[18:35]
নিজের
প্রতি জুলুম করে
সে তার বাগানে
প্রবেশ করল। সে বললঃ আমার
মনে হয় না যে, এ বাগান
কখনও ধ্বংস হয়ে
যাবে।
[18:36]
এবং আমি
মনে করি না যে, কেয়ামত
অনুষ্ঠিত হবে। যদি কখনও আমার
পালনকর্তার কাছে
আমাকে পৌঁছে দেয়া
হয়, তবে সেখানে
এর চাইতে উৎকৃষ্ট পাব।
[18:37]
তার সঙ্গী
তাকে কথা প্রসঙ্গে
বললঃ তুমি তাঁকে অস্বীকার
করছ, যিনি তোমাকে
সৃষ্টি করেছেন
মাটি থেকে, অতঃপর
বীর্য থেকে, অতঃপর র্পূনাঙ্গ
করেছেন তোমাকে
মানবাকৃতিতে?
[18:38]
কিন্তু
আমি তো একথাই
বলি, আল্লাহই
আমার পালনকর্তা এবং আমি
কাউকে আমার পালনকর্তার
শরীক মানি না।
[18:39]
যদি তুমি
আমাকে ধনে ও সন্তানে
তোমার চাইতে কম
দেখ, তবে যখন
তুমি তোমার বাগানে
প্রবেশ করলে, তখন একথা
কেন বললে না; আল্লাহ
যা চান, তাই হয়। আল্লাহর দেয়া
ব্যতীত কোন শক্তি
নেই।
[18:40]
আশাকরি
আমার পালকর্তা
আমাকে তোমার বাগান
অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর
কিছু দেবেন এবং
তার (তোমার বাগানের)
উপর আসমান থেকে
আগুন প্রেরণ করবেন। অতঃপর
সকাল বেলায় তা
পরিষ্কার ময়দান
হয়ে যাবে।
[18:41]
অথবা
সকালে তার পানি
শুকিয়ে যাবে। অতঃপর
তুমি তা তালাশ
করে আনতে পারবে
না।
[18:42]
অতঃপর
তার সব ফল ধ্বংস
হয়ে গেল এবং সে
তাতে যা ব্যয় করেছিল, তার জন্য
সকালে হাত কচলিয়ে
আক্ষেপ করতে লাগল। বাগনটি
কাঠসহ পুড়ে গিয়েছিল। সে বলতে
লাগলঃ হায়, আমি যদি
কাউকে আমার পালনকর্তার
সাথে শরীক না করতাম।
[18:43]
আল্লাহ
ব্যতীত তাকে সাহায্য
করার কোন লোক
হল না এবং সে নিজেও
প্রতিকার করতে
পারল না।
[18:44]
এরূপ
ক্ষেত্রে সব অধিকার
সত্য আল্লাহর। তারই পুরস্কার উত্তম
এবং তারই প্রদত্ত
প্রতিদান শ্রেষ্ঠ।
[18:45]
তাদের
কাছে পার্থিব জীবনের
উপমা বর্ণনা করুন। তা পানির
ন্যায়, যা আমি আকাশ থেকে
নাযিল করি। অতঃপর
এর সংমিশ্রণে শ্যামল
সবুজ ভূমিজ লতা-পাতা
নির্গত হয়; অতঃপর
তা এমন শুস্ক চুর্ণ-বিচুর্ণ
হয় যে, বাতাসে
উড়ে যায়। আল্লাহ
এ সবকিছুর উপর
শক্তিমান।