[4:45]
অথচ আল্লাহ
তোমাদের শত্রুদেরকে
যথার্থই জানেন। আর অভিভাবক
হিসাবে আল্লাহই
যথেষ্ট এবং সাহায্যকারী
হিসাবেও আল্লাহই
যথেষ্ট।
[4:46]
কোন
কোন ইহুদী তার
লক্ষ্য থেকে কথার
মোড় ঘুড়িয়ে নেয় এবং
বলে, আমরা শুনেছি
কিন্তু অমান্য
করছি। তারা আরো
বলে, শোন, না শোনার মত। মুখ বাঁকিয়ে
দ্বীনের প্রতি
তাচ্ছিল্য প্রদর্শনের
উদ্দেশে বলে, রায়েনা’ (আমাদের
রাখাল)। অথচ যদি তারা
বলত যে, আমরা শুনেছি ও
মান্য করেছি এবং
(যদি বলত, ) শোন এবং আমাদের
প্রতি লক্ষ্য রাখ, তবে তাই
ছিল তাদের জন্য
উত্তম আর সেটাই
ছিল যথার্থ ও সঠিক। কিন্তু
আল্লাহ তাদের প্রতি
অভিসম্পাত করেছেন
তাদের কুফরীর দরুন। অতএব, তারা ঈমান
আনছে না, কিন্তু অতি অল্পসংখ্যক।
[4:47]
হে আসমানী
গ্রন্থের অধিকারীবৃন্দ!
যা কিছু আমি অবতীর্ণ
করেছি তার উপর
বিশ্বাস স্থাপন
কর, যা সে
গ্রন্থের সত্যায়ন
করে এবং যা তোমাদের
নিকট রয়েছে পূর্ব
থেকে। (বিশ্বাস স্থাপন
কর) এমন হওয়ার আগেই
যে, আমি মুছে দেব
অনেক চেহারাকে
এবং অতঃপর সেগুলোকে
ঘুরিয়ে দেব পশ্চাৎ
দিকে কিংবা অভিসম্পাত
করব তাদের প্রতি
যেমন করে অভিসম্পাত
করেছি আছহাবে-সাবতের
উপর। আর আল্লাহর
নির্দেশ অবশ্যই
কার্যকর হবে।
[4:48]
নিঃসন্দেহে
আল্লাহ তাকে ক্ষমা
করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক
করে। তিনি
ক্ষমা করেন এর
নিম্ন পর্যায়ের
পাপ, যার জন্য
তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে
লোক অংশীদার সাব্যস্ত
করল আল্লাহর সাথে, সে যেন
অপবাদ আরোপ করল।
[4:49]
তুমি
কি তাদেকে দেখনি, যারা নিজেদেরকে
পূত-পবিত্র বলে থাকে অথচ
পবিত্র করেন আল্লাহ
যাকে ইচ্ছা তাকেই? বস্তুতঃ
তাদের উপর সুতা
পরিমাণ অন্যায়ও
হবে না।
[4:50]
লক্ষ্য
কর, কেমন করে
তারা আল্লাহর প্রতি
মিথ্যা অপবাদ আরোপ
করে, অথচ এই
প্রকাশ্য পাপই
যথেষ্ট।
[4:51]
তুমি
কি তাদেরকে দেখনি, যারা কিতাবের
কিছু অংশ প্রাপ্ত
হয়েছে, যারা মান্য করে
প্রতিমা ও শয়তানকে
এবং কাফেরদেরকে
বলে যে, এরা মুসলমানদের
তুলনায় অধিকতর
সরল সঠিক পথে রয়েছে।