[4:75]
আর তোমাদের
কি হল যে, তেমারা আল্লাহর
রাহে লড়াই করছ না দুর্বল
সেই পুরুষ, নারী ও
শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের
পালনকর্তা! আমাদিগকে
এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি
দান কর; এখানকার অধিবাসীরা
যে, অত্যাচারী!
আর তোমার পক্ষ থেকে
আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী
নির্ধারণ করে দাও
এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের
জন্য সাহায্যকারী
নির্ধারণ করে দাও।
[4:76]
যারা
ঈমানদার তারা যে, জেহাদ
করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে
যারা কাফের তারা
লড়াই করে শয়তানের
পক্ষে সুতরাং তোমরা
জেহাদ করতে থাক শয়তানের
পক্ষালম্বনকারীদের
বিরুদ্ধে, (দেখবে)
শয়তানের চক্রান্ত
একান্তই দুর্বল।
[4:77]
তুমি
কি সেসব লোককে
দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ
দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা
নিজেদের হাতকে
সংযত রাখ, নামায
কায়েম কর এবং যাকাত
দিতে থাক? অতঃপর
যখন তাদের প্রতি
জেহাদের নির্দেশ
দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের
মধ্যে একদল লোক মানুষকে
ভয় করতে আরম্ভ
করল, যেমন করে
ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি
তার চেয়েও অধিক ভয়। আর বলতে
লাগল, হায়
পালনকর্তা, কেন আমাদের
উপর যুদ্ধ ফরজ
করলে! আমাদেরকে
কেন আরও কিছুকাল
অবকাশ দান করলে
না।
( হে রসূল)
তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব
ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত
পরহেযগারদের জন্য
উত্তম। আর তোমাদের
অধিকার একটি সূতা
পরিমান ও খর্ব করা
হবে না।
[4:78]
তোমরা
যেখানেই থাক না
কেন; মৃত্যু
কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও
করবেই। যদি তোমরা
সুদৃঢ় দূর্গের
ভেতরেও অবস্থান
কর, তবুও। বস্তুতঃ
তাদের কোন কল্যাণ
সাধিত হলে তারা
বলে যে, এটা সাধিত হয়েছে
আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি তাদের
কোন অকল্যাণ হয়, তবে বলে, এটা হয়েছে
তোমার পক্ষ থেকে, বলে দাও, এসবই আল্লাহর
পক্ষ থেকে। পক্ষান্তরে
তাদের পরিণতি কি
হবে, যারা কখনও
কোন কথা বুঝতে চেষ্টা
করে না।
[4:79]
আপনার
যে কল্যাণ হয়, তা হয়
আল্লাহর পক্ষ থেকে
আর আপনার যে অকল্যাণ
হয়, সেটা হয়
আপনার নিজের কারণে। আর আমি
আপনাকে পাঠিয়েছি মানুষের
প্রতি আমার পয়গামের
বাহক হিসাবে। আর আল্লাহ
সব বিষয়েই যথেষ্ট-সববিষয়ই তাঁর সম্মুখে
উপস্থিত।