[3:101]
আর তোমরা
কেমন করে কাফের
হতে পার, অথচ তোমাদের সামনে
পাঠ করা হয় আল্লাহর
আয়াত সমূহ এবং
তোমাদের মধ্যে
রয়েছেন আল্লাহর
রসূল। আর যারা আল্লাহর
কথা দৃঢ়ভাবে ধরবে, তারা হেদায়েত
প্রাপ্ত হবে সরল
পথের।
[3:102]
হে ঈমানদারগণ!
আল্লাহকে যেমন
ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে
ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই
মুসলমান না হয়ে
মৃত্যুবরণ করো
না।
[3:103]
আর তোমরা
সকলে আল্লাহর রজ্জুকে
সুদৃঢ় হস্তে ধারণ
কর; পরস্পর
বিচ্ছিন্ন হয়ো
না।
আর তোমরা
সে নেয়ামতের কথা
স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে
দান করেছেন। তোমরা
পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর
আল্লাহ তোমাদের
মনে সম্প্রীতি
দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা
তাঁর অনুগ্রহের
কারণে পরস্পর ভাই
ভাই হয়েছ। তোমরা
এক অগ্নিকুন্ডের
পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর
তা থেকে তিনি তোমাদেরকে
মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই
আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ
প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা
হেদায়েত প্রাপ্ত
হতে পার।
[3:104]
আর তোমাদের
মধ্যে এমন একটা
দল থাকা উচিত যারা
আহবান জানাবে সৎকর্মের
প্রতি, নির্দেশ দেবে
ভাল কাজের এবং
বারণ করবে অন্যায়
কাজ থেকে, আর তারাই
হলো সফলকাম।
[3:105]
আর তাদের
মত হয়ো না, যারা বিচ্ছিন্ন
হয়ে গেছে এবং নিদর্শন
সমূহ আসার পরও
বিরোধিতা করতে
শুরু করেছে-তাদের
জন্যে রয়েছে ভয়ঙ্কর আযাব।
[3:106]
সেদিন
কোন কোন মুখ
উজ্জ্বল হবে, আর কোন
কোন মুখ হবে কালো। বস্তুতঃ
যাদের মুখ কালো
হবে, তাদের
বলা হবে, তোমরা কি ঈমান
আনার পর কাফের
হয়ে গিয়েছিলে? এবার সে
কুফরীর বিনিময়ে
আযাবের আস্বাদ
গ্রহণ কর।
[3:107]
আর যাদের
মুখ উজ্জ্বল হবে, তারা থাকবে
রহমতের মাঝে। তাতে তারা
অনন্তকাল অবস্থান
করবে।
[3:108]
এগুলো
হচ্ছে আল্লাহর
নির্দেশ, যা তোমাদিগকে
যথাযথ পাঠ করে শুনানো
হচ্ছে। আর আল্লাহ
বিশ্ব জাহানের
প্রতি উৎপীড়ন
করতে চান না।