[44:30]
আমি বনী-ইসরাঈলকে
অপমানজনক শাস্তি
থেকে উদ্ধার করছি।
[44:31]
ফেরাউন
সে ছিল সীমালংঘনকারীদের
মধ্যে শীর্ষস্থানীয়।
[44:32]
আমি জেনেশুনে
তাদেরকে বিশ্ববাসীদের
উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম।
[44:33]
এবং আমি
তাদেরকে এমন নিদর্শনাবলী
দিয়েছিলাম যাতে
ছিল স্পষ্ট সাহায্য।
[44:34]
কাফেররা
বলেই থাকে,
[44:35]
প্রথম
মৃত্যুর মাধ্যমেই
আমাদের সবকিছুর
অবসান হবে এবং আমরা পুনরুত্থিত
হব না।
[44:36]
তোমরা
যদি সত্যবাদী হও, তবে আমাদের
পূর্বপুরুষদেরকে নিয়ে এস।
[44:37]
ওরা শ্রেষ্ঠ, না তুব্বার
সম্প্রদায় ও তাদের পূর্ববর্তীরা? আমি ওদেরকে
ধ্বংস করে দিয়েছি। ওরা ছিল
অপরাধী।
[44:38]
আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল
ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী
সবকিছু ক্রীড়াচ্ছলে
সৃষ্টি করিনি।
[44:39]
আমি এগুলো
যথাযথ উদ্দেশ্যে
সৃষ্টি করেছি; কিন্তু তাদের
অধিকাংশই বোঝে
না।
[44:40]
নিশ্চয়
ফয়সালার দিন তাদের
সবারই নির্ধারিত
সময়।
[44:41]
যেদিন
কোন বন্ধুই কোন
বন্ধুর উপকারে
আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও
হবে না।
[44:42]
তবে আল্লাহ
যার প্রতি দয়া
করেন, তার
কথা ভিন্ন। নিশ্চয়
তিনি পরাক্রমশালী
দয়াময়।
[44:43]
নিশ্চয়
যাক্কুম বৃক্ষ
[44:44]
পাপীর
খাদ্য হবে;
[44:45]
গলিত
তাম্রের মত পেটে
ফুটতে থাকবে।
[44:46]
যেমন
ফুটে পানি।
[44:47]
একে ধর
এবং টেনে নিয়ে
যাও জাহান্নামের
মধ্যস্থলে,
[44:48]
অতঃপর
তার মাথার উপর
ফুটন্ত পানির আযাব
ঢেলে দাও,
[44:49]
স্বাদ
গ্রহণ কর, তুমি তো
সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত।
[44:50]
এ সম্পর্কে
তোমরা সন্দেহে
পতিত ছিলে।
[44:51]
নিশ্চয়
খোদাভীরুরা নিরাপদ
স্থানে থাকবে-
[44:52]
উদ্যানরাজি
ও নির্ঝরিণীসমূহে।
[44:53]
তারা
পরিধান করবে চিকন
ও পুরু রেশমীবস্ত্র, মুখোমুখি হয়ে বসবে।
[44:54]
এরূপই
হবে এবং আমি তাদেরকে
আনতলোচনা স্ত্রী
দেব।
[44:55]
তারা
সেখানে শান্ত মনে
বিভিন্ন ফল-মূল
আনতে বলবে।
[44:56]
তারা
সেখানে মৃত্যু
আস্বাদন করবে না, প্রথম
মৃত্যু ব্যতীত
এবং আপনার পালনকর্তা
তাদেরকে জাহান্নামের
আযাব থেকে রক্ষা
করবেন।
[44:57]
আপনার
পালনকর্তার কৃপায়
এটাই মহা সাফল্য।
[44:58]
আমি আপনার
ভাষায় কোরআনকে
সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা স্মরণ
রাখে।
[44:59]
অতএব, আপনি অপেক্ষা
করুন, তারাও
অপেক্ষা করছে।