[2:182]
যদি কেউ
ওসীয়তকারীর পক্ষ
থেকে আশংকা করে পক্ষপাতিত্বের
অথবা কোন অপরাধমূলক
সিদ্ধান্তের এবং
তাদের মধ্যে মীমাংসা
করে দেয়, তবে তার কোন গোনাহ
হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ
তা’আলা ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
[2:183]
হে ঈমানদারগণ!
তোমাদের উপর রোজা
ফরয করা হয়েছে, যেরূপ
ফরজ করা হয়েছিল
তোমাদের পূর্ববর্তী
লোকদের উপর, যেন তোমরা
পরহেযগারী অর্জন
করতে পার।
[2:184]
গণনার
কয়েকটি দিনের জন্য
অতঃপর তোমাদের
মধ্যে যে, অসুখ থাকবে
অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে
অন্য সময়ে সে রোজা
পূরণ করে নিতে
হবে। আর এটি যাদের জন্য
অত্যন্ত কষ্ট দায়ক
হয়, তারা এর
পরিবর্তে একজন
মিসকীনকে খাদ্যদান
করবে। যে ব্যক্তি
খুশীর সাথে সৎকর্ম
করে, তা তার
জন্য কল্যাণ কর
হয়।
আর যদি রোজা
রাখ, তবে তোমাদের
জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা
তা বুঝতে পার।
[2:185]
রমযান
মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল
করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের
জন্য হেদায়েত এবং
সত্যপথ যাত্রীদের
জন্য সুষ্পষ্ট
পথ নির্দেশ আর ন্যায়
ও অন্যায়ের মাঝে
পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই
তোমাদের মধ্যে
যে লোক এ মাসটি
পাবে, সে
এ মাসের রোযা
রাখবে। আর যে লোক
অসুস্থ কিংবা মুসাফির
অবস্থায় থাকবে
সে অন্য দিনে গণনা
পূরণ করবে। আল্লাহ
তোমাদের জন্য
সহজ করতে চান; তোমাদের
জন্য জটিলতা কামনা
করেন না যাতে তোমরা
গণনা পূরণ কর এবং
তোমাদের হেদায়েত
দান করার দরুন
আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব
বর্ণনা কর, যাতে তোমরা
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
কর।
[2:186]
আর আমার
বান্দারা যখন তোমার
কাছে জিজ্ঞেস করে
আমার ব্যাপারে
বস্তুতঃ আমি রয়েছি
সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা
করে, তাদের
প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার
কাছে প্রার্থনা
করে। কাজেই
আমার হুকুম মান্য
করা এবং আমার প্রতি
নিঃসংশয়ে বিশ্বাস
করা তাদের একান্ত
কর্তব্য। যাতে তারা
সৎপথে আসতে
পারে।