[20:13]
এবং আমি
তোমাকে মনোনীত
করেছি, অতএব যা প্রত্যাদেশ করা হচ্ছে, তা শুনতে
থাক।
[20:14]
আমিই
আল্লাহ আমি ব্যতীত
কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত
কর এবং আমার স্মরণার্থে
নামায কায়েম কর।
[20:15]
কেয়ামত
অবশ্যই আসবে, আমি তা
গোপন রাখতে চাই; যাতে প্রত্যেকেই
তার কর্মানুযায়ী
ফল লাভ করে।
[20:16]
সুতরাং
যে ব্যক্তি কেয়ামতে
বিশ্বাস রাখে না
এবং নিজ খাহেশের
অনুসরণ করে, সে যেন
তোমাকে তা থেকে
নিবৃত্ত না করে। নিবৃত্ত
হলে তুমি ধবংস হয়ে
যাবে।
[20:17]
হে মূসা, তোমার
ডানহাতে ওটা কি?
[20:18]
তিনি
বললেনঃ এটা আমার
লাঠি, আমি
এর উপর ভর দেই এবং
এর দ্বারা আমার ছাগপালের
জন্যে বৃক্ষপত্র
ঝেড়ে ফেলি এবং
এতে আমার অন্যান্য
কাজ ও চলে।
[20:19]
আল্লাহ
বললেনঃ হে মূসা, তুমি ওটা
নিক্ষেপ কর।
[20:20]
অতঃপর
তিনি তা নিক্ষেপ
করলেন, অমনি তা সাপ হয়ে ছুটাছুটি
করতে লাগল।
[20:21]
আল্লাহ
বললেনঃ তুমি তাকে
ধর এবং ভয় করো
না, আমি এখনি একে পূর্বাবস্থায়
ফিরিয়ে দেব।
[20:22]
তোমার
হাত বগলে রাখ, তা বের
হয়ে আসবে নির্মল
উজ্জ্বল হয়ে অন্য
এক নিদর্শন রূপে; কোন দোষ
ছাড়াই।
[20:23]
এটা এজন্যে
যে, আমি আমার
বিরাট নিদর্শনাবলীর
কিছু তোমাকে দেখাই।
[20:24]
ফেরাউনের
নিকট যাও, সে দারুণ
উদ্ধত হয়ে গেছে।
[20:25]
মূসা
বললেনঃ হে আমার
পালনকর্তা আমার
বক্ষ প্রশস্ত করে দিন।
[20:26]
এবং আমার
কাজ সহজ করে দিন।
[20:27]
এবং আমার
জিহবা থেকে জড়তা
দূর করে দিন।
[20:28]
যাতে
তারা আমার কথা
বুঝতে পারে।
[20:29]
এবং আমার
পরিবারবর্গের
মধ্য থেকে আমার
একজন সাহায্যকারী
করে দিন।
[20:30]
আমার
ভাই হারুনকে।
[20:31]
তার মাধ্যমে
আমার কোমর মজবুত
করুন।
[20:32]
এবং তাকে
আমার কাজে অংশীদার
করুন।
[20:33]
যাতে
আমরা বেশী করে
আপনার পবিত্রতা
ও মহিমা ঘোষনা করতে পারি।
[20:34]
এবং বেশী
পরিমাণে আপনাকে
স্মরণ করতে পারি।
[20:35]
আপনি
তো আমাদের অবস্থা
সবই দেখছেন।
[20:36]
আল্লাহ
বললেনঃ হে মূসা, তুমি যা
চেয়েছ তা তোমাকে দেয়া হল।
[20:37]
আমি তোমার
প্রতি আরও একবার
অনুগ্রহ করেছিলাম।