[46:15]
আমি মানুষকে
তার পিতা-মাতার
সাথে সদ্ব্যবহারের
আদেশ দিয়েছি। তার জননী
তাকে কষ্টসহকারে
গর্ভে ধারণ করেছে
এবং কষ্টসহকারে
প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে
ধারণ করতে ও তার
স্তন্য ছাড়তে লেগেছে
ত্রিশ মাস। অবশেষে
সে যখন শক্তি-সামর্থে?র বয়সে
ও চল্লিশ বছরে
পৌছেছে, তখন বলতে লাগল, হে আমার
পালনকর্তা, আমাকে
এরূপ ভাগ্য দান
কর, যাতে আমি
তোমার নেয়ামতের
শোকর করি, যা তুমি
দান করেছ আমাকে
ও আমার পিতা-মাতাকে
এবং যাতে আমি তোমার
পছন্দনীয় সৎকাজ
করি। আমার সন্তানদেরকে
সৎকর্মপরায়ণ
কর, আমি তোমার
প্রতি তওবা করলাম
এবং আমি আজ্ঞাবহদের অন্যতম।
[46:16]
আমি এমন
লোকদের সুকর্মগুলো
কবুল করি এবং মন্দকর্মগুলো
মার্জনা করি। তারা জান্নাতীদের
তালিকাভুক্ত সেই
সত্য ওয়াদার কারণে যা তাদেরকে
দেওয়া হত।
[46:17]
আর যে
ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে
বলে, ধিক তোমাদেরকে, তোমরা
কি আমাকে খবর দাও
যে, আমি পুনরুত্থিত
হব, অথচ আমার
পূর্বে বহু লোক
গত হয়ে গেছে? আর পিতা-মাতা
আল্লাহর কাছে ফরিযাদ
করে বলে, দুর্ভোগ তোমার
তুমি বিশ্বাস স্থাপন
কর।
নিশ্চয়
আল্লাহর ওয়াদা
সত্য। তখন সে বলে, এটা তো পূর্ববর্তীদের
উপকথা বৈ নয়।
[46:18]
তাদের
পূর্বে যে সব জ্বিন
ও মানুষ গত হয়েছে, তাদের মধ্যে
এ ধরনের লোকদের
প্রতিও শাস্তিবানী
অবধারিত হয়ে গেছে। নিশ্চয়
তারা ছিল ক্ষতিগ্রস্থ।
[46:19]
প্রত্যেকের
জন্যে তাদের কৃতকর্ম
অনুযায়ী বিভিন্ন
স্তর রয়েছে, যাতে আল্লাহ
তাদের কর্মের পূর্ণ
প্রতিফল দেন। বস্তুতঃ
তাদের প্রতি যুলুম করা হবে
না।
[46:20]
যেদিন
কাফেরদেরকে জাহান্নামের
কাছে উপস্থিত করা
হবে সেদিন বলা
হবে, তোমরা
তোমাদের সুখ পার্থিব
জীবনেই নিঃশেষ
করেছ এবং সেগুলো ভোগ করেছ
সুতরাং আজ তোমাদেরকে
অপমানকর আযাবের
শাস্তি দেয়া হবে; কারণ, তোমরা পৃথিবীতে
অন্যায় ভাবে অহংকার
করতে এবং তোমরা
পাপাচার করতে।