[2:225]
তোমাদের
নিরর্থক শপথের
জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে
ধরবেন না, কিন্তু সেসব কসমের
ব্যাপারে ধরবেন, তোমাদের
মন যার প্রতিজ্ঞা
করেছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন
ক্ষমাকারী ধৈর্য্যশীল।
[2:226]
যারা
নিজেদের স্ত্রীদের
নিকট গমন করবেনা
বলে কসম খেয়ে বসে তাদের
জন্য চার মাসের
অবকাশ রয়েছে অতঃপর
যদি পারস্পরিক
মিল-মিশ করে নেয়, তবে আল্লাহ
ক্ষামাকারী দয়ালু।
[2:227]
আর যদি
বর্জন করার সংকল্প
করে নেয়, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ
শ্রবণকারী ও জ্ঞানী।
[2:228]
আর তালাকপ্রাপ্তা
নারী নিজেকে অপেক্ষায়
রাখবে তিন হায়েয
পর্যন্ত। আর যদি
সে আল্লাহর প্রতি
এবং আখেরাত দিবসের
উপর ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে
আল্লাহ যা তার
জরায়ুতে সৃষ্টি
করেছেন তা লুকিয়ে
রাখা জায়েজ নয়। আর যদি সদ্ভাব
রেখে চলতে চায়, তাহলে
তাদেরকে ফিরিয়ে
নেবার অধিকার তাদের
স্বামীরা সংরক্ষণ
করে। আর
পুরুষদের যেমন
স্ত্রীদের উপর
অধিকার রয়েছে, তেমনি
ভাবে স্ত্রীদেরও
অধিকার রয়েছে পুরুষদের
উপর নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীরদের
ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব
রয়েছে। আর আল্লাহ
হচ্ছে পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ।
[2:229]
তালাকে-‘রাজঈ’ হ’ল দুবার
পর্যন্ত তারপর
হয় নিয়মানুযায়ী
রাখবে, না হয় সহৃদয়তার
সঙ্গে বর্জন করবে। আর নিজের
দেয়া সম্পদ থেকে কিছু ফিরিয়ে
নেয়া তোমাদের
জন্য জায়েয নয়
তাদের কাছ থেকে। কিন্তু
যে ক্ষেত্রে স্বামী
ও স্ত্রী উভয়েই
এ ব্যাপারে ভয়
করে যে, তারা আল্লাহর
নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে
না, অতঃপর
যদি তোমাদের ভয়
হয় যে, তারা
উভয়েই আল্লাহর
নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে
না, তাহলে
সেক্ষেত্রে স্ত্রী
যদি বিনিময় দিয়ে
অব্যাহতি নিয়ে
নেয়, তবে উভয়ের
মধ্যে কারোরই
কোন পাপ নেই। এই হলো
আল্লাহ কর্তৃক
নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে অতিক্রম
করো না। বস্তুতঃ
যারা আল্লাহ কর্তৃক
নির্ধারিত সীমা
লঙ্ঘন করবে, তারাই
জালেম।
[2:230]
তারপর
যদি সে স্ত্রীকে
(তৃতীয়বার) তালাক
দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী
যে পর্যন্ত তাকে
ছাড়া অপর কোন
স্বামীর সাথে বিয়ে
করে না নেবে, তার জন্য হালাল
নয়।
অতঃপর
যদি দ্বিতীয় স্বামী
তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে
তাদের উভয়ের জন্যই
পরস্পরকে পুনরায়
বিয়ে করাতে কোন
পাপ নেই। যদি আল্লাহর
হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা
থাকে। আর এই হলো
আল্লাহ কতৃêক নির্ধারিত
সীমা; যারা
উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব
বর্ণনা করা হয়।