[19:52]
আমি তাকে
আহবান করলাম তূর
পাহাড়ের ডান দিক
থেকে এবং গুঢ়তত্ত্ব
আলোচনার উদ্দেশে
তাকে নিকটবর্তী
করলাম।
[19:53]
আমি নিজ
অনুগ্রহে তাঁকে
দান করলাম তাঁর
ভাই হারুনকে নবীরূপে।
[19:54]
এই কিতাবে
ইসমাঈলের কথা বর্ণনা
করুন, তিনি প্রতিশ্রুতি
পালনে সত্যাশ্রয়ী
এবং তিনি ছিলেন
রসূল, নবী।
[19:55]
তিনি
তাঁর পরিবারবর্গকে
নামায ও যাকাত
আদায়ের নির্দেশ দিতেন
এবং তিনি তাঁর
পালনকর্তার কাছে
পছন্দনীয় ছিলেন।
[19:56]
এই কিতাবে
ইদ্রীসের কথা আলোচনা
করুন, তিনি
ছিলেন সত্যবাদী
নবী।
[19:57]
আমি তাকে
উচ্চে উন্নীত করেছিলাম।
[19:58]
এরাই
তারা-নবীগণের মধ্য
থেকে যাদেরকে আল্লাহ
তা’আলা নেয়ামত
দান করেছেন। এরা আদমের
বংশধর এবং যাদেরকে
আমি নূহের সাথে
নৌকায় আরোহন
করিয়েছিলাম, তাদের বংশধর, এবং ইব্রাহীম
ও ইসরাঈলের বংশধর
এবং যাদেরকে আমি
পথ প্রদর্শন করেছি
ও মনোনীত করেছি, তাদের বংশোদ্ভূত। তাদের
কাছে যখন দয়াময়
আল্লাহর আয়াতসমূহ
পাঠ করা হত, তখন তারা সেজদায়
লুটিয়ে পড়ত এবং
ক্রন্দন করত। [ Sajdah ]
[19:59]
অতঃপর
তাদের পরে এল অপদার্থ
পরবর্তীরা। তারা নামায নষ্ট করল
এবং কুপ্রবৃত্তির
অনুবর্তী হল। সুতরাং
তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা প্রত্যক্ষ
করবে।
[19:60]
কিন্তু
তারা ব্যতীত, যারা তওবা
করেছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সুতরাং
তারা জান্নাতে
প্রবেশ করবে এবং
তাদের উপর কোন
জুলুম করা হবে
না।
[19:61]
তাদের
স্থায়ী বসবাস হবে
যার ওয়াদা দয়াময়
আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে
অদৃশ্যভাবে দিয়েছেন। অবশ্যই
তাঁর ওয়াদার তারা
পৌঁছাবে।
[19:62]
তারা
সেখানে সালাম ব্যতীত
কোন অসার কথাবার্তা
শুনবে না এবং সেখানে
সকাল-সন্ধ্যা তাদের
জন্যে রুযী থাকবে।
[19:63]
এটা ঐ
জান্নাত যার অধিকারী
করব আমার বান্দাদের
মধ্যে পরহেযগারদেরকে।
[19:64]
(জিব্রাইল
বললঃ) আমি আপনার
পালনকর্তার আদেশ
ব্যতীত অবতরণ
করি না, যা আমাদের সামনে
আছে, যা আমাদের
পশ্চাতে আছে এবং
যা এ দুই-এর মধ্যস্থলে
আছে, সবই তাঁর
এবং আপনার পালনকর্তা
বিস্মৃত হওয়ার
নন।