[2:253]
এই রসূলগণ-আমি
তাদের কাউকে কারো
উপর মর্যাদা দিয়েছি। তাদের
মধ্যে কেউ তো
হলো তারা যার
সাথে আল্লাহ কথা
বলেছেন, আর কারও মর্যাদা উচ্চতর
করেছেন এবং আমি
মরিয়ম তনয় ঈসাকে
প্রকৃষ্ট মু’জেযা দান
করেছি এবং তাকে শক্তি
দান করেছি ‘রুহূল
কুদ্দুস’ অর্থৎ জিবরাঈলের
মাধ্যমে। আর আল্লাহ
যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে
পরিস্কার নির্দেশ
এসে যাবার পর পয়গম্বরদের
পেছনে যারা ছিল
তারা লড়াই করতো
না।
কিন্তু
তাদের মধ্যে মতবিরোধ
সৃষ্টি হয়ে গেছে। অতঃপর
তাদের কেউ তো ঈমান
এনেছে, আর কেউ হয়েছে কাফের। আর আল্লাহ
যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে
তারা পরস্পর লড়াই
করতো, কিন্তু আল্লাহ
তাই করেন, যা তিনি
ইচ্ছা করেন।
[2:254]
হে ঈমানদারগণ!
আমি তোমাদেরকে
যে রুযী দিয়েছি, সেদিন আসার পূর্বেই
তোমরা তা থেকে
ব্যয় কর, যাতে না আছে বেচা-কেনা, না আছে
সুপারিশ কিংবা
বন্ধুত্ব। আর কাফেররাই
হলো প্রকৃত যালেম।
[2:255]
আল্লাহ
ছাড়া অন্য কোন
উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর
ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও
স্পর্শ করতে পারে
না এবং নিদ্রাও
নয়।
আসমান
ও যমীনে যা কিছু
রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ
এমন, যে সুপারিশ
করবে তাঁর কাছে
তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির
সামনে কিংবা পিছনে
যা কিছু রয়েছে
সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা
থেকে তারা কোন
কিছুকেই পরিবেষ্টিত
করতে পারে না, কিন্তু
যতটুকু তিনি ইচ্ছা
করেন। তাঁর সিংহাসন
সমস্ত আসমান ও
যমীনকে পরিবেষ্টিত
করে আছে। আর সেগুলোকে
ধারণ করা তাঁর
পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই
সর্বোচ্চ এবং
সর্বাপেক্ষা মহান।
[2:256]
দ্বীনের
ব্যাপারে কোন
জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা
নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত
গোমরাহী থেকে
পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা
গোমরাহকারী ‘তাগুত’দেরকে
মানবে না এবং আল্লাহতে
বিশ্বাস স্থাপন
করবে, সে
ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ়
হাতল যা ভাংবার
নয়।
আর আল্লাহ
সবই শুনেন এবং
জানেন।