[27:77]
এবং নিশ্চিতই
এটা মুমিনদের জন্যে
হেদায়েত ও রহমত।
[27:78]
আপনার
পালনকর্তা নিজ
শাসনক্ষমতা অনুযায়ী
তাদের মধ্যে ফয়সালা
করে দেবেন। তিনি পরাক্রমশালী, সুবিজ্ঞ।
[27:79]
অতএব, আপনি আল্লাহর
উপর ভরসা করুন। নিশ্চয়
আপনি সত্য ও স্পষ্ট
পথে আছেন।
[27:80]
আপনি
আহবান শোনাতে
পারবেন না মৃতদেরকে
এবং বধিরকেও নয়, যখন তারা
পৃষ্ঠ প্রদর্শন
করে চলে যায়।
[27:81]
আপনি
অন্ধদেরকে তাদের
পথভ্রষ্টতা থেকে
ফিরিয়ে সৎপথে আনতে পারবেন
না।
আপনি
কেবল তাদেরকে শোনাতে
পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে
বিশ্বাস করে। অতএব, তারাই
আজ্ঞাবহ।
[27:82]
যখন প্রতিশ্রুতি
(কেয়ামত) সমাগত
হবে, তখন আমি
তাদের সামনে ভূগর্ভ
থেকে একটি জীব
নির্গত করব। সে মানুষের
সাথে কথা বলবে। এ কারণে
যে মানুষ আমার নিদর্শনসমূহে
বিশ্বাস করত না।
[27:83]
যেদিন
আমি একত্রিত করব
একেকটি দলকে সেসব
সম্প্রদায় থেকে, যারা আমার
আয়াতসমূহকে মিথ্যা
বলত; অতঃপর
তাদেরকে বিভিন্ন
দলে বিভক্ত করা হবে।
[27:84]
যখন তারা
উপস্থিত হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ
বলবেন, তোমরা কি আমার
আয়াতসমূহকে মিথ্যা
বলেছিলে? অথচ এগুলো
সম্পর্কে তোমাদের
পুর্ণ জ্ঞান ছিল না। না তোমরা
অন্য কিছু করছিলে?
[27:85]
জুলুমের
কারণে তাদের কাছে
আযাবের ওয়াদা এসে
গেছে। এখন তারা কোন
কিছু বলতে পারবে
না।
[27:86]
তারা
কি দেখে না যে, আমি রাত্রি
সৃষ্টি করেছি তাদের বিশ্রামের
জন্যে এবং দিনকে
করেছি আলোকময়। নিশ্চয়
এতে ঈমানদার সম্প্রদায়ের
জন্যে নিদর্শনাবলী
রয়েছে।
[27:87]
যেদিন
সিঙ্গায় ফুৎকার
দেওয়া হবে, অতঃপর
আল্লাহ যাদেরকে
ইচ্ছা করবেন, তারা ব্যতীত
নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে
যারা আছে, তারা সবাই ভীতবিহ্বল
হয়ে পড়বে এবং সকলেই
তাঁর কাছে আসবে
বিনীত অবস্থায়।
[27:88]
তুমি
পর্বতমালাকে দেখে
অচল মনে কর, অথচ সেদিন
এগুলো মেঘমালার
মত চলমান হবে। এটা আল্লাহর
কারিগরী, যিনি সবকিছুকে
করেছেন সুসংহত। তোমরা
যা কিছু করছ, তিনি তা
অবগত আছেন।