[2:220]
দুনিয়া
ও আখেরাতের বিষয়ে। আর তোমার
কাছে জিজ্ঞেস করে, এতীম সংক্রান্ত
হুকুম। বলে দাও, তাদের
কাজ-কর্ম সঠিকভাবে
গুছিয়ে দেয়া উত্তম আর যদি
তাদের ব্যয়ভার
নিজের সাথে মিশিয়ে
নাও, তাহলে
মনে করবে তারা
তোমাদের ভাই । বস্তুতঃ
অমঙ্গলকামী ও মঙ্গলকামীদেরকে
আল্লাহ জানেন। আল্লাহ
যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে
তোমাদের উপর জটিলতা
আরোপ করতে পারতেন। নিশ্চয়ই
তিনি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞ।
[2:221]
আর তোমরা
মুশরেক নারীদেরকে
বিয়ে করোনা, যতক্ষণ
না তারা ঈমান গ্রহণ
করে। অবশ্য
মুসলমান ক্রীতদাসী
মুশরেক নারী অপেক্ষা
উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের
কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা
(নারীরা) কোন মুশরেকের
সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে
আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত
সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান
ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের
তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা
তাদের দেখে মোহিত
হও।
তারা
দোযখের দিকে আহ্বান
করে, আর আল্লাহ
নিজের হুকুমের
মাধ্যমে আহ্বান
করেন জান্নাত ও
ক্ষমার দিকে। আর তিনি
মানুষকে নিজের
নির্দেশ বাতলে
দেন যাতে তারা
উপদেশ গ্রহণ করে।
[2:222]
আর তোমার
কাছে জিজ্ঞেস করে
হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই
তোমরা হায়েয অবস্থায়
স্ত্রীগমন থেকে
বিরত থাক। তখন পর্যন্ত
তাদের নিকটবর্তী
হবে না, যতক্ষণ না তারা
পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম
রূপে পরিশুদ্ধ
হয়ে যাবে, তখন গমন
কর তাদের কাছে, যেভাবে
আল্লাহ তোমাদেরকে
হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই
আল্লাহ তওবাকারী
এবং অপবিত্রতা
থেকে যারা বেঁচে
থাকে তাদেরকে পছন্দ
করেন।
[2:223]
তোমাদের
স্ত্রীরা হলো
তোমাদের জন্য
শস্য ক্ষেত্র। তোমরা
যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে
ব্যবহার কর। আর নিজেদের
জন্য আগামী দিনের
ব্যবস্থা কর এবং
আল্লাহকে ভয় করতে
থাক। আর
নিশ্চিতভাবে জেনে
রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে
সাক্ষাত করতেই
হবে। আর
যারা ঈমান এনেছে
তাদেরকে সুসংবাদ
জানিয়ে দাও।
[2:224]
আর নিজেদের
শপথের জন্য আল্লাহর
নামকে লক্ষ্যবস্তু বানিও
না মানুষের সাথে
কোন আচার আচরণ
থেকে পরহেযগারী
থেকে এবং মানুষের
মাঝে মীমাংসা করে
দেয়া থেকে বেঁচে
থাকার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ
সবকিছুই শুনেন
ও জানেন।