[2:49]
আর (স্মরণ
কর) সে সময়ের কথা, যখন আমি তোমাদিগকে
মুক্তিদান করেছি ফেরআউনের
লোকদের কবল থেকে
যারা তোমাদিগকে
কঠিন শাস্তি দান
করত; তোমাদের পুত্রসন্তানদেরকে
জবাই করত এবং তোমাদের
স্ত্রীদিগকে অব্যাহতি
দিত। বস্তুতঃ
তাতে পরীক্ষা
ছিল তোমাদের পালনকর্তার
পক্ষ থেকে, মহা পরীক্ষা।
[2:50]
আর যখন আমি
তোমাদের জন্য
সাগরকে দ্বিখন্ডিত
করেছি, অতঃপর তোমাদেরকে
বাঁচিয়ে দিয়েছি
এবং ডুবিয়ে দিয়েছি
ফেরআউনের লোকদিগকে
অথচ তোমরা দেখছিলে।
[2:51]
আর যখন আমি
মূসার সাথে ওয়াদা
করেছি চল্লিশ রাত্রির
অতঃপর তোমরা গোবৎস বানিয়ে
নিয়েছ মূসার অনুপস্থিতিতে।
বস্তুতঃ তোমরা
ছিলে যালেম।
[2:52]
তারপর আমি
তাতেও তোমাদেরকে
ক্ষমা করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা
স্বীকার করে নাও।
[2:53]
আর (স্মরণ
কর) যখন আমি মূসাকে
কিতাব এবং সত্য-মিথ্যার
পার্থক্য বিধানকারী
নির্দেশ দান করেছি, যাতে তোমরা
সরল পথ প্রাপ্ত
হতে পার।
[2:54]
আর যখন মূসা
তার সম্প্রদায়কে
বলল, হে
আমার সম্প্রদায়, তোমরা তোমাদেরই
ক্ষতিসাধন করেছ
এই গোবৎস নির্মাণ করে।
কাজেই এখন
তওবা কর স্বীয় স্রষ্টার
প্রতি এবং নিজ
নিজ প্রাণ বিসর্জন
দাও। এটাই
তোমাদের জন্য
কল্যাণকর তোমাদের স্রষ্টার
নিকট। তারপর
তোমাদের প্রতি
লক্ষ্য করা হল।
নিঃসন্দেহে
তিনিই ক্ষমাকারী, অত্যন্ত
মেহেরবান।
[2:55]
আর যখন তোমরা
বললে, হে
মূসা, কস্মিনকালেও
আমরা তোমাকে বিশ্বাস করব না, যতক্ষণ না
আমরা আল্লাহকে
(প্রকাশ্যে) দেখতে
পাব। বস্তুতঃ
তোমাদিগকে পাকড়াও
করল বিদ্যুৎ। অথচ
তোমরা তা প্রত্যক্ষ
করছিলে।
[2:56]
তারপর, মরে যাবার
পর তোমাদিগকে
আমি তুলে দাঁড়
করিয়েছি,
যাতে করে তোমরা
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
করে নাও।
[2:57]
আর আমি তোমাদের
উপর ছায়া দান করেছি
মেঘমালার দ্বারা
এবং তোমাদের
জন্য খাবার পাঠিয়েছি
’মান্না’ ও সালওয়া’। সেসব পবিত্র
বস্তু তোমরা ভক্ষন কর, যা আমি তোমাদেরকে
দান করেছি। বস্তুতঃ
তারা আমার কোন
ক্ষতি করতে পারেনি, বরং নিজেদেরই
ক্ষতি সাধন করেছে।