[2:231]
আর যখন
তোমরা স্ত্রীদেরকে
তালাক দিয়ে দাও, অতঃপর তারা নির্ধারিত
ইদ্দত সমাপ্ত করে
নেয়, তখন তোমরা
নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে
রেখে দাও অথবা সহানুভুতির
সাথে তাদেরকে মুক্ত
করে দাও। আর তোমরা
তাদেরকে জ্বালাতন
ও বাড়াবাড়ি করার
উদ্দেশ্যে আটকে
রেখো না। আর যারা
এমন করবে, নিশ্চয়ই
তারা নিজেদেরই
ক্ষতি করবে। আর আল্লাহর
নির্দেশকে হাস্যকর
বিষয়ে পরিণত করো
না। আল্লাহর
সে অনুগ্রহের কথা
স্মরণ কর, যা তোমাদের
উপর রয়েছে এবং
তাও স্মরণ কর, যে কিতাব
ও জ্ঞানের কথা
তোমাদের উপর নাযিল
করা হয়েছে যার
দ্বারা তোমাদেরকে
উপদেশ দান করা হয়। আল্লাহকে
ভয় কর এবং জেনে
রাখ যে, আল্লাহ সর্ববিষয়েই
জ্ঞানময়।
[2:232]
আর যখন
তোমরা স্ত্রীদেরকে
তালাক দিয়ে দাও
এবং তারপর তারাও
নির্ধারিত ইদ্দত
পূর্ন করতে থাকে, তখন তাদেরকে
পূর্ব স্বামীদের
সাথে পারস্পরিক
সম্মতির ভিত্তিতে
নিয়মানুযায়ী বিয়ে
করতে বাধাদান করো
না।
এ উপদেশ তাকেই
দেয়া হচ্ছে, যে আল্লাহ
ও কেয়ামত দিনের
উপর বিশ্বাস স্থাপন
করেছে। এর মধ্যে তোমাদের
জন্য রয়েছে একান্ত
পরিশুদ্ধতা ও অনেক
পবিত্রতা। আর আল্লাহ
জানেন, তোমরা জান না।
[2:233]
আর সন্তানবতী
নারীরা তাদের সন্তানদেরকে
পূর্ন দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ
খাওয়াবার পূর্ণ
মেয়াদ সমাপ্ত করতে
চায়। আর
সন্তানের অধিকারী
অর্থাৎ, পিতার উপর
হলো সে সমস্ত
নারীর খোর-পোষের
দায়িত্ব প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী। কাউকে
তার সামর্থাতিরিক্ত
চাপের সম্মুখীন
করা হয় না। আর মাকে
তার সন্তানের জন্য
ক্ষতিগ্রস্ত করা
যাবে না। এবং যার
সন্তান তাকেও তার
সন্তানের কারণে
ক্ষতির সম্মুখীন
করা যাবে না। আর ওয়ারিসদের
উপরও দায়িত্ব এই। তারপর
যদি পিতা-মাতা
ইচ্ছা করে, তাহলে
দু’বছরের
ভিতরেই নিজেদের
পারস্পরিক পরামর্শক্রমে
দুধ ছাড়িয়ে দিতে
পারে, তাতে
তাদের কোন পাপ
নেই, আর যদি
তোমরা কোন ধাত্রীর
দ্বারা নিজের
সন্তানদেরকে দুধ
খাওয়াতে চাও, তাহলে
যদি তোমরা সাব্যস্তকৃত
প্রচলিত বিনিময়
দিয়ে দাও তাতেও
কোন পাপ নেই। আর আল্লাহকে
ভয় কর এবং জেনে
রেখো যে, আল্লাহ
তোমাদের যাবতীয়
কাজ অত্যন্ত ভাল
করেই দেখেন।