[3:116]
নিশ্চয়
যারা কাফের হয়, তাদের
ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি
আল্লাহর সামনে
কখনও কোন কাজে
আসবে না। আর তারাই
হলো দোযখের আগুনের
অধিবাসী। তারা সে
আগুনে চিরকাল থাকবে।
[3:117]
এ দুনিয়ার
জীবনে যা কিছু
ব্যয় করা হয়, তার তুলনা
হলো ঝড়ো হাওয়ার
মতো, যাতে
রয়েছে তুষারের
শৈত্য, যা সে জাতির শস্যক্ষেত্রে
গিয়ে লেগেছে যারা
নিজের জন্য মন্দ
করেছে। অতঃপর সেগুলোকে
নিঃশেষ করে দিয়েছে। বস্তুতঃ আল্লাহ
তাদের উপর কোন
অন্যায় করেননি, কিন্তু
তারা নিজেরাই নিজেদের
উপর অত্যাচার করছিল।
[3:118]
হে ঈমানদারগণ!
তোমরা মুমিন ব্যতীত
অন্য কাউকে অন্তরঙ্গরূপে
গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের
অমঙ্গল সাধনে কোন
ক্রটি করে না-তোমরা
কষ্টে থাক, তাতেই
তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসুত
বিদ্বেষ তাদের
মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা
কিছু তাদের মনে
লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো
অনেকগুণ বেশী জঘন্য। তোমাদের
জন্যে নিদর্শন
বিশদভাবে বর্ণনা
করে দেয়া হলো, যদি তোমরা
তা অনুধাবন করতে সমর্থ
হও।
[3:119]
দেখ! তোমরাই
তাদের ভালবাস, কিন্তু
তারা তোমাদের প্রতি
মোটেও সদভাব পোষণ
করে না। আর তোমরা
সমস্ত কিতাবেই
বিশ্বাস কর। অথচ তারা যখন তোমাদের
সাথে এসে মিশে, বলে, আমরা ঈমান
এনেছি। পক্ষান্তরে
তারা যখন পৃথক হয়ে যায়, তখন তোমাদের
উপর রোষবশতঃ আঙ্গুল
কামড়াতে থাকে। বলুন, তোমরা
আক্রোশে মরতে থাক। আর আল্লাহ
মনের কথা ভালই
জানেন।
[3:120]
তোমাদের
যদি কোন মঙ্গল
হয়; তাহলে
তাদের খারাপ লাগে। আর তোমাদের
যদি অমঙ্গল হয়
তাহলে আনন্দিত
হয় আর তাতে যদি
তোমরা ধৈর্য্যধারণ
কর এবং তাকওয়া অবলম্বন
কর, তবে তাদের
প্রতারণায় তোমাদের
কোনই ক্ষতি হবে
না। নিশ্চয়ই
তারা যা কিছু করে
সে সমস্তই আল্লাহর
আয়ত্তে রয়েছে।
[3:121]
আর আপনি
যখন পরিজনদের কাছ
থেকে সকাল বেলা
বেরিয়ে গিয়ে মুমিনগণকে
যুদ্ধের অবস্থানে
বিন্যস্ত করলেন, আর আল্লাহ
সব বিষয়েই শোনেন
এবং জানেন।