[3:174]
অতঃপর
ফিরে এল মুসলমানরা
আল্লাহর অনুগ্রহ
নিয়ে, তদের কিছুই
অনিষ্ট হলো না। তারপর
তারা আল্লাহর ইচ্ছার
অনুগত হল। বস্তুতঃ
আল্লাহর অনুগ্রহ
অতি বিরাট।
[3:175]
এরা যে
রয়েছে, এরাই হলে শয়তান, এরা নিজেদের
বন্ধুদের ব্যাপারে
ভীতি প্রদর্শন
করে। সুতরাং
তোমরা তাদের ভয়
করো না। আর তোমরা
যদি ঈমানদার হয়ে
থাক, তবে আমাকে
ভয় কর।
[3:176]
আর যারা
কুফরের দিকে ধাবিত
হচ্ছে তারা যেন
তোমাদিগকে চিন্তাম্বিত
করে না তোলে। তারা আল্লাহ
তা’আলার কোন
কিছুই অনিষ্ট সাধন
করতে পারবে না। আখেরাতে
তাদেরকে কোন কল্যাণ
দান না করাই আল্লাহর
ইচ্ছা। বস্তুতঃ তাদের
জন্যে রয়েছে মহা
শাস্তি।
[3:177]
যারা
ঈমানের পরিবর্তে
কুফর ক্রয় করে
নিয়েছে, তারা আল্লাহ তা’আলার কিছুই
ক্ষতিসাধন করতে
পারবে না। আর তাদের
জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি।
[3:178]
কাফেররা
যেন মনে না করে
যে আমি যে, অবকাশ
দান করি, তা তাদের পক্ষে
কল্যাণকর। আমি তো
তাদেরকে অবকাশ
দেই যাতে করে তারা
পাপে উন্নতি লাভ করতে পারে। বস্তুতঃ
তাদের জন্য রয়েছে
লাঞ্ছনাজনক শাস্তি।
[3:179]
নাপাককে
পাক থেকে পৃথক
করে দেয়া পর্যন্ত
আল্লাহ এমন নন যে, ঈমানদারগণকে
সে অবস্থাতেই রাখবেন
যাতে তোমরা রয়েছ, আর আল্লাহ
এমন নন যে, তোমাদিগকে
গায়বের সংবাদ দেবেন। কিন্তু
আল্লাহ স্বীয় রসূল
গণের মধ্যে যাকে
ইচ্ছা বাছাই করে
নিয়েছেন। সুতরাং
আল্লাহর ওপর এবং
তাঁর রসূলগণের
ওপর তোমরা প্রত্যয় স্থাপন
কর।
বস্তুতঃ
তোমরা যদি বিশ্বাস
ও পরহেযগারীর ওপর
প্রতিষ্ঠিত থেকে
থাক, তবে তোমাদের
জন্যে রয়েছে বিরাট
প্রতিদান।
[3:180]
আল্লাহ
তাদেরকে নিজের
অনুগ্রহে যা দান
করেছেন তাতে যারা কৃপণতা
করে এই কার্পন্য
তাদের জন্য মঙ্গলকর
হবে বলে তারা যেন
ধারণা না করে। বরং এটা
তাদের পক্ষে একান্তই
ক্ষতিকর প্রতিপন্ন
হবে। যাতে
তারা কার্পন্য
করে সে সমস্ত ধন-সম্পদকে
কিয়ামতের দিন তাদের
গলায় বেড়ী বানিয়ে
পরানো হবে। আর আল্লাহ হচ্ছেন
আসমান ও যমীনের
পরম সত্ত্বাধিকারী। আর যা
কিছু তোমরা কর; আল্লাহ
সে সম্পর্কে জানেন।