যে
ভুমন্ডল ও নভোমন্ডল
থেকে সামান্য রুযী
দেওয়ার ও অধিকার
রাখে না এবং মুক্তি
ও রাখে না।
[16:74]
অতএব, আল্লাহর
কোন সদৃশ সাব্যস্ত
করো না, নিশ্চয় আল্লাহ
জানেন এবং তোমরা
জান না।
[16:75]
আল্লাহ
একটি দৃষ্টান্ত
বর্ণনা করেছেন, অপরের মালিকানাধীন
গোলামের যে, কোন কিছুর
উপর শক্তি রাখে
না এবং এমন একজন
যাকে আমি নিজের
পক্ষ থেকে চমৎকার
রুযী দিয়েছি। অতএব, সে তা
থেকে ব্যয় করে
গোপনে ও প্রকাশ্যে
উভয়ে কি সমান হয়? সব প্রশংসা
আল্লাহর, কিন্তু অনেক
মানুষ জানে না।
[16:76]
আল্লাহ
আরেকটি দৃষ্টান্ত
বর্ণনা করেছেন, দু’ব্যক্তির, একজন বোবা
কোন কাজ করতে
পারে না। সে মালিকের
উপর বোঝা। যেদিকে
তাকে পাঠায়, কোন সঠিক
কাজ করে আসে না। সে কি
সমান হবে ঐ ব্যক্তির, যে ন্যায়
বিচারের আদেশ করে এবং
সরল পথে কায়েম
রয়েছে।
[16:77]
নভোমন্ডল
ও ভূমন্ডলের গোপন
রহস্য আল্লাহর
কাছেই রয়েছে। কিয়ামতের
ব্যাপারটি তো
এমন, যেমন চোখের
পলক অথবা তার চাইতেও
নিকটবর্তী। নিশ্চয়
আল্লাহ সব কিছুর
উপর শক্তিমান।
[16:78]
আল্লাহ
তোমাদেরকে তোমাদের
মায়ের গর্ভ থেকে
বের করেছেন। তোমরা
কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদেরকে
কর্ণ, চক্ষু
ও অন্তর দিয়েছেন, যাতে তোমরা
অনুগ্রহ স্বীকার
কর।
[16:79]
তারা
কি উড়ন্ত পাখীকে
দেখে না? এগুলো আকাশের অন্তরীক্ষে
আজ্ঞাধীন রয়েছে। আল্লাহ
ছাড়া কেউ এগুলোকে
আগলে রাখে না। নিশ্চয়
এতে বিশ্বাসীদের
জন্যে নিদর্শনবলী
রয়েছে।