[2:216]
তোমাদের
উপর যুদ্ধ ফরয
করা হয়েছে, অথচ তা
তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে
তোমাদের কাছে
হয়তো কোন একটা
বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের
জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা
কোন একটি বিষয়
তোমাদের কাছে
পছন্দনীয় অথচ তোমাদের
জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ
আল্লাহই জানেন, তোমরা
জান না।
[2:217]
সম্মানিত
মাস সম্পর্কে তোমার
কাছে জিজ্ঞেস করে
যে, তাতে যুদ্ধ
করা কেমন? বলে দাও
এতে যুদ্ধ করা
ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর
পথে প্রতিবন্দ্বকতা
সৃষ্টি করা এবং
কুফরী করা, মসজিদে-হারামের
পথে বাধা দেয়া
এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে
বহিস্কার করা, আল্লাহর
নিকট তার চেয়েও
বড় পাপ। আর ধর্মের ব্যাপারে
ফেতনা সৃষ্টি করা
নরহত্যা অপেক্ষাও
মহা পাপ। বস্তুতঃ
তারা তো সর্বদাই তোমাদের
সাথে যুদ্ধ করতে
থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে
দ্বীন থেকে ফিরিয়ে
দিতে পারে যদি সম্ভব
হয়।
তোমাদের
মধ্যে যারা নিজের
দ্বীন থেকে ফিরে
দাঁড়াবে এবং কাফের
অবস্থায় মৃত্যুবরণ
করবে, দুনিয়া
ও আখেরাতে তাদের
যাবতীয় আমল বিনষ্ট
হয়ে যাবে। আর তারাই
হলো দোযখবাসী। তাতে তারা
চিরকাল বাস করবে।
[2:218]
আর এতে
কোন সন্দেহের
অবকাশ নেই যে, যারা ঈমান
এনেছে এবং যারা হিজরত
করেছে আর আল্লাহর
পথে লড়াই (জেহাদ)
করেছে, তারা আল্লাহর
রহমতের প্রত্যাশী। আর আল্লাহ
হচ্ছেন ক্ষমাকারী
করুনাময়।
[2:219]
তারা
তোমাকে মদ ও জুয়া
সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করে। বলে দাও, এতদুভয়ের
মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের
জন্যে উপকারিতাও
রয়েছে, তবে এগুলোর পাপ
উপকারিতা অপেক্ষা
অনেক বড়। আর তোমার
কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও, নিজেদের
প্রয়োজনীয় ব্যয়ের
পর যা বাঁচে তাই
খরচ করবে। এভাবেই
আল্লাহ তোমাদের
জন্যে নির্দেশ
সুস্পষ্টরূপে
বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা
করতে পার।