[19:12]
হে ইয়াহইয়া
দৃঢ়তার সাথে এই
গ্রন্থ ধারণ কর। আমি তাকে শৈশবেই
বিচারবুদ্ধি দান
করেছিলাম।
[19:13]
এবং নিজের
পক্ষ থেকে আগ্রহ
ও পবিত্রতা দিয়েছি। সে ছিল পরহেযগার।
[19:14]
পিতা-মাতার
অনুগত এবং সে উদ্ধত, নাফরমান
ছিল না।
[19:15]
তার প্রতি
শান্তি-যেদিন সে
জন্মগ্রহণ করে
এবং যেদিন মৃত্যুবরণ
করবে এবং যেদিন
জীবিতাবস্থায়
পুনরুত্থিত হবে।
[19:16]
এই কিতাবে
মারইয়ামের কথা
বর্ণনা করুন, যখন সে
তার পরিবারের লোকজন
থেকে পৃথক হয়ে
পূর্বদিকে এক স্থানে
আশ্রয় নিল।
[19:17]
অতঃপর
তাদের থেকে নিজেকে
আড়াল করার জন্যে
সে পর্দা করলো। অতঃপর
আমি তার কাছে আমার
রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার
নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে
আত্নপ্রকাশ করল।
[19:18]
মারইয়াম
বললঃ আমি তোমা
থেকে দয়াময়ের আশ্রয়
প্রার্থনা করি যদি
তুমি আল্লাহভীরু
হও।
[19:19]
সে বললঃ
আমি তো শুধু তোমার
পালনকর্তা প্রেরিত, যাতে তোমাকে
এক পবিত্র পুত্র
দান করে যাব।
[19:20]
মরিইয়াম
বললঃ কিরূপে আমার
পুত্র হবে, যখন কোন
মানব আমাকে স্পর্শ
করেনি এবং আমি
ব্যভিচারিণীও
কখনও ছিলাম না
?
[19:21]
সে বললঃ
এমনিতেই হবে। তোমার
পালনকর্তা বলেছেন, এটা আমার জন্যে
সহজ সাধ্য এবং
আমি তাকে মানুষের
জন্যে একটি নিদর্শন
ও আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ
স্বরূপ করতে চাই। এটা তো
এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।
[19:22]
অতঃপর
তিনি গর্ভে সন্তান
ধারণ করলেন এবং
তৎসহ এক দূরবর্তী
স্থানে চলে গেলেন।
[19:23]
প্রসব
বেদনা তাঁকে এক
খেজুর বৃক্ষ-মূলে
আশ্রয় নিতে বাধ্য
করল। তিনি
বললেনঃ হায়, আমি যদি
কোনরূপে এর পূর্বে
মরে যেতাম এবং
মানুষের স্মৃতি
থেকে বিলুপ্ত হয়ে, যেতাম!
[19:24]
অতঃপর
ফেরেশতা তাকে নিম্নদিক
থেকে আওয়ায দিলেন
যে, তুমি দুঃখ
করো না। তোমার
পালনকর্তা তোমার
পায়ের তলায় একটি
নহর জারি করেছেন।
[19:25]
আর তুমি
নিজের দিকে খেজুর
গাছের কান্ডে নাড়া
দাও, তা থেকে তোমার
উপর সুপক্ক খেজুর
পতিত হবে।