[51:7]
পথবিশিষ্ট
আকাশের কসম,
[51:8]
তোমরা
তো বিরোধপূর্ণ
কথা বলছ।
[51:9]
যে ভ্রষ্ট, সেই এ
থেকে মুখ ফিরায়,
[51:10]
অনুমানকারীরা
ধ্বংস হোক,
[51:11]
যারা
উদাসীন, ভ্রান্ত।
[51:12]
তারা
জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামত
কবে হবে?
[51:13]
যেদিন
তারা অগ্নিতে পতিত
হবে,
[51:14]
তোমরা
তোমাদের শাস্তি
আস্বাদন কর। তোমরা
একেই ত্বরান্বিত
করতে চেয়েছিল।
[51:15]
খোদাভীরুরা
জান্নাতে ও প্রস্রবণে
থাকবে।
[51:16]
এমতাবস্থায়
যে, তারা গ্রহণ
করবে যা তাদের
পালনকর্তা তাদেরকে
দেবেন। নিশ্চয় ইতিপূর্বে
তারা ছিল সৎকর্মপরায়ণ,
[51:17]
তারা
রাত্রির সামান্য
অংশেই নিদ্রা যেত,
[51:18]
রাতের
শেষ প্রহরে তারা
ক্ষমাপ্রার্থনা
করত,
[51:19]
এবং তাদের
ধন-সম্পদে প্রার্থী
ও বঞ্চিতের হক
ছিল।
[51:20]
বিশ্বাসকারীদের
জন্যে পৃথিবীতে
নিদর্শনাবলী রয়েছে,
[51:21]
এবং তোমাদের
নিজেদের মধ্যেও, তোমরা
কি অনুধাবন করবে না?
[51:22]
আকাশে
রয়েছে তোমাদের
রিযিক ও প্রতিশ্রুত
সবকিছু।
[51:23]
নভোমন্ডল
ও ভূমন্ডলের পালনকর্তার
কসম, তোমাদের কথাবার্তার
মতই এটা সত্য।
[51:24]
আপনার
কাছে ইব্রাহীমের
সম্মানিত মেহমানদের
বৃত্তান্ত এসেছে
কি?
[51:25]
যখন তারা
তাঁর কাছে উপস্থিত
হয়ে বললঃ সালাম, তখন সে বললঃ সালাম। এরা তো
অপরিচিত লোক।
[51:26]
অতঃপর
সে গ্রহে গেল এবং
একটি ঘৃতেপক্ক
মোটা গোবৎস নিয়ে হাযির
হল।
[51:27]
সে গোবৎসটি
তাদের সামনে রেখে
বললঃ তোমরা আহার
করছ না কেন?
[51:28]
অতঃপর
তাদের সম্পর্কে
সে মনে মনে ভীত
হলঃ তারা বললঃ ভীত হবেন
না।
তারা
তাঁকে একট জ্ঞানীগুণী
পুত্র সন্তানের
সুসংবাদ দিল।
[51:29]
অতঃপর
তাঁর স্ত্রী চীৎকার
করতে করতে সামনে
এল এবং মুখ চাপড়িয়ে
বললঃ আমি তো বৃদ্ধা, বন্ধ্যা।
[51:30]
তারা
বললঃ তোমার পালনকর্তা
এরূপই বলেছেন। নিশ্চয় তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।