[50:16]
আমি মানুষ
সৃষ্টি করেছি এবং
তার মন নিভৃতে
যে কুচিন্তা করে, সে সম্বন্ধেও
আমি অবগত আছি। আমি তার
গ্রীবাস্থিত ধমনী
থেকেও অধিক নিকটবর্তী।
[50:17]
যখন দুই
ফেরেশতা ডানে ও
বামে বসে তার আমল
গ্রহণ করে।
[50:18]
সে যে
কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ
করার জন্যে তার কাছে সদা
প্রস্তুত প্রহরী
রয়েছে।
[50:19]
মৃত্যুযন্ত্রণা
নিশ্চিতই আসবে। এ থেকেই
তুমি টালবাহানা
করতে।
[50:20]
এবং শিঙ্গায়
ফুঁৎকার দেয়া
হবে এটা হবে ভয়
প্রদর্শনের দিন।
[50:21]
প্রত্যেক
ব্যক্তি আগমন করবে। তার সাথে
থাকবে চালক ও কর্মের
সাক্ষী।
[50:22]
তুমি
তো এই দিন সম্পর্কে
উদাসীন ছিলে। এখন তোমার কাছ থেকে
যবনিকা সরিয়ে দিয়েছি। ফলে আজ
তোমার দৃষ্টি
সুতীক্ষ্ন।
[50:23]
তার সঙ্গী
ফেরেশতা বলবেঃ
আমার কাছে যে, আমলনামা
ছিল, তা এই।
[50:24]
তোমরা
উভয়েই নিক্ষেপ
কর জাহান্নামে
প্রত্যেক অকৃতজ্ঞ বিরুদ্ধবাদীকে,
[50:25]
যে বাধা
দিত মঙ্গলজনক কাজে, সীমালঙ্ঘনকারী, সন্দেহ পোষণকারীকে।
[50:26]
যে ব্যক্তি
আল্লাহর সাথে অন্য
উপাস্য গ্রহণ করত, তাকে তোমরা
কঠিন শাস্তিতে
নিক্ষেপ কর।
[50:27]
তার সঙ্গী
শয়তান বলবেঃ হে
আমাদের পালনকর্তা, আমি তাকে অবাধ্যতায়
লিপ্ত করিনি। বস্তুতঃ
সে নিজেই ছিল সুদূর
পথভ্রান্তিতে
লিপ্ত।
[50:28]
আল্লাহ
বলবেনঃ আমার সামনে
বাকবিতন্ডা করো
না আমি তো পূর্বেই
তোমাদেরকে আযাব
দ্বারা ভয় প্রদর্শন
করেছিলাম।
[50:29]
আমার
কাছে কথা রদবদল
হয় না এবং আমি বান্দাদের
প্রতি জুলুমকারী
নই।
[50:30]
যেদিন
আমি জাহান্নামকে
জিজ্ঞাসা করব; তুমি কি
পূর্ণ হয়ে গেছ? সে বলবেঃ
আরও আছে কি?
[50:31]
জান্নাতকে
উপস্থিত করা হবে
খোদাভীরুদের
অদূরে।
[50:32]
তোমাদের
প্রত্যেক অনুরাগী
ও স্মরণকারীকে
এরই প্রতিশ্রুতি
দেয়া হয়েছিল।
[50:33]
যে না
দেখে দয়াময় আল্লাহ
তা’আলাকে
ভয় করত এবং বিনীত অন্তরে
উপস্থিত হত।
[50:34]
তোমরা
এতে শান্তিতে প্রবেশ
কর।
এটাই
অনন্তকাল বসবাসের
জন্য প্রবেশ করার
দিন।
[50:35]
তারা
তথায় যা চাইবে, তাই পাবে
এবং আমার কাছে
রয়েছে আরও অধিক।