[26:184]
ভয় কর
তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে
এবং তোমাদের পূর্ববর্তী
লোক-সম্প্রদায়কে
সৃষ্টি করেছেন।
[26:185]
তারা
বলল, তুমি তো
জাদুগ্রস্তদের
অন্যতম।
[26:186]
তুমি
আমাদের মত মানুষ
বৈ তো নও। আমাদের
ধারণা-তুমি মিথ্যাবাদীদের
অন্তর্ভুক্ত।
[26:187]
অতএব, যদি সত্যবাদী
হও, তবে আকাশের
কোন টুকরো আমাদের
উপর ফেলে দাও।
[26:188]
শো’আয়ব বললেন, তোমরা
যা কর, সে
সম্পর্কে আমার পালনকর্তা
ভালরূপে অবহিত।
[26:189]
অতঃপর
তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী
বলে দিল। ফলে তাদেরকে মেঘাচ্ছন্ন
দিবসের আযাব পাকড়াও
করল। নিশ্চয়
সেটা ছিল এক মহাদিবসের
আযাব।
[26:190]
নিশ্চয়
এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু
তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস
করে না।
[26:191]
নিশ্চয়
আপনার পালনকর্তা
প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
[26:192]
এই কোরআন
তো বিশ্ব-জাহানের
পালনকর্তার নিকট
থেকে অবতীর্ণ।
[26:193]
বিশ্বস্ত
ফেরেশতা একে নিয়ে
অবতরণ করেছে।
[26:194]
আপনার
অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি
প্রদর্শণকারীদের অন্তর্ভুক্ত
হন,
[26:195]
সুস্পষ্ট
আরবী ভাষায়।
[26:196]
নিশ্চয়
এর উল্লেখ আছে
পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।
[26:197]
তাদের
জন্যে এটা কি নিদর্শন
নয় যে, বনী-ইসরাঈলের আলেমগণ
এটা অবগত আছে?
[26:198]
যদি আমি
একে কোন ভিন্নভাষীর
প্রতি অবতীর্ণ
করতাম,
[26:199]
অতঃপর
তিনি তা তাদের
কাছে পাঠ করতেন, তবে তারা
তাতে বিশ্বাস স্থাপন
করত না।
[26:200]
এমনিভাবে
আমি গোনাহগারদের
অন্তরে অবিশ্বাস
সঞ্চার করেছি।
[26:201]
তারা
এর প্রতি বিশ্বাস
স্থাপন করবে না, যে পর্যন্ত প্রত্যক্ষ
না করে মর্মন্তুদ
আযাব।
[26:202]
অতঃপর
তা আকস্মিকভাবে
তাদের কাছে এসে
পড়বে, তারা
তা বুঝতে ও পারবে
না।
[26:203]
তখন তারা
বলবে, আমরা
কি অবকাশ পাব না?
[26:204]
তারা
কি আমার শাস্তি
দ্রুত কামনা করে?
[26:205]
আপনি
ভেবে দেখুন তো, যদি আমি
তাদেরকে বছরের
পর বছর ভোগ-বিলাস
করতে দেই,
[26:206]
অতঃপর
যে বিষয়ে তাদেরকে
ওয়াদা দেয়া হত, তা তাদের
কাছে এসে পড়ে।