[67:13]
তোমরা
তোমাদের কথা গোপনে
বল অথবা প্রকাশ্যে
বল, তিনি তো
অন্তরের বিষয়াদি
সম্পর্কে সম্যক
অবগত।
[67:14]
যিনি
সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি
করে জানবেন না? তিনি সূক্ষ্নজ্ঞানী, সম্যক
জ্ঞাত।
[67:15]
তিনি
তোমাদের জন্যে
পৃথিবীকে সুগম
করেছেন, অতএব, তোমরা তার কাঁধে
বিচরণ কর এবং তাঁর
দেয়া রিযিক আহার
কর।
তাঁরই
কাছে পুনরুজ্জীবন হবে।
[67:16]
তোমরা
কি ভাবনামুক্ত
হয়ে গেছ যে, আকাশে
যিনি আছেন তিনি তোমাদেরকে
ভূগর্ভে বিলীন
করে দেবেন, অতঃপর
তা কাঁপতে থাকবে।
[67:17]
না তোমরা
নিশ্চিন্ত হয়ে
গেছ যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের
উপর প্রস্তর বৃষ্টি
বর্ষণ করবেন, অতঃপর
তোমরা জানতে পারবে
কেমন ছিল আমার সতর্কবাণী।
[67:18]
তাদের
পূর্ববর্তীরা
মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর
কত কঠোর হয়েছিল
আমার অস্বীকৃতি।
[67:19]
তারা
কি লক্ষ্য করে
না, তাদের
মাথার উপর উড়ন্ত পক্ষীকুলের
প্রতি পাখা বিস্তারকারী
ও পাখা সংকোচনকারী? রহমান
আল্লাহ-ই তাদেরকে স্থির
রাখেন। তিনি সর্ব-বিষয়
দেখেন।
[67:20]
রহমান
আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত
তোমাদের কোন
সৈন্য আছে কি, যে তোমাদেরকে
সাহায্য করবে? কাফেররা
বিভ্রান্তিতেই
পতিত আছে।
[67:21]
তিনি
যদি রিযিক বন্ধ
করে দেন, তবে কে আছে, যে তোমাদেরকে
রিযিক দিবে বরং
তারা অবাধ্যতা
ও বিমুখতায় ডুবে
রয়েছে।
[67:22]
যে ব্যক্তি
উপুড় হয়ে মুখে
ভর দিয়ে চলে, সে-ই কি
সৎ পথে চলে, না সে
ব্যক্তি যে সোজা
হয়ে সরলপথে চলে?
[67:23]
বলুন, তিনিই
তোমাদেরকে সৃষ্টি
করেছেন এবং দিয়েছেন কর্ণ, চক্ষু
ও অন্তর। তোমরা
অল্পই কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ কর।
[67:24]
বলুন, তিনিই
তোমাদেরকে পৃথিবীতে
বিস্তৃত করেছেন
এবং তাঁরই কাছে
তোমরা সমবেত হবে।
[67:25]
কাফেররা
বলেঃ এই প্রতিশ্রুতি
কবে হবে, যদি তোমরা সত্যবাদী
হও?
[67:26]
বলুন, এর জ্ঞান
আল্লাহ তা’আলার কাছেই
আছে। আমি
তো কেবল প্রকাশ্য
সতর্ককারী।