[18:75]
তিনি
বললেনঃ আমি কি
বলিনি যে, আপনি আমার
সাথে ধৈর্য্য ধরে থাকতে
পারবেন না।
[18:76]
মূসা
বললেনঃ এরপর যদি
আমি আপনাকে কোন
বিষয়ে প্রশ্ন করি, তবে আপনি
আমাকে সাথে রাখবেন
না।
আপনি
আমার পক্ষ থেকে
অভিযোগ মুক্ত
হয়ে গেছেন।
[18:77]
অতঃপর
তারা চলতে লাগল, অবশেষে
যখন একটি জনপদের অধিবাসীদের
কাছে পৌছে তাদের
কাছে খাবার চাইল, তখন তারা
তাদের অতিথেয়তা
করতে অস্বীকার
করল। অতঃপর
তারা সেখানে একটি
পতনোম্মুখ প্রাচীর
দেখতে পেলেন, সেটি তিনি সোজা
করে দাঁড় করিয়ে
দিলেন। মূসা বললেনঃ
আপনি ইচ্ছা করলে
তাদের কাছ থেকে এর পারিশ্রমিক
আদায় করতে পারতেন।
[18:78]
তিনি
বললেনঃ এখানেই
আমার ও আপনার মধ্যে
সম্পর্কচ্ছেদ হল। এখন যে
বিষয়ে আপনি ধৈর্য্য
ধরতে পারেননি, আমি তার
তাৎপর্য বলে
দিচ্ছি।
[18:79]
নৌকাটির
ব্যাপারে-সেটি
ছিল কয়েকজন দরিদ্র
ব্যক্তির। তারা সমুদ্রে
জীবিকা অন্বেষন
করত। আমি
ইচ্ছা করলাম যে, সেটিকে
ক্রটিযুক্ত করে দেই। তাদের
অপরদিকে ছিল এক
বাদশাহ। সে বলপ্রয়োগে
প্রত্যেকটি নৌকা
ছিনিয়ে নিত।
[18:80]
বালকটির
ব্যাপার তার পিতা-মাতা
ছিল ঈমানদার। আমি আশঙ্কা
করলাম যে, সে অবাধ্যতা
ও কুফর দ্বারা
তাদেরকে প্রভাবিত
করবে।
[18:81]
অতঃপর
আমি ইচ্ছা করলাম
যে, তাদের
পালনকর্তা তাদেরকে মহত্তর, তার চাইতে
পবিত্রতায় ও ভালবাসায়
ঘনিষ্ঠতর একটি
শ্রেষ্ঠ সন্তান
দান করুক।
[18:82]
প্রাচীরের
ব্যাপার-সেটি ছিল
নগরের দুজন পিতৃহীন বালকের। এর নীচে
ছিল তাদের গুপ্তধন
এবং তাদের পিতা
ছিল সৎকর্ম পরায়ন। সুতরাং আপনার
পালনকর্তা দায়বশতঃ
ইচ্ছা করলেন যে, তারা যৌবনে
পদার্পন করুক এবং
নিজেদের গুপ্তধন
উদ্ধার করুক। আমি নিজ
মতে এটা করিনি। আপনি যে
বিষয়ে ধৈর্য্যধারণ
করতে অক্ষম হয়েছিলেন, এই হল
তার ব্যাখ্যা।
[18:83]
তারা
আপনাকে যুলকারনাইন
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করে। বলুনঃ আমি তোমাদের
কাছে তাঁর কিছু
অবস্থা বর্ণনা
করব।