[4:52]
এরা হলো
সে সমস্ত লোক, যাদের
উপর লা’নত করেছেন আল্লাহ
তা’আলা স্বয়ং। বস্তুতঃ
আল্লাহ যার উপর
লা’নত করেন
তুমি তার কোন সাহায্যকারী
খুঁজে পাবে না।
[4:53]
তাদের
কাছে কি রাজ্যের
কোন অংশ আছে? তাহলে
যে এরা কাউকেও একটি
তিল পরিমাণও দেবে
না।
[4:54]
নাকি
যাকিছু আল্লাহ
তাদেরকে স্বীয়
অনুগ্রহে দান করেছেন
সে বিষয়ের জন্য
মানুষকে হিংসা
করে। অবশ্যই
আমি ইব্রাহীমের
বংশধরদেরকে কিতাব
ও হেকমত দান করেছিলাম
আর তাদেরকে দান
করেছিলাম বিশাল
রাজ্য।
[4:55]
অতঃপর
তাদের কেউ তাকে
মান্য করেছে আবার
কেউ তার কাছ থেকে দূরে
সরে রয়েছে। বস্তুতঃ
(তাদের জন্য) দোযখের
শিখায়িত আগুনই
যথেষ্ট।
[4:56]
এতে সন্দেহ
নেই যে, আমার নিদর্শন
সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি
জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে
আগুনে নিক্ষেপ
করব। তাদের
চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে
যাবে, তখন
আবার আমি তা পালটে
দেব অন্য চামড়া
দিয়ে, যাতে
তারা আযাব আস্বাদন
করতে থাকে। নিশ্চয়ই
আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের
অধিকারী।
[4:57]
আর যারা
ঈমান এনেছে এবং
সৎকর্ম করেছে, অবশ্য
আমি প্রবিষ্ট করাব
তাদেরকে জান্নাতে, যার তলদেশে
প্রবাহিত রয়েছে
নহর সমূহ। সেখানে তারা থাকবে
অনন্তকাল। সেখানে
তাদের জন্য থাকবে
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন
স্ত্রীগণ। তাদেরকে
আমি প্রবিষ্ট করব
ঘন ছায়া নীড়ে।
[4:58]
নিশ্চয়ই
আল্লাহ তোমাদিগকে
নির্দেশ দেন যে, তোমরা যেন প্রাপ্য
আমানতসমূহ প্রাপকদের
নিকট পৌছে দাও। আর যখন
তোমরা মানুষের
কোন বিচার-মীমাংসা
করতে আরম্ভ কর, তখন মীমাংসা
কর ন্যায় ভিত্তিক। আল্লাহ
তোমাদিগকে সদুপদেশ
দান করেন। নিশ্চয়ই
আল্লাহ শ্রবণকারী, দর্শনকারী।
[4:59]
হে ঈমানদারগণ!
আল্লাহর নির্দেশ
মান্য কর, নির্দেশ মান্য
কর রসূলের এবং
তোমাদের মধ্যে
যারা বিচারক তাদের। তারপর
যদি তোমরা কোন বিষয়ে
বিবাদে প্রবৃত্ত
হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ
ও তাঁর রসূলের
প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি
তোমরা আল্লাহ
ও কেয়ামত দিবসের
উপর বিশ্বাসী হয়ে
থাক। আর
এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির
দিক দিয়ে উত্তম।