[66:8]
মুমিনগণ!
তোমরা আল্লাহ
তা’আলার কাছে
তওবা কর-আন্তরিক তওবা। আশা করা
যায়, তোমাদের
পালনকর্তা তোমাদের
মন্দ কর্মসমূহ
মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে
দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে
নদী প্রবাহিত। সেদিন
আল্লাহ নবী এবং
তাঁর বিশ্বাসী
সহচরদেরকে অপদস্থ
করবেন না। তাদের
নূর তাদের সামনে
ও ডানদিকে ছুটোছুটি
করবে। তারা বলবেঃ
হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের
নূরকে পূর্ণ করে দিন
এবং আমাদেরকে ক্ষমা
করুন। নিশ্চয় আপনি
সবকিছুর উপর সর্ব
শক্তিমান।
[66:9]
হে নবী!
কাফের ও মুনাফিকদের
বিরুদ্ধে জেহাদ
করুন এবং তাদের
প্রতি কঠোর হোন। তাদের
ঠিকানা জাহান্নাম। সেটা কতই
না নিকৃষ্ট স্থান।
[66:10]
আল্লাহ
তা’আলা কাফেরদের
জন্যে নূহ-পত্নী
ও লূত-পত্নীর দৃষ্টান্ত
বর্ণনা করেছেন। তারা ছিল
আমার দুই ধর্মপরায়ণ
বান্দার গৃহে। অতঃপর
তারা তাদের সাথে
বিশ্বাসঘাতকতা
করল। ফলে
নূহ ও লূত তাদেরকে
আল্লাহ তা’আলার কবল
থেকে রক্ষা করতে
পারল না এবং তাদেরকে
বলা হলঃ জাহান্নামীদের
সাথে জাহান্নামে
চলে যাও।
[66:11]
আল্লাহ
তা’আলা মুমিনদের
জন্যে ফেরাউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত
বর্ণনা করেছেন। সে বললঃ
হে আমার পালনকর্তা!
আপনার সন্নিকটে
জান্নাতে আমার জন্যে
একটি গৃহ নির্মাণ
করুন, আমাকে
ফেরাউন ও তার দুস্কর্ম
থেকে উদ্ধার করুন এবং
আমাকে যালেম সম্প্রদায়
থেকে মুক্তি দিন।
[66:12]
আর দৃষ্টান্ত
বর্ণনা করেছেন
এমরান-তনয়া মরিয়মের, যে তার সতীত্ব
বজায় রেখেছিল। অতঃপর
আমি তার মধ্যে
আমার পক্ষ থেকে
জীবন ফুঁকে দিয়েছিলাম
এবং সে তার পালনকর্তার
বানী ও কিতাবকে
সত্যে পরিণত করেছিল। সে ছিল বিনয় প্রকাশকারীনীদের
একজন।