[17:76]
তারা
তো আপনাকে এ ভুখন্ড
থেকে উৎখাত করে
দিতে চুড়ান্ত চেষ্টা
করেছিল যাতে আপনাকে
এখান থেকে বহিস্কার
করে দেয়া যায়। তখন তারাও আপনার
পর সেখানে অল্প
কালই মাত্র টিকে
থাকত।
[17:77]
আপনার
পূর্বে আমি যত
রসূল প্রেরণ করেছি, তাদের ক্ষেত্রেও
এরূপ নিয়ম ছিল। আপনি আমার
নিয়মের কোন ব্যতিক্রম
পাবেন না।
[17:78]
সূর্য
ঢলে পড়ার সময় থেকে
রাত্রির অন্ধকার
পর্যন্ত নামায
কায়েম করুন এবং
ফজরের কোরআন পাঠও। নিশ্চয়
ফজরের কোরআন পাঠ
মুখোমুখি হয়।
[17:79]
রাত্রির
কিছু অংশ কোরআন
পাঠ সহ জাগ্রত
থাকুন। এটা আপনার
জন্যে অতিরিক্ত। হয়ত বা
আপনার পালনকর্তা
আপনাকে মোকামে
মাহমুদে পৌঁছাবেন।
[17:80]
বলুনঃ
হে পালনকর্তা!
আমাকে দাখিল করুন
সত্যরূপে এবং আমাকে
বের করুন সত্যরূপে
এবং দান করুন আমাকে
নিজের কাছ থেকে
রাষ্ট্রীয় সাহায্য।
[17:81]
বলুনঃ
সত্য এসেছে এবং
মিথ্যা বিলুপ্ত
হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা
বিলুপ্ত হওয়ারই
ছিল।
[17:82]
আমি কোরআনে
এমন বিষয় নাযিল
করি যা রোগের
সুচিকিৎসা এবং মুমিনের
জন্য রহমত। গোনাহগারদের
তো এতে শুধু ক্ষতিই
বৃদ্ধি পায়।
[17:83]
আমি মানুষকে
নেয়ামত দান করলে
সে মুখ ফিরিয়ে
নেয় এবং অহংকারে
দুরে সরে যায়; যখন তাকে
কোন অনিষ্ট স্পর্শ
করে, তখন সে
একেবারে হতাশ হয়ে পড়ে।
[17:84]
বলুনঃ
প্রত্যেকেই নিজ
রীতি অনুযায়ী কাজ
করে। অতঃপর আপনার
পালনকর্তা বিশেষ
রূপে জানেন, কে সর্বাপেক্ষা
নির্ভূল পথে আছে।
[17:85]
তারা
আপনাকে রূহ সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ
রূহ আমার পালনকর্তার
আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে
তোমাদেরকে সামান্য
জ্ঞানই দান করা
হয়েছে।
[17:86]
আমি ইচ্ছা
করলে আপনার কাছে
ওহীর মাধমে যা
প্রেরণ করেছি
তা অবশ্যই প্রত্যাহার
করতে পারতাম। অতঃপর
আপনি নিজের জন্যে
তা আনয়নের ব্যাপারে
আমার মোকাবিলায়
কোন দায়িত্ব বহনকারী
পাবেন না।