[39:6]
তিনি
সৃষ্টি করেছেন
তোমাদেরকে একই
ব্যক্তি থেকে। অতঃপর
তা থেকে তার যুগল
সৃষ্টি করেছেন
এবং তিনি তোমাদের
জন্যে আট প্রকার চতুষ্পদ
জন্তু অবতীর্ণ
করেছেন। তিনি তোমাদেরকে
সৃষ্টি করেছেন
তোমাদের মাতৃগর্ভে
পর্যায়ক্রমে একের
পর এক ত্রিবিধ
অন্ধকারে। তিনি আল্লাহ
তোমাদের পালনকর্তা, সাম্রাজ্য
তাঁরই। তিনি ব্যতীত
কোন উপাস্য নেই। অতএব, তোমরা
কোথায় বিভ্রান্ত
হচ্ছ?
[39:7]
যদি তোমরা
অস্বীকার কর, তবে আল্লাহ
তোমাদের থেকে বেপরওয়া। তিনি তাঁর
বান্দাদের কাফের
হয়ে পড়া পছন্দ
করেন না। পক্ষান্তরে
যদি তোমরা কৃতজ্ঞ
হও, তবে তিনি
তোমাদের জন্যে
তা পছন্দ করেন। একের পাপ
ভার অন্যে বহন করবে
না।
অতঃপর
তোমরা তোমাদের
পালনকর্তার কাছে
ফিরে যাবে। তিনি তোমাদেরকে তোমাদের
কর্ম সম্বন্ধে
অবহিত করবেন। নিশ্চয়
তিনি অন্তরের বিষয়
সম্পর্কেও অবগত।
[39:8]
যখন মানুষকে
দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ
করে, তখন সে একাগ্রচিত্তে
তার পালনকর্তাকে
ডাকে, অতঃপর
তিনি যখন তাকে
নেয়ামত দান করেন, তখন সে কষ্টের
কথা বিস্মৃত হয়ে
যায়, যার জন্যে
পূর্বে ডেকেছিল
এবং আল্লাহর সমকক্ষ স্থির
করে; যাতে করে
অপরকে আল্লাহর
পথ থেকে বিভ্রান্ত
করে। বলুন, তুমি তোমার কুফর সহকারে
কিছুকাল জীবনোপভোগ
করে নাও। নিশ্চয়
তুমি জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত।
[39:9]
যে ব্যক্তি
রাত্রিকালে সেজদার
মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত
করে, পরকালের
আশংকা রাখে এবং
তার পালনকর্তার
রহমত প্রত্যাশা
করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ
করে না; বলুন, যারা জানে এবং
যারা জানে না; তারা কি
সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা
কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।
[39:10]
বলুন, হে আমার
বিশ্বাসী বান্দাগণ!
তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে
ভয় কর। যারা এ দুনিয়াতে
সৎকাজ করে, তাদের
জন্যে রয়েছে পুণ্য। আল্লাহর
পৃথিবী প্রশস্ত। যারা সবরকারী, তারাই
তাদের পুরস্কার
পায় অগণিত।