[2:191]
আর তাদেরকে
হত্যাকর যেখানে
পাও সেখানেই এবং
তাদেরকে বের করে
দাও সেখান থেকে
যেখান থেকে তারা
বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুতঃ
ফেতনা ফ্যাসাদ বা
দাঙ্গা-হাঙ্গামা
সৃষ্টি করা হত্যার
চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের
সাথে লড়াই করো
না মসজিদুল হারামের
নিকটে যতক্ষণ না
তারা তোমাদের
সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য
যদি তারা নিজেরাই
তোমাদের সাথে
লড়াই করে। তাহলে
তাদেরকে হত্যা
কর। এই হল
কাফেরদের শাস্তি।
[2:192]
আর তারা
যদি বিরত থাকে, তাহলে
আল্লাহ অত্যন্ত
দয়ালু।
[2:193]
আর তোমরা
তাদের সাথে লড়াই
কর, যে পর্যন্ত
না ফেতনার অবসান
হয় এবং আল্লাহর
দ্বীন প্রতিষ্ঠিত
হয়।
অতঃপর
যদি তারা নিবৃত
হয়ে যায় তাহলে কারো
প্রতি কোন জবরদস্তি
নেই, কিন্তু
যারা যালেম (তাদের
ব্যাপারে আলাদা)।
[2:194]
সম্মানিত
মাসই সম্মানিত
মাসের বদলা। আর সম্মান
রক্ষা করারও বদলা
রয়েছে। বস্তুতঃ যারা
তোমাদের উপর জবর
দস্তি করেছে, তোমরা
তাদের উপর জবরদস্তি
কর, যেমন জবরদস্তি
তারা করেছে তোমাদের
উপর। আর
তোমরা আল্লাহকে
ভয় কর এবং জেনে রাখ, যারা পরহেযগার, আল্লাহ
তাদের সাথে রয়েছেন।
[2:195]
আর ব্যয়
কর আল্লাহর পথে, তবে নিজের
জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন
করো না। আর মানুষের
প্রতি অনুগ্রহ
কর।
আল্লাহ
অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।
[2:196]
আর তোমরা
আল্লাহর উদ্দেশ্যে
হজ্জ্ব ওমরাহ পরিপূর্ণ ভাবে পালন
কর।
যদি তোমরা
বাধা প্রাপ্ত হও, তাহলে
কোরবানীর জন্য
যাকিছু সহজলভ্য, তাই তোমাদের
উপর ধার্য। আর তোমরা
ততক্ষণ পর্যন্ত
মাথা মুন্ডন করবে না, যতক্ষণ
না কোরবাণী যথাস্থানে
পৌছে যাবে। যারা তোমাদের
মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়বে কিংবা
মাথায় যদি কোন
কষ্ট থাকে, তাহলে
তার পরিবর্তে রোজা
করবে কিংবা খয়রাত
দেবে অথবা কুরবানী
করবে। আর তোমাদের
মধ্যে যারা হজ্জ্ব
ওমরাহ একত্রে একই সাথে পালন
করতে চাও, তবে যাকিছু
সহজলভ্য, তা দিয়ে কুরবানী
করাই তার উপর কর্তব্য। বস্তুতঃ
যারা কোরবানীর
পশু পাবে না, তারা হজ্জ্বের
দিনগুলোর মধ্যে
রোজা রাখবে তিনটি
আর সাতটি রোযা
রাখবে ফিরে যাবার
পর।
এভাবে
দশটি রোযা পূর্ণ
হয়ে যাবে। এ নির্দেশটি
তাদের জন্য, যাদের
পরিবার পরিজন মসজিদুল
হারামের আশে-পাশে
বসবাস করে না। আর আল্লাহকে
ভয় করতে থাক। সন্দেহাতীতভাবে
জেনো যে, আল্লাহর
আযাব বড়ই কঠিন।