[2:30]
আর তোমার
পালনকর্তা যখন
ফেরেশতাদিগকে
বললেনঃ আমি পৃথিবীতে
একজন প্রতিনিধি
বানাতে যাচ্ছি, তখন ফেরেশতাগণ
বলল, তুমি
কি পৃথিবীতে এমন
কাউকে সৃষ্টি করবে যে
দাঙ্গা-হাঙ্গামার
সৃষ্টি করবে এবং
রক্তপাত ঘটাবে? অথচ আমরা
নিয়ত তোমার গুণকীর্তন
করছি এবং তোমার
পবিত্র সত্তাকে
স্মরণ করছি।
তিনি বললেন, নিঃসন্দেহে আমি জানি, যা তোমরা
জান না।
[2:31]
আর আল্লাহ
তা’আলা
শিখালেন আদমকে
সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর
নাম। তারপর সে সমস্ত
বস্তু-সামগ্রীকে
ফেরেশতাদের সামনে
উপস্থাপন করলেন।
অতঃপর বললেন, আমাকে তোমরা
এগুলোর নাম বলে
দাও, যদি
তোমরা সত্য হয়ে
থাক।
[2:32]
তারা বলল, তুমি পবিত্র!
আমরা কোন কিছুই
জানি না,
তবে তুমি যা আমাদিগকে
শিখিয়েছ (সেগুলো
ব্যতীত) নিশ্চয়
তুমিই প্রকৃত জ্ঞানসম্পন্ন, হেকমতওয়ালা।
[2:33]
তিনি বললেন, হে আদম, ফেরেশতাদেরকে
বলে দাও এসবের
নাম। তারপর
যখন তিনি
বলে দিলেন সে সবের
নাম, তখন
তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে
বলিনি যে, আমি আসমান ও যমীনের
যাবতীয় গোপন বিষয়
সম্পর্কে খুব ভাল
করেই অবগত রয়েছি? এবং সেসব বিষয়ও জানি
যা তোমরা প্রকাশ
কর, আর যা
তোমরা গোপন কর!
[2:34]
এবং যখন আমি
হযরত আদম (আঃ)-কে
সেজদা করার জন্য
ফেরেশতাগণকে নির্দেশ
দিলাম, তখনই
ইবলীস ব্যতীত সবাই
সিজদা করলো।
সে (নির্দেশ)
পালন করতে অস্বীকার করল
এবং অহংকার প্রদর্শন
করল। ফলে
সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত
হয়ে গেল।
[2:35]
এবং আমি আদমকে
হুকুম করলাম যে, তুমি ও তোমার
স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করতে
থাক এবং ওখানে
যা চাও,
যেখান থেকে
চাও, পরিতৃপ্তিসহ
খেতে থাক, কিন্তু এ গাছের
নিকটবর্তী হয়ো
না। অন্যথায়
তোমরা যালিমদের
অন্তর্ভূক্ত হয়ে
পড়বে।
[2:36]
অনন্তর শয়তান
তাদের উভয়কে ওখান
থেকে পদস্খলিত
করেছিল। পরে
তারা যে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে
ছিল তা থেকে তাদেরকে
বের করে দিল এবং
আমি বললাম, তোমরা নেমে যাও।
তোমরা পরস্পর
একে অপরের শক্র
হবে এবং তোমাদেরকে
সেখানে কিছুকাল অবস্থান
করতে হবে ও লাভ
সংগ্রহ করতে হবে।
[2:37]
অতঃপর হযরত
আদম (আঃ) স্বীয় পালনকর্তার
কাছ থেকে কয়েকটি
কথা শিখে নিলেন, অতঃপর আল্লাহ
পাক তাঁর প্রতি
(করুণাভরে) লক্ষ্য
করলেন। নিশ্চয়ই
তিনি মহা-ক্ষমাশীল
ও অসীম দয়ালু।