Ash-Shu‘arâ’
শুরু করছি
আল্লাহর নামে যিনি
পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
[26:1]
ত্বা, সীন, মীম।
[26:2]
এগুলো
সুস্পষ্ট কিতাবের
আয়াত।
[26:3]
তারা
বিশ্বাস করে না
বলে আপনি হয়তো
মর্মব্যথায় আত্নঘাতী
হবেন।
[26:4]
আমি যদি
ইচ্ছা করি, তবে আকাশ
থেকে তাদের কাছে
কোন নিদর্শন নাযিল
করতে পারি। অতঃপর
তারা এর সামনে
নত হয়ে যাবে।
[26:5]
যখনই
তাদের কাছে রহমান
এর কোন নতুন উপদেশ
আসে, তখনই তারা তা
থেকে মুখ ফিরিয়ে
নেয়।
[26:6]
অতএব
তারা তো মিথ্যারোপ
করেছেই; সুতরাং যে বিষয় নিয়ে তারা
ঠাট্টা-বিদ্রুপ
করত, তার যথার্থ
স্বরূপ শীঘ্রই
তাদের কাছে পৌছবে।
[26:7]
তারা
কি ভুপৃষ্ঠের প্রতি
দৃষ্টিপাত করে
না? আমি তাতে সর্বপ্রকার
বিশেষ-বস্তু কত
উদগত করেছি।
[26:8]
নিশ্চয়
এতে নিদর্শন আছে, কিন্তু
তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী
নয়।
[26:9]
আপনার
পালনকর্তা তো
পরাক্রমশালী পরম
দয়ালু।
[26:10]
যখন আপনার
পালনকর্তা মূসাকে
ডেকে বললেনঃ তুমি
পাপিষ্ঠ সম্প্রদায়ের
নিকট যাও;
[26:11]
ফেরাউনের
সম্প্রদায়ের নিকট; তারা কি
ভয় করে না?
[26:12]
সে বলল, হে আমার
পালনকর্তা, আমার আশংকা
হচ্ছে যে, তারা আমাকে
মিথ্যাবাদী বলে
দেবে।
[26:13]
এবং আমার
মন হতবল হয়ে পড়ে
এবং আমার জিহবা
অচল হয়ে যায়। সুতরাং
হারুনের কাছে বার্তা
প্রেরণ করুন।
[26:14]
আমার
বিরুদ্ধে তাদের
অভিযোগ আছে। অতএব আমি
আশংকা করি যে, তারা আমাকে
হত্যা করবে।
[26:15]
আল্লাহ
বলেন, কখনই
নয় তোমরা উভয়ে
যাও আমার নিদর্শনাবলী
নিয়ে। আমি তোমাদের
সাথে থেকে শোনব।
[26:16]
অতএব
তোমরা ফেরআউনের
কাছে যাও এবং বল, আমরা বিশ্বজগতের
পালনকর্তার রসূল।
[26:17]
যাতে
তুমি বনী-ইসরাঈলকে
আমাদের সাথে যেতে
দাও।
[26:18]
ফেরাউন
বলল, আমরা কি
তোমাকে শিশু অবস্থায়
আমাদের মধ্যে
লালন-পালন করিনি? এবং তুমি
আমাদের মধ্যে জীবনের
বহু বছর কাটিয়েছ।
[26:19]
তুমি
সেই-তোমরা অপরাধ
যা করবার করেছ। তুমি হলে কৃতঘ্ন।