Part 22
[33:31]
তোমাদের
মধ্যে যে কেউ
আল্লাহ ও তাঁর
রসূলের অনুগত
হবে এবং সৎকর্ম
করবে, আমি তাকে
দুবার
পুরস্কার দেব
এবং তার জন্য
আমি সম্মান
জনক রিযিক
প্রস্তুত
রেখেছি।
[33:32]
হে
নবী পত্নীগণ!
তোমরা অন্য নারীদের মত
নও; যদি তোমরা
আল্লাহকে ভয়
কর, তবে
পরপুরুষের সাথে
কোমল ও
আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা
বলো না, ফলে সেই
ব্যক্তি
কুবাসনা করে, যার
অন্তরে
ব্যাধি
রয়েছে তোমরা
সঙ্গত
কথাবার্তা
বলবে।
[33:33]
তোমরা
গৃহাভ্যন্তরে
অবস্থান করবে-মূর্খতা
যুগের অনুরূপ
নিজেদেরকে
প্রদর্শন
করবে না। নামায
কায়েম করবে, যাকাত
প্রদান করবে
এবং আল্লাহ ও
তাঁর রসূলের
আনুগত্য করবে। হে
নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ
কেবল চান
তোমাদের থেকে
অপবিত্রতা দূর
করতে এবং
তোমাদেরকে পূর্ণরূপে
পূত-পবিত্র
রাখতে।
[33:34]
আল্লাহর
আয়াত ও
জ্ঞানগর্ভ কথা, যা
তোমাদের গৃহে
পঠিত হয়
তোমরা সেগুলো
স্মরণ করবে। নিশ্চয়
আল্লাহ সূক্ষ্নদর্শী, সর্ববিষয়ে
খবর রাখেন।
[33:35]
নিশ্চয়
মুসলমান
পুরুষ, মুসলমান
নারী, ঈমানদার
পুরুষ, ঈমানদার
নারী, অনুগত
পুরুষ, অনুগত
নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী
নারী, ধৈর্য্যশীল
পুরুষ, ধৈর্য্যশীল
নারী, বিনীত
পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল
পুরুষ, দানশীল
নারী, রোযা পালণকারী
পুরুষ, রোযা
পালনকারী
নারী, যৌনাঙ্গ
হেফাযতকারী
পুরুষ, , যৌনাঙ্গ
হেফাযতকারী
নারী, আল্লাহর
অধিক
যিকরকারী পুরুষ ও
যিকরকারী
নারী-তাদের
জন্য আল্লাহ
প্রস্তুত
রেখেছেন
ক্ষমা ও
মহাপুরষ্কার।
[33:36]
আল্লাহ
ও তাঁর রসূল
কোন কাজের আদেশ করলে
কোন ঈমানদার
পুরুষ ও ঈমানদার
নারীর সে
বিষয়ে ভিন্ন
ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ
ও তাঁর রসূলের
আদেশ অমান্য
করে সে প্রকাশ্য
পথভ্রষ্ট
তায় পতিত হয়।
[33:37]
আল্লাহ
যাকে অনুগ্রহ
করেছেন; আপনিও
যাকে অনুগ্রহ
করেছেন; তাকে যখন
আপনি
বলেছিলেন, তোমার
স্ত্রীকে
তোমার কাছেই থাকতে দাও
এবং আল্লাহকে
ভয় কর। আপনি
অন্তরে এমন
বিষয় গোপন
করছিলেন, যা
আল্লাহ পাক
প্রকাশ করে
দেবেন আপনি
লোকনিন্দার
ভয় করেছিলেন
অথচ
আল্লাহকেই
অধিক ভয় করা উচিত। অতঃপর
যায়েদ যখন
যয়নবের সাথে
সম্পর্ক ছিন্ন
করল, তখন আমি
তাকে আপনার সাথে
বিবাহবন্ধনে
আবদ্ধ করলাম
যাতে মুমিনদের
পোষ্যপুত্ররা
তাদের
স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক
ছিন্ন করলে
সেসব
স্ত্রীকে
বিবাহ করার
ব্যাপারে
মুমিনদের কোন
অসুবিধা না থাকে। আল্লাহর
নির্দেশ
কার্যে পরিণত
হয়েই থাকে।
[33:38]
আল্লাহ
নবীর জন্যে যা
নির্ধারণ করেন, তাতে
তাঁর কোন বাধা
নেই
পূর্ববর্তী
নবীগণের ক্ষেত্রে
এটাই ছিল
আল্লাহর চিরাচরিত
বিধান। আল্লাহর
আদেশ
নির্ধারিত, অবধারিত।
[33:39]
সেই
নবীগণ
আল্লাহর
পয়গাম প্রচার
করতেন ও তাঁকে
ভয় করতেন। তারা
আল্লাহ
ব্যতীত
অন্যকাউকে
ভয় করতেন না। হিসাব
গ্রহণের
জন্যে আল্লাহ
যথেষ্ঠ।
[33:40]
মুহাম্মদ
তোমাদের কোন
ব্যক্তির পিতা নন; বরং
তিনি আল্লাহর
রাসূল এবং শেষ
নবী। আল্লাহ
সব বিষয়ে
জ্ঞাত।
[33:41]
মুমিনগণ
তোমরা
আল্লাহকে
অধিক পরিমাণে
স্মরণ কর।
[33:42]
এবং
সকাল বিকাল
আল্লাহর পবিত্রতা
বর্ণনা কর।
[33:43]
তিনিই
তোমাদের
প্রতি রহমত
করেন এবং
তাঁর
ফেরেশতাগণও
রহমতের দোয়া
করেন-অন্ধকার
থেকে
তোমাদেরকে
আলোকে বের
করার জন্য। তিনি
মুমিনদের
প্রতি পরম
দয়ালু।
[33:44]
যেদিন
আল্লাহর সাথে
মিলিত হবে; সেদিন
তাদের
অভিবাদন হবে
সালাম। তিনি
তাদের জন্যে
সম্মানজনক
পুরস্কার
প্রস্তুত রেখেছেন।
[33:45]
হে
নবী! আমি
আপনাকে
সাক্ষী, সুসংবাদ
দাতা ও
সতর্ককারীরূপে
প্রেরণ করেছি।
[33:46]
এবং
আল্লাহর
আদেশক্রমে
তাঁর দিকে
আহবায়করূপে
এবং উজ্জ্বল
প্রদীপরূপে।
[33:47]
আপনি
মুমিনদেরকে
সুসংবাদ দিন যে, তাদের
জন্য আল্লাহর
পক্ষ থেকে
বিরাট অনুগ্রহ
রয়েছে।
[33:48]
আপনি
কাফের ও
মুনাফিকদের আনুগত্য
করবেন না এবং
তাদের উৎপীড়ন
উপেক্ষা করুন
ও আল্লাহর উপর
ভরসা করুন। আল্লাহ
কার্যনিবার্হীরূপে
যথেষ্ট।
[33:49]
মুমিনগণ!
তোমরা যখন
মুমিন নারীদেরকে
বিবাহ কর, অতঃপর
তাদেরকে
স্পর্শ করার
পূর্বে তালাক
দিয়ে দাও, তখন তাদেরকে
ইদ্দত পালনে
বাধ্য করার
অধিকার তোমাদের
নাই। অতঃপর
তোমরা
তাদেরকে কিছু দেবে এবং
উত্তম
পন্থায়
বিদায় দেবে।
[33:50]
হে
নবী! আপনার
জন্য আপনার স্ত্রীগণকে
হালাল করেছি, যাদেরকে
আপনি মোহরানা
প্রদান করেন। আর
দাসীদেরকে
হালাল করেছি, যাদেরকে
আল্লাহ আপনার
করায়ত্ব করে
দেন এবং বিবাহের
জন্য বৈধ
করেছি আপনার চাচাতো
ভগ্নি, ফুফাতো
ভগ্নি, মামাতো
ভগ্নি, খালাতো
ভগ্নিকে যারা
আপনার সাথে
হিজরত করেছে। কোন
মুমিন নারী
যদি নিজেকে
নবীর কাছে
সমর্পন করে, নবী
তাকে বিবাহ
করতে চাইলে
সেও হালাল। এটা
বিশেষ করে
আপনারই
জন্য-অন্য
মুমিনদের জন্য
নয়। আপনার অসুবিধা
দূরীকরণের
উদ্দেশে। মুমিনগণের
স্ত্রী ও
দাসীদের
ব্যাপারে যা
নির্ধারিত করেছি আমার
জানা আছে। আল্লাহ
ক্ষমাশীল, দয়ালু।
[33:51]
আপনি
তাদের মধ্যে
যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে
পারেন এবং
যাকে ইচ্ছা
কাছে রাখতে পারেন। আপনি
যাকে দূরে
রেখেছেন, তাকে
কামনা করলে
তাতে আপনার
কোন দোষ নেই। এতে
অধিক
সম্ভাবনা আছে
যে, তাদের
চক্ষু শীতল
থাকবে; তারা
দুঃখ পাবে না
এবং আপনি যা
দেন, তাতে
তারা সকলেই
সন্তুষ্ট
থাকবে। তোমাদের
অন্তরে যা আছে, আল্লাহ
জানেন। আল্লাহ
সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
[33:52]
এরপর
আপনার জন্যে
কোন নারী হালাল
নয় এবং তাদের
পরিবর্তে
অন্য স্ত্রী গ্রহণ
করাও হালাল
নয় যদিও
তাদের রূপলাবণ্য
আপনাকে মুগ্ধ
করে, তবে
দাসীর
ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ
সর্ব বিষয়ের
উপর সজাগ
নজর রাখেন।
[33:53]
হে
মুমিনগণ!
তোমাদেরকে
অনুমতি দেয়া
না হলে তোমরা
খাওয়ার জন্য
আহার্য রন্ধনের
অপেক্ষা না
করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো
না। তবে
তোমরা আহুত
হলে প্রবেশ
করো, তবে
অতঃপর খাওয়া
শেষে আপনা
আপনি চলে
যেয়ো, কথাবার্তায়
মশগুল হয়ে
যেয়ো না। নিশ্চয়
এটা নবীর জন্য
কষ্টদায়ক। তিনি
তোমাদের কাছে
সংকোচ বোধ
করেন; কিন্তু
আল্লাহ
সত্যকথা বলতে
সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর
পত্নীগণের
কাছে কিছু
চাইলে পর্দার
আড়াল থেকে
চাইবে। এটা
তোমাদের অন্তরের
জন্যে এবং
তাঁদের
অন্তরের
জন্যে অধিকতর
পবিত্রতার
কারণ। আল্লাহর
রাসূলকে কষ্ট
দেয়া এবং
তাঁর ওফাতের
পর তাঁর
পত্নীগণকে
বিবাহ করা
তোমাদের জন্য
বৈধ নয়। আল্লাহর
কাছে এটা
গুরুতর অপরাধ।
[33:54]
তোমরা
খোলাখুলি
কিছু বল অথবা গোপন রাখ, আল্লাহ
সর্ব বিষয়ে
সর্বজ্ঞ।
[33:55]
নবী-পত্নীগণের
জন্যে তাঁদের পিতা পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নি
পুত্র, সহধর্মিনী
নারী এবং
অধিকার ভুক্ত
দাসদাসীগণের
সামনে
যাওয়ার
ব্যাপারে
গোনাহ নেই। নবী-পত্নীগণ, তোমরা আল্লাহকে
ভয় কর। নিশ্চয়
আল্লাহ সর্ব
বিষয়
প্রত্যক্ষ
করেন।
[33:56]
আল্লাহ
ও তাঁর
ফেরেশতাগণ
নবীর প্রতি
রহমত প্রেরণ
করেন। হে মুমিনগণ!
তোমরা নবীর
জন্যে রহমতের
তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি
সালাম প্রেরণ
কর।
[33:57]
যারা
আল্লাহ ও তাঁর
রসূলকে কষ্ট
দেয়, আল্লাহ
তাদের প্রতি
ইহকালে ও
পরকালে
অভিসম্পাত
করেন এবং
তাদের জন্যে প্রস্তুত
রেখেছেন
অবমাননাকর
শাস্তি।
[33:58]
যারা
বিনা অপরাধে
মুমিন পুরুষ ও মুমিন
নারীদেরকে
কষ্ট দেয়, তারা
মিথ্যা অপবাদ
ও প্রকাশ্য
পাপের বোঝা বহন
করে।
[33:59]
হে
নবী! আপনি
আপনার
পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে
এবং মুমিনদের
স্ত্রীগণকে
বলুন, তারা যেন
তাদের চাদরের
কিয়দংশ নিজেদের
উপর টেনে নেয়। এতে
তাদেরকে চেনা
সহজ হবে। ফলে
তাদেরকে
উত্যক্ত করা
হবে না। আল্লাহ
ক্ষমাশীল পরম
দয়ালু।
[33:60]
মুনাফিকরা
এবং যাদের
অন্তরে রোগ
আছে এবং
মদীনায় গুজব
রটনাকারীরা
যদি বিরত না
হয়, তবে আমি
অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে
আপনাকে
উত্তেজিত করব। অতঃপর
এই শহরে আপনার
প্রতিবেশী
অল্পই থাকবে।
[33:61]
অভিশপ্ত
অবস্থায়
তাদেরকে যেখানেই
পাওয়া যাবে, ধরা
হবে এবং
প্রাণে বধ করা
হবে।
[33:62]
যারা
পূর্বে অতীত
হয়ে গেছে, তাদের
ব্যাপারে
এটাই ছিল
আল্লাহর রীতি। আপনি
আল্লাহর
রীতিতে কখনও
পরিবর্তন
পাবেন না।
[33:63]
লোকেরা
আপনাকে
কেয়ামত সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করে। বলুন, এর
জ্ঞান
আল্লাহর
কাছেই। আপনি
কি করে জানবেন
যে সম্ভবতঃ
কেয়ামত
নিকটেই।
[33:64]
নিশ্চয়
আল্লাহ
কাফেরদেরকে অভিসম্পাত
করেছেন এবং
তাদের জন্যে
জ্বলন্ত অগ্নি
প্রস্তুত
রেখেছেন।
[33:65]
তথায়
তারা
অনন্তকাল
থাকবে এবং কোন অভিভাবক
ও
সাহায্যকারী
পাবে না।
[33:66]
যেদিন
অগ্নিতে
তাদের
মুখমন্ডল ওলট পালট করা
হবে; সেদিন
তারা বলবে, হায়। আমরা
যদি আল্লাহর
আনুগত্য
করতাম ও রসূলের
আনুগত্য
করতাম।
[33:67]
তারা
আরও বলবে, হে
আমাদের পালনকর্তা, আমরা
আমাদের নেতা ও
বড়দের কথা
মেনেছিলাম, অতঃপর
তারা আমাদের পথভ্রষ্ট
করেছিল।
[33:68]
হে
আমাদের
পালনকর্তা!
তাদেরকে দ্বিগুণ
শাস্তি দিন
এবং তাদেরকে
মহা
অভিসম্পাত করুন।
[33:69]
হে
মুমিনগণ!
মূসাকে যারা
কষ্ট দিয়েছে, তোমরা
তাদের মত হয়ো
না। তারা যা
বলেছিল, আল্লাহ
তা থেকে তাঁকে
নির্দোষ প্রমাণ
করেছিলেন। তিনি
আল্লাহর কাছে
ছিলেন
মর্যাদাবান।
[33:70]
হে
মুমিনগণ!
আল্লাহকে ভয়
কর এবং
সঠিক কথা বল।
[33:71]
তিনি
তোমাদের
আমল-আচরণ
সংশোধন করবেন
এবং তোমাদের
পাপসমূহ
ক্ষমা করবেন। যে
কেউ আল্লাহ ও
তাঁর রসূলের
আনুগত্য করে, সে
অবশ্যই মহা
সাফল্য অর্জন
করবে।
[33:72]
আমি
আকাশ পৃথিবী ও
পর্বতমালার সামনে এই
আমানত পেশ
করেছিলাম, অতঃপর
তারা একে বহন
করতে অস্বীকার
করল এবং এতে
ভীত হল; কিন্তু
মানুষ তা বহণ
করল। নিশ্চয়
সে জালেম-অজ্ঞ।
[33:73]
যাতে
আল্লাহ
মুনাফিক
পুরুষ, মুনাফিক
নারী, মুশরিক
পুরুষ, মুশরিক
নারীদেরকে
শাস্তি দেন
এবং মুমিন পুরুষ
ও মুমিন
নারীদেরকে
ক্ষমা করেন। আল্লাহ
ক্ষমাশীল, পরম
দয়ালু।
34
শুরু করছি
আল্লাহর নামে
যিনি পরম
করুণাময়, অতি
দয়ালু।
[34:1]
সমস্ত
প্রশংসা
আল্লাহর, যিনি নভোমন্ডলে
যা আছে এবং
ভূমন্ডলে যা
আছে সব কিছুর
মালিক এবং
তাঁরই
প্রশংসা
পরকালে। তিনি
প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ।
[34:2]
তিনি
জানেন যা
ভূগর্ভে
প্রবেশ করে, যা
সেখান থেকে
নির্গত হয়, যা আকাশ
থেকে বর্ষিত
হয় এবং যা
আকাশে উত্থিত হয়। তিনি
পরম দয়ালু
ক্ষমাশীল।
[34:3]
কাফেররা
বলে আমাদের
উপর কেয়ামত
আসবে না। বলুন
কেন আসবে না? আমার
পালনকর্তার
শপথ-অবশ্যই
আসবে। তিনি অদৃশ্য
সম্পর্কে
জ্ঞাত। নভোমন্ডলে
ও ভূ-মন্ডলে
তাঁর আগোচরে
নয় অণু পরিমাণ
কিছু, না তদপেক্ষা
ক্ষুদ্র এবং
না বৃহৎ-সমস্তই
আছে সুস্পষ্ট
কিতাবে।
[34:4]
তিনি
পরিণামে যারা
মুমিন ও সৎকর্ম
পরায়ণ, তাদেরকে
প্রতিদান
দেবেন। তাদের
জন্য রয়েছে
ক্ষমা ও
সম্মান জনক রিযিক।
[34:5]
আর
যারা আমার
আয়াত সমূহকে ব্যর্থ করার
জন্য উঠে পড়ে
লেগে যায়, তাদের
জন্যে রয়েছে
যন্ত্রনাদায়ক
শাস্তি।
[34:6]
যারা
জ্ঞানপ্রাপ্ত, তারা
আপনার পালনকর্তার
নিকট থেকে
অবর্তীর্ণ
কোরআনকে সত্য
জ্ঞান করে এবং
এটা মানুষকে পরাক্রমশালী, প্রশংসার্হ
আল্লাহর পথ
প্রদর্শন করে।
[34:7]
কাফেররা
বলে, আমরা কি তোমাদেরকে
এমন ব্যক্তির
সন্ধান দেব, যে
তোমাদেরকে
খবর দেয় যে; তোমরা
সম্পুর্ণ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন
হয়ে গেলেও
তোমরা নতুন
সৃজিত হবে।
[34:8]
সে
আল্লাহ
সম্পর্কে
মিথ্যা বলে, না
হয় সে উম্মাদ
এবং যারা
পরকালে
অবিশ্বাসী, তারা
আযাবে ও ঘোর পথভ্রষ্টতায়
পতিত আছে।
[34:9]
তারা
কি তাদের
সামনের ও পশ্চাতের
আকাশ ও
পৃথিবীর
প্রতিলক্ষ্য
করে না? আমি
ইচ্ছা করলে
তাদের সহ ভূমি ধসিয়ে দেব
অথবা আকাশের
কোন খন্ড
তাদের উপর পতিত
করব। আল্লাহ
অভিমুখী
প্রত্যেক বান্দার
জন্য এতে
অবশ্যই
নিদর্শন
রয়েছে।
[34:10]
আমি
দাউদের প্রতি
অনুগ্রহ করেছিলাম
এই আদেশ মর্মে
যে, হে
পর্বতমালা, তোমরা
দাউদের সাথে
আমার
পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং
হে পক্ষী সকল, তোমরাও। আমি
তাঁর জন্য
লৌহকে নরম করে
ছিলাম।
[34:11]
এবং
তাকে আমি বলে
ছিলাম, প্রশস্ত
বর্ম তৈরী কর, কড়াসমূহ
যথাযথভাবে
সংযুক্ত কর
এবং সৎকর্ম
সম্পাদন কর। তোমরা যা
কিছু কর, আমি
তা দেখি।
[34:12]
আর
আমি
সোলায়মানের
অধীন করেছিলাম
বায়ুকে, যা
সকালে এক
মাসের পথ এবং
বিকালে এক
মাসের পথ অতিক্রম
করত। আমি
তার জন্যে
গলিত তামার এক
ঝরণা
প্রবাহিত করেছিলাম। কতক
জিন তার সামনে
কাজ করত তার
পালনকর্তার
আদেশে। তাদের
যে কেউ আমার
আদেশ অমান্য
করবে, আমি
জ্বলন্ত
অগ্নির-শাস্তি আস্বাদন
করাব।
[34:13]
তারা
সোলায়মানের
ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউযসদৃশ
বৃহদাকার
পাত্র এবং
চুল্লির উপর স্থাপিত
বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। হে
দাউদ পরিবার!
কৃতজ্ঞতা
সহকারে তোমরা
কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের
মধ্যে
অল্পসংখ্যকই
কৃতজ্ঞ।
[34:14]
যখন
আমি
সোলায়মানের
মৃত্যু ঘটালাম, তখন
ঘুণ পোকাই
জিনদেরকে
তাঁর মৃত্যু
সম্পর্কে
অবহিত করল। সোলায়মানের লাঠি খেয়ে
যাচ্ছিল। যখন
তিনি মাটিতে
পড়ে গেলেন, তখন
জিনেরা বুঝতে
পারল যে, অদৃশ্য
বিষয়ের
জ্ঞান থাকলে
তারা এই
লাঞ্ছনাপূর্ণ
শাস্তিতে
আবদ্ধ থাকতো
না।
[34:15]
সাবার
অধিবাসীদের
জন্যে তাদের বাসভূমিতে
ছিল এক
নিদর্শন-দুটি
উদ্যান, একটি
ডানদিকে, একটি
বামদিকে। তোমরা তোমাদের
পালনকর্তার
রিযিক খাও এবং
তাঁর প্রতি
কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ কর। স্বাস্থ্যকর শহর এবং
ক্ষমাশীল
পালনকর্তা।
[34:16]
অতঃপর
তারা
অবাধ্যতা করল
ফলে আমি
তাদের উপর
প্রেরণ করলাম
প্রবল বন্যা!
আর তাদের উদ্যানদ্বয়কে
পরিবর্তন করে দিলাম এমন
দুই উদ্যানে, যাতে
উদগত হয়
বিস্বাদ
ফলমূল, ঝাউ গাছ
এবং সামান্য কুলবৃক্ষ।
[34:17]
এটা
ছিল কুফরের
কারণে তাদের প্রতি আমার
শাস্তি। আমি
অকৃতজ্ঞ
ব্যতীত কাউকে
শাস্তি দেই না।
[34:18]
তাদের
এবং যেসব
জনপদের
লোকদের প্রতি
আমি অনুগ্রহ
করেছিলম
সেগুলোর
মধ্যবর্তী
স্থানে অনেক দৃশ্যমান
জনপদ স্থাপন করেছিলাম
এবং সেগুলোতে
ভ্রমণ
নির্ধারিত করেছিলাম। তোমরা
এসব জনপদে
রাত্রে ও দিনে নিরাপদে
ভ্রমণ কর।
[34:19]
অতঃপর
তারা বলল, হে
আমাদের পালনকর্তা, আমাদের
ভ্রমণের
পরিসর
বাড়িয়ে দাও। তারা
নিজেদের
প্রতি জুলুম করেছিল। ফলে
আমি তাদেরকে
উপাখ্যানে
পরিণত করলাম
এবং সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন
করে দিলাম। নিশ্চয়
এতে প্রত্যেক
ধৈর্যশীল
কৃতজ্ঞের জন্যে নিদর্শনাবলী
রয়েছে।
[34:20]
আর
তাদের উপর
ইবলীস তার
অনুমান সত্য
হিসেবে
প্রতিষ্ঠিত
করল। ফলে
তাদের মধ্যে
মুমিনদের
একটি দল
ব্যতীত সকলেই
তার পথ
অনুসরণ করল।
[34:21]
তাদের
উপর শয়তানের
কোন ক্ষমতা ছিল না, তবে কে
পরকালে
বিশ্বাস করে
এবং কে তাতে
সন্দেহ করে, তা
প্রকাশ করাই
ছিল আমার
উদ্দেশ্য। আপনার
পালনকর্তা সব
বিষয়ে
তত্ত্বাবধায়ক।
[34:22]
বলুন, তোমরা
তাদেরকে
আহবান কর, যাদেরকে
উপাস্য মনে
করতে আল্লাহ
ব্যতীত। তারা
নভোমন্ডল ও
ভূ-মন্ডলের
অনু পরিমাণ কোন কিছুর
মালিক নয়, এতে
তাদের কোন
অংশও নেই এবং
তাদের কেউ
আল্লাহর
সহায়কও নয়।
[34:23]
যার
জন্যে অনুমতি
দেয়া হয়, তার
জন্যে ব্যতীত
আল্লাহর কাছে
কারও সুপারিশ
ফলপ্রসূ হবে
না। যখন
তাদের মন থেকে ভয়-ভীতি দূর
হয়ে যাবে, তখন
তারা পরস্পরে
বলবে, তোমাদের
পালনকর্তা কি
বললেন? তারা
বলবে, তিনি
সত্য বলেছেন
এবং তিনিই
সবার উপরে
মহান।
[34:24]
বলুন, নভোমন্ডল
ও ভূ-মন্ডল থেকে কে
তোমাদের কে
রিযিক দেয়। বলুন, আল্লাহ। আমরা
অথবা তোমরা সৎপথে অথবা স্পষ্ট
বিভ্রান্তিতে
আছি ও আছ?
[34:25]
বলুন, আমাদের
অপরাধের
জন্যে তোমরা
জিজ্ঞাসিত
হবে না এবং
তোমরা যা কিছু
কর, সে
সম্পর্কে
আমরা
জিজ্ঞাসিত হব না।
[34:26]
বলুন, আমাদের
পালনকর্তা আমাদেরকে
সমবেত করবেন, অতঃপর
তিনি আমাদের
মধ্যে
সঠিকভাবে
ফয়সালা করবেন। তিনি ফয়সালাকারী, সর্বজ্ঞ।
[34:27]
বলুন, তোমরা
যাদেরকে
আল্লাহর সাথে
অংশীদাররূপে
সংযুক্ত করেছ, তাদেরকে
এনে আমাকে
দেখাও। বরং
তিনিই আল্লাহ, পরাক্রমশীল, প্রজ্ঞাময়।
[34:28]
আমি
আপনাকে সমগ্র
মানবজাতির জন্যে
সুসংবাদাতা ও
সতর্ককারী
রূপে পাঠিয়েছি; কিন্তু
অধিকাংশ
মানুষ তা জানে
না।
[34:29]
তারা
বলে, তোমরা
যদি সত্যবাদী হও, তবে বল, এ
ওয়াদা কখন
বাস্তবায়িত
হবে?
[34:30]
বলুন, তোমাদের
জন্যে একটি দিনের
ওয়াদা
রয়েছে যাকে
তোমরা এক
মহূর্তও বিলম্বিত
করতে পারবে না
এবং ত্বরান্বিত
ও করতে পারবে
না।
[34:31]
কাফেররা
বলে, আমরা
কখনও এ কোরআনে
বিশ্বাস করব
না এবং এর
পূর্ববর্তী
কিতাবেও নয়। আপনি
যদি
পাপিষ্ঠদেরকে দেখতেন, যখন
তাদেরকে
তাদের
পালনকর্তার
সামনে দাঁড় করানো
হবে, , তখন তারা
পরস্পর কথা
কাটাকাটি
করবে। যাদেরকে
দুর্বল মনে
করা হত, তারা
অহংকারীদেরকে
বলবে, তোমরা না থাকলে আমরা
অবশ্যই মুমিন
হতাম।
[34:32]
অহংকারীরা
দুর্বলকে
বলবে, তোমাদের
কাছে
হেদায়েত
আসার পর আমরা
কি তোমাদেরকে
বাধা
দিয়েছিলাম? বরং
তোমরাই তো
ছিলে অপরাধী।
[34:33]
দুর্বলরা
অহংকারীদেরকে
বলবে, বরং
তোমরাই তো
দিবারাত্রি
চক্রান্ত করে
আমাদেরকে
নির্দেশ দিতে
যেন আমরা
আল্লাহকে না মানি এবং
তাঁর অংশীদার
সাব্যস্ত করি
তারা যখন
শাস্তি দেখবে, তখন
মনের অনুতাপ মনেই রাখবে। বস্তুতঃ
আমি কাফেরদের
গলায় বেড়ী
পরাব। তারা
সে প্রতিফলই
পেয়ে থাকে
যা তারা করত।
[34:34]
কোন
জনপদে
সতর্ককারী
প্রেরণ করা
হলেই তার
বিত্তশালী
অধিবাসীরা
বলতে শুরু
করেছে, তোমরা যে
বিষয়সহ
প্রেরিত হয়েছ, আমরা
তা মানি না।
[34:35]
তারা
আরও বলেছে, আমরা
ধনে-জনে সমৃদ্ধ, সুতরাং
আমরা
শাস্তিপ্রাপ্ত
হব না।
[34:36]
বলুন, আমার
পালনকর্তা
যাকে ইচ্ছা
রিযিক
বাড়িয়ে দেন
এবং পরিমিত
দেন। কিন্তু
অধিকাংশ
মানুষ তা বোঝে
না।
[34:37]
তোমাদের
ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি
তোমাদেরকে
আমার নিকটবর্তী
করবে না। তবে
যারা বিশ্বাস
স্থাপন করে ও সৎকর্ম
করে, তারা
তাদের কর্মের
বহুগুণ
প্রতিদান
পাবে এবং তারা
সুউচ্চ
প্রাসাদে নিরাপদে
থাকবে।
[34:38]
আর
যারা আমার
আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করার
অপপ্রয়াসে
লিপ্ত হয়, তাদেরকে
আযাবে
উপস্থিত করা
হবে।
[34:39]
বলুন, আমার
পালনকর্তা
তাঁর বান্দাদের
মধ্যে যাকে
ইচ্ছা রিযিক
বাড়িয়ে দেন
এবং সীমিত
পরিমাণে দেন। তোমরা
যা কিছু
ব্যয় কর, তিনি
তার বিনিময়
দেন। তিনি
উত্তম রিযিক
দাতা।
[34:40]
যেদিন
তিনি তাদের
সবাইকে একত্রিত
করবেন এবং
ফেরেশতাদেরকে
বলবেন, এরা কি
তোমাদেরই
পূজা করত?
[34:41]
ফেরেশতারা
বলবে, আপনি
পবিত্র, আমরা
আপনার পক্ষে, তাদের
পক্ষে নই, বরং
তারা জিনদের
পূজা করত। তাদের
অধিকাংশই শয়তানে
বিশ্বাসী।
[34:42]
অতএব
আজকের দিনে
তোমরা একে অপরের কোন
উপকার ও অপকার
করার অধিকারী
হবে না আর আমি
জালেমদেরকে
বলব, তোমরা আগুনের যে
শাস্তিকে
মিথ্যা বলতে
তা আস্বাদন কর।
[34:43]
যখন
তাদের কাছে
আমার
সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ
তেলাওয়াত
করা হয়, তখন
তারা বলে, তোমাদের
বাপ-দাদারা
যার এবাদত করত এ লোকটি যে তা
থেকে
তোমাদেরকে
বাধা দিতে
চায়। তারা
আরও বলে, এটা
মনগড়া
মিথ্যা বৈ
নয়। আর
কাফেরদের
কাছে যখন সত্য
আগমন করে, তখন তারা
বলে, এতো এক
সুস্পষ্ট যাদু।
[34:44]
আমি
তাদেরকে কোন
কিতাব দেইনি, যা
তারা অধ্যয়ন
করবে এবং
আপনার পূর্বে
তাদের কাছে
কোন
সতর্ককারী
প্রেরণ করিনি।
[34:45]
তাদের
পূর্ববর্তীরাও
মিথ্যা আরোপ
করেছে। আমি
তাদেরকে যা
দিয়েছিলাম, এরা
তার এক
দশমাংশও
পায়নি। এরপরও
তারা আমার
রাসূলগনকে
মিথ্যা বলেছে। অতএব
কেমন হয়েছে
আমার শাস্তি।
[34:46]
বলুন, আমি
তোমাদেরকে
একটি বিষয়ে
উপদেশ
দিচ্ছিঃ
তোমরা
আল্লাহর নামে
এক একজন করে ও
দু, দু জন করে
দাঁড়াও, অতঃপর
চিন্তা-ভাবনা
কর-তোমাদের
সঙ্গীর মধ্যে
কোন উম্মাদনা
নেই। তিনি
তো আসন্ন কাঠোর
শাস্তি
সম্পর্কে
তোমাদেরকে
সতর্ক করেন
মাত্র।
[34:47]
বলুন, আমি
তোমাদের কাছে
কোন পারিশ্রমিক
চাই না বরং তা
তোমরাই রাখ। আমার
পুরস্কার তো
আল্লাহর কাছে
রয়েছে। প্রত্যেক
বস্তুই তাঁর
সামনে।
[34:48]
বলুন, আমার
পালনকর্তা
সত্য দ্বীন
অবতরণ করেছেন। তিনি
আলেমুল গায়ব।
[34:49]
বলুন, সত্য
আগমন করেছে
এবং অসত্য
না পারে নতুন
কিছু সৃজন
করতে এবং না
পারে পূনঃ
প্রত্যাবর্তিত
হতে।
[34:50]
বলুন, আমি
পথভ্রষ্ট হলে
নিজের ক্ষতির
জন্যেই
পথভ্রষ্ট হব; আর
যদি আমি সৎপথ
প্রাপ্ত হই, তবে
তা এ জন্যে যে, আমার
পালনকর্তা
আমার প্রতি
ওহী প্রেরণ
করেন। নিশ্চয়
তিনি
সর্বশ্রোতা, নিকটবর্তী।
[34:51]
যদি
আপনি দেখতেন, যখন
তারা ভীতসস্ত্রস্ত
হয়ে পড়বে, অতঃপর
পালিয়েও
বাঁচতে পারবে
না এবং নিকটবর্তী
স্থান থেকে
ধরা পড়বে।
[34:52]
তারা
বলবে, আমরা
সত্যে
বিশ্বাস স্থাপন
করলাম। কিন্তু
তারা এতদূর
থেকে তার
নাগাল পাবে
কেমন করে?
[34:53]
অথচ
তারা পূর্ব
থেকে সত্যকে অস্বীকার
করছিল। আর
তারা সত্য হতে
দূরে থেকে
অজ্ঞাত
বিষয়ের উপর
মন্তব্য করত।
[34:54]
তাদের
ও তাদের
বাসনার মধ্যে অন্তরাল
হয়ে গেছে, যেমন-তাদের
সতীর্থদের
সাথেও এরূপ
করা হয়েছে, যারা
তাদের পূর্বে
ছিল। তারা
ছিল
বিভ্রান্তিকর
সন্দেহে পতিত।
35 Fâtir
শুরু
করছি আল্লাহর
নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি
দয়ালু।
[35:1]
সমস্ত
প্রশংসা
আল্লাহর, যিনি আসমান ও
যমীনের
স্রষ্টা এবং
ফেরেশতাগণকে
করেছেন
বার্তাবাহক-তারা
দুই দুই, তিন তিন ও চার চার
পাখাবিশিষ্ট। তিনি
সৃষ্টি মধ্যে
যা ইচ্ছা যোগ
করেন। নিশ্চয় আল্লাহ
সর্ববিষয়ে
সক্ষম।
[35:2]
আল্লাহ
মানুষের জন্য
অনুগ্রহের মধ্য থেকে যা
খুলে দেন, তা
ফেরাবার কেউ
নেই এবং তিনি
যা বারণ করেন, তা
কেউ প্রেরণ
করতে পারে না
তিনি ব্যতিত। তিনি
পরাক্রমশালী
প্রজ্ঞাময়।
[35:3]
হে
মানুষ, তোমাদের
প্রতি আল্লাহর
অনুগ্রহ
স্মরণ কর। আল্লাহ
ব্যতীত এমন
কোন স্রষ্টা
আছে কি, যে
তোমাদেরকে আসমান ও যমীন
থেকে রিযিক
দান করে? তিনি
ব্যতীত কোন
উপাস্য নেই। অতএব
তোমরা কোথায়
ফিরে যাচ্ছ?
[35:4]
তারা
যদি আপনাকে
মিথ্যাবাদী বলে, তবে
আপনার
পূর্ববর্তী
পয়গম্বরগণকেও
তো মিথ্যাবাদী
বলা হয়েছিল। আল্লাহর প্রতিই
যাবতীয়
বিষয়
প্রত্যাবর্তিত
হয়।
[35:5]
হে
মানুষ, নিশ্চয়
আল্লাহর ওয়াদা
সত্য। সুতরাং, পার্থিব
জীবন যেন
তোমাদেরকে
প্রতারণা না
করে। এবং
সেই প্রবঞ্চক
যেন কিছুতেই
তোমাদেরকে
আল্লাহ সম্পর্কে
প্রবঞ্চিত না
করে।
[35:6]
শয়তান
তোমাদের
শত্রু; অতএব তাকে শত্রু
রূপেই গ্রহণ
কর। সে তার
দলবলকে আহবান
করে যেন তারা
জাহান্নামী
হয়।
[35:7]
যারা
কুফর করে
তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর
আযাব। আর
যারা ঈমান আনে
ও সৎকর্ম
করে, তাদের
জন্যে রয়েছে
ক্ষমা ও মহা
পুরস্কার।
[35:8]
যাকে
মন্দকর্ম
শোভনীয় করে দেখানো হয়, সে
তাকে উত্তম
মনে করে, সে কি
সমান যে
মন্দকে মন্দ
মনে করে। নিশ্চয় আল্লাহ যাকে
ইচ্ছা
পথভ্রষ্ট
করেন এবং যাকে
ইচছা সৎপথ
প্রদর্শন
করেন। সুতরাং
আপনি তাদের
জন্যে অনুতাপ
করে নিজেকে
ধ্বংস করবেন না। নিশ্চয়ই
আল্লাহ জানেন
তারা যা করে।
[35:9]
আল্লাহই
বায়ু প্রেরণ
করেন, অতঃপর সে
বায়ু
মেঘমালা সঞ্চারিত
করে। অতঃপর
আমি তা মৃত
ভূ-খন্ডের
দিকে
পরিচালিত করি, অতঃপর
তদ্বারা সে
ভূ-খন্ডকে তার
মৃত্যুর পর সঞ্জীবিত
করে দেই। এমনিভাবে
হবে পুনরুত্থান।
[35:10]
কেউ
সম্মান চাইলে
জেনে রাখুন, সমস্ত
সম্মান
আল্লাহরই
জন্যে। তাঁরই
দিকে আরোহণ
করে সৎবাক্য
এবং সৎকর্ম
তাকে তুলে
নেয়। যারা
মন্দ কার্যের
চক্রান্তে
লেগে থাকে, তাদের
জন্যে রয়েছে
কঠোর শাস্তি। তাদের
চক্রান্ত
ব্যর্থ হবে।
[35:11]
আল্লাহ
তোমাদেরকে
সৃষ্টি করেছেন
মাটি থেকে, অতঃপর
বীর্য থেকে, তারপর
করেছেন
তোমাদেরকে
যুগল। কোন
নারী গর্ভধারণ
করে না এবং
সন্তান প্রসব
করে না; কিন্তু
তাঁর
জ্ঞাতসারে। কোন
বয়স্ক ব্যক্তি
বয়স পায় না। এবং
তার বয়স
হ্রাস পায় না; কিন্তু
তা লিখিত আছে
কিতাবে। নিশ্চয় এটা
আল্লাহর
পক্ষে সহজ।
[35:12]
দু’টি
সমুদ্র সমান
হয় না-একটি মিঠা ও
তৃষ্ণানিবারক
এবং অপরটি
লোনা। ঊভয়টি
থেকেই তোমরা
তাজা গোশত (মৎস) আহার কর
এবং পরিধানে
ব্যবহার্য
গয়নাগাটি
আহরণ কর। তুমি
তাতে তার বুক
চিরে জাহাজ
চলতে দেখ, যাতে
তোমরা তার
অনুগ্রহ
অন্বেষণ কর
এবং যাতে তোমরা
কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ কর।
[35:13]
তিনি
রাত্রিকে
দিবসে
প্রবিষ্ট করেন এবং
দিবসকে
রাত্রিতে
প্রবিষ্ট
করেন। তিনি
সূর্য ও
চন্দ্রকে
কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকটি
আবর্তন করে এক
নির্দিষ্ট
মেয়াদ
পর্যন্ত। ইনি
আল্লাহ; তোমাদের
পালনকর্তা, সাম্রাজ্য
তাঁরই। তাঁর
পরিবর্তে
তোমরা
যাদেরকে ডাক, তারা তুচ্ছ খেজুর
আঁটিরও
অধিকারী নয়।
[35:14]
তোমরা
তাদেরকে
ডাকলে তারা তোমাদের সে
ডাক শুনে না। শুনলেও
তোমাদের ডাকে
সাড়া দেয় না। কেয়ামতের
দিন তারা তোমাদের
শেরক
অস্বীকার
করবে। বস্তুতঃ
আল্লাহর
ন্যায়
তোমাকে কেউ
অবহিত করতে পারবে না।
[35:15]
হে
মানুষ, তোমরা
আল্লাহর গলগ্রহ। আর
আল্লাহ; তিনি
অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।
[35:16]
তিনি
ইচ্ছা করলে
তোমাদেরকে বিলুপ্ত করে
এক নতুন সৃষ্টির
উদ্ভব করবেন।
[35:17]
এটা
আল্লাহর
পক্ষে কঠিন
নয়।
[35:18]
কেউ
অপরের বোঝা
বহন করবে না। কেউ যদি তার
গুরুতর ভার
বহন করতে
অন্যকে আহবান
করে কেউ তা
বহন করবে
না-যদি সে নিকটবর্তী
আত্নীয়ও হয়। আপনি
কেবল তাদেরকে
সতর্ক করেন, যারা
তাদের
পালনকর্তাকে না দেখেও ভয়
করে এবং নামায
কায়েম করে। যে
কেউ নিজের
সংশোধন করে, সে
সংশোধন করে, স্বীয়
কল্যাণের
জন্যেই
আল্লাহর
নিকটই সকলের
প্রত্যাবর্তন।
[35:19]
দৃষ্টিমান
ও দৃষ্টিহীন
সমান নয়।
[35:20]
সমান
নয় অন্ধকার ও
আলো।
[35:21]
সমান
নয় ছায়া ও
তপ্তরোদ।
[35:22]
আরও
সমান নয়
জীবিত ও মৃত। আল্লাহ
শ্রবণ করান
যাকে ইচ্ছা। আপনি
কবরে
শায়িতদেরকে
শুনাতে সক্ষম
নন।
[35:23]
আপনি
তো কেবল একজন
সতর্ককারী।
[35:24]
আমি
আপনাকে
সত্যধর্মসহ পাঠিয়েছি
সংবাদদাতা ও
সতর্ককারীরূপে। এমন
কোন
সম্প্রদায়
নেই যাতে
সতর্ককারী আসেনি।
[35:25]
তারা
যদি আপনার
প্রতি মিথ্যারোপ
করে, তাদের
পূর্ববর্তীরাও
মিথ্যারোপ
করেছিল। তাদের
কাছে তাদের
রসূলগণ স্পষ্ট
নিদর্শন, সহীফা
এবং উজ্জল
কিতাবসহ
এসেছিলেন।
[35:26]
অতঃপর
আমি
কাফেরদেরকে
ধৃত করেছিলাম। কেমন
ছিল আমার
আযাব!
[35:27]
তুমি
কি দেখনি
আল্লাহ আকাশ থেকে
বৃষ্টিবর্ষণ
করেন, অতঃপর
তদ্দ্বারা
আমি বিভিন্ন
বর্ণের ফল-মূল
উদগত করি। পর্বতসমূহের
মধ্যে রয়েছে
বিভিন্ন
বর্ণের গিরিপথ-সাদা, লাল
ও নিকষ কালো
কৃষ্ণ।
[35:28]
অনুরূপ
ভাবে বিভিন্ন
বর্ণের মানুষ, জন্তু, চতুস্পদ
প্রাণী
রয়েছে। আল্লাহর
বান্দাদের
মধ্যে
জ্ঞানীরাই
কেবল তাঁকে
ভয় করে। নিশ্চয়
আল্লাহ
পরাক্রমশালী
ক্ষমাময়।
[35:29]
যারা
আল্লাহর
কিতাব পাঠ করে, নামায
কায়েম করে, এবং
আমি যা
দিয়েছি, তা
থেকে গোপনে ও
প্রকাশ্যে
ব্যয় করে, তারা
এমন ব্যবসা
আশা কর, যাতে
কখনও লোকসান
হবে না।
[35:30]
পরিণামে
তাদেরকে
আল্লাহ তাদের সওয়াব
পুরোপুরি
দেবেন এবং নিজ
অনুগ্রহে আরও
বেশী দেবেন। নিশ্চয়
তিনি
ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।
[35:31]
আমি
আপনার প্রতি
যে কিতাব প্রত্যাদেশ
করেছি, তা
সত্য-পূর্ববর্তী
কিতাবের
সত্যায়ন
কারী নিশ্চয়
আল্লাহ তাঁর
বান্দাদের
ব্যাপারে সব
জানেন, দেখেন।
[35:32]
অতঃপর
আমি কিতাবের
অধিকারী করেছি
তাদেরকে
যাদেরকে আমি
আমার
বান্দাদের
মধ্য থেকে
মনোনীত করেছি। তাদের
কেউ কেউ
নিজের প্রতি
অত্যাচারী, কেউ
মধ্যপন্থা
অবলম্বনকারী
এবং তাদের
মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহর
নির্দেশক্রমে
কল্যাণের পথে
এগিয়ে গেছে। এটাই
মহা অনুগ্রহ।
[35:33]
তারা
প্রবেশ করবে
বসবাসের জান্নাতে। তথায়
তারা স্বর্ণনির্মিত, মোতি
খচিত কংকন
দ্বারা
অলংকৃত হবে। সেখানে তাদের পোশাক
হবে রেশমের।
[35:34]
আর
তারা
বলবে-সমস্ত
প্রশংসা আল্লাহর, যিনি
আমাদের দূঃখ
দূর করেছেন। নিশ্চয়
আমাদের
পালনকর্তা
ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।
[35:35]
যিনি
স্বীয়
অনুগ্রহে
আমাদেরকে বসবাসের
গৃহে স্থান
দিয়েছেন, তথায়
কষ্ট
আমাদেরকে
স্পর্শ করে না
এবং স্পর্শ
করে না
ক্লান্তি।
[35:36]
আর
যারা কাফের
হয়েছে, তাদের জন্যে
রয়েছে
জাহান্নামের
আগুন। তাদেরকে
মৃত্যুর
আদেশও দেয়া
হবে না যে, তারা মরে যাবে এবং তাদের
থেকে তার শাস্তিও
লাঘব করা হবে না। আমি প্রত্যেক
অকৃতজ্ঞকে এভাবেই শাস্তি
দিয়ে থাকি।
[35:37]
সেখানে
তারা আর্ত চিৎকার করে বলবে, হে আমাদের
পালনকর্তা, বের করুন
আমাদেরকে, আমরা
সৎকাজ করব, পূর্বে
যা করতাম, তা করব
না। (আল্লাহ বলবেন)
আমি কি তোমাদেরকে
এতটা বয়স দেইনি, যাতে
যা চিন্তা
করার বিষয় চিন্তা
করতে পারতে? উপরন্তু
তোমাদের কাছে সতর্ককারীও
আগমন করেছিল। অতএব
আস্বাদন কর। জালেমদের
জন্যে কোন সাহায্যকারী
নেই।
[35:38]
আল্লাহ
আসমান ও যমীনের
অদৃশ্য বিষয়
সম্পর্কে জ্ঞাত। তিনি
অন্তরের বিষয়
সম্পর্কেও সবিশেষ
অবহিত।
[35:39]
তিনিই
তোমাদেরকে পৃথিবীতে স্বীয় প্রতিনিধি
করেছেন। অতএব
যে কুফরী করবে
তার কুফরী তার
উপরই বর্তাবে। কাফেরদের কুফর
কেবল তাদের পালনকর্তার
ক্রোধই বৃদ্ধি
করে এবং কাফেরদের
কুফর কেবল তাদের ক্ষতিই
বৃদ্ধি করে।
[35:40]
বলুন, তোমরা
কি তোমাদের সে শরীকদের কথা ভেবে
দেখেছ, যাদেরকে আল্লাহর
পরিবর্তে তোমরা
ডাক? তারা পৃথিবীতে কিছু সৃষ্টি করে
থাকলে আমাকে দেখাও। না আসমান
সৃষ্টিতে তাদের
কোন অংশ আছে, না আমি তাদেরকে কোন
কিতাব দিয়েছি
যে, তারা তার দলীলের
উপর কায়েম রয়েছে, বরং জালেমরা একে অপরকে
কেবল প্রতারণামূলক
ওয়াদা দিয়ে থাকে।
[35:41]
নিশ্চয়
আল্লাহ আসমান ও
যমীনকে স্থির
রাখেন, যাতে টলে না
যায়। যদি এগুলো
টলে যায় তবে তিনি
ব্যতীত কে এগুলোকে স্থির রাখবে? তিনি
সহনশীল, ক্ষমাশীল।
[35:42]
তারা
জোর শপথ করে বলত, তাদের কাছে কোন সতর্ককারী
আগমন করলে তারা
অন্য যে কোন সম্প্রদায়
অপেক্ষা অধিকতর
সৎপথে চলবে। অতঃপর
যখন তাদের কাছে
সতর্ককারী আগমন
করল, তখন তাদের
ঘৃণাই কেবল বেড়ে গেল।
[35:43]
পৃথিবীতে
ঔদ্ধত্যের কারণে
এবং কুচক্রের
কারণে। কুচক্র
কুচক্রীদেরকেই
ঘিরে ধরে। তারা
কেবল পূর্ববর্তীদের
দশারই অপেক্ষা
করছে। অতএব আপনি
আল্লাহর বিধানে
পরিবর্তন পাবেন
না এবং আল্লাহর রীতি-নীতিতে কোন
রকম বিচ্যুতিও
পাবেন না।
[35:44]
তারা
কি পৃথিবীতে ভ্রমণ
করে না? করলে
দেখত তাদের পূর্ববর্তীদের
কি পরিণাম হয়েছে। অথচ তারা
তাদের অপেক্ষা অধিকতর শক্তিশালী
ছিল। আকাশ ও
পৃথিবীতে কোন কিছুই
আল্লাহকে অপারগ
করতে পারে না। নিশ্চয় তিনি
সর্বজ্ঞ সর্বশক্তিমান।
[35:45]
যদি
আল্লাহ মানুষকে
তাদের কৃতকর্মের
কারণে পাকড়াও
করতেন, তবে ভুপৃষ্ঠে
চলমানকাউকে ছেড়ে
দিতেন না। কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট
মেয়াদ পর্যন্ত
তাদেরকে অবকাশ
দেন। অতঃপর
যখন সে নির্দিষ্ট মেয়াদ এসে যাবে
তখন আল্লাহর সব
বান্দা তাঁর দৃষ্টিতে
থাকবে।
36 Yâ-Sîn
শুরু
করছি আল্লাহর
নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি
দয়ালু।
[36:1]
ইয়া-সীন
[36:2]
প্রজ্ঞাময়
কোরআনের কসম।
[36:3]
নিশ্চয়
আপনি প্রেরিত রসূলগণের একজন।
[36:4]
সরল
পথে প্রতিষ্ঠিত।
[36:5]
কোরআন
পরাক্রমশালী পরম
দয়ালু আল্লাহর
তরফ থেকে অবতীর্ণ,
[36:6]
যাতে
আপনি এমন এক জাতিকে
সতর্ক করেন, যাদের
পূর্ব পুরুষগণকেও
সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা
গাফেল।
[36:7]
তাদের
অধিকাংশের জন্যে
শাস্তির বিষয়
অবধারিত হয়েছে। সুতরাং
তারা বিশ্বাস স্থাপন
করবে না।
[36:8]
আমি
তাদের গর্দানে
চিবুক পর্যন্ত
বেড়ী পরিয়েছি। ফলে তাদের
মস্তক উর্দ্ধমুখী
হয়ে গেছে।
[36:9]
আমি
তাদের সামনে ও
পিছনে প্রাচীর
স্থাপন করেছি, অতঃপর
তাদেরকে আবৃত করে
দিয়েছি, ফলে তারা
দেখে না।
[36:10]
আপনি
তাদেরকে সতর্ক
করুন বা না করুন, তাদের পক্ষে
দুয়েই সমান; তারা
বিশ্বাস স্থাপন
করবে না।
[36:11]
আপনি
কেবল তাদেরকেই
সতর্ক করতে পারেন, যারা উপদেশ
অনুসরণ করে এবং
দয়াময় আল্লাহকে
না দেখে ভয় করে। অতএব
আপনি তাদেরকে
সুসংবাদ দিয়ে
দিন ক্ষমা ও সম্মানজনক
পুরস্কারের।
[36:12]
আমিই
মৃতদেরকে জীবিত
করি এবং তাদের
কর্ম ও কীর্তিসমূহ
লিপিবদ্ধ করি। আমি প্রত্যেক
বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।
[36:13]
আপনি
তাদের কাছে সে
জনপদের অধিবাসীদের
দৃষ্টান্ত বর্ণনা
করুন, যখন সেখানে
রসূল আগমন করেছিলেন।
[36:14]
আমি
তাদের নিকট দুজন
রসূল প্রেরণ
করেছিলাম, অতঃপর
ওরা তাদেরকে মিথ্যা
প্রতিপন্ন করল। তখন আমি
তাদেরকে শক্তিশালী
করলাম তৃতীয় একজনের
মাধ্যমে। তারা
সবাই বলল, আমরা
তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
[36:15]
তারা
বলল, তোমরা তো আমাদের
মতই মানুষ, রহমান
আল্লাহ কিছুই নাযিল
করেননি। তোমরা
কেবল মিথ্যাই বলে
যাচ্ছ।
[36:16]
রাসূলগণ
বলল, আমাদের পরওয়ারদেগার
জানেন, আমরা অবশ্যই
তোমাদের প্রতি
প্রেরিত হয়েছি।
[36:17]
পরিস্কারভাবে
আল্লাহর বাণী পৌছে দেয়াই আমাদের
দায়িত্ব।
[36:18]
তারা
বলল, আমরা তোমাদেরকে অশুভ-অকল্যাণকর
দেখছি। যদি তোমরা
বিরত না হও, তবে অবশ্যই
তোমাদেরকে প্রস্তর বর্ষণে হত্যা
করব এবং আমাদের
পক্ষ থেকে তোমাদেরকে
যন্ত্রনাদায়ক
শাস্তি স্পর্শ করবে।
[36:19]
রসূলগণ
বলল, তোমাদের অকল্যাণ তোমাদের সাথেই!
এটা কি এজন্যে
যে, আমরা তোমাদেরকে
সদুপদেশ দিয়েছি? বস্তুতঃ তোমরা সীমা লংঘনকারী
সম্প্রদায় বৈ
নও।
[36:20]
অতঃপর
শহরের প্রান্তভাগ
থেকে এক ব্যক্তি
দৌড়ে এল। সে বলল, হে আমার
সম্প্রদায় তোমরা
রসূলগণের অনুসরণ
কর।
[36:21]
অনুসরণ
কর তাদের, যারা
তোমাদের কাছে
কোন বিনিময় কামনা
করে না, অথচ তারা সুপথ
প্রাপ্ত।
[36:22]
আমার
কি হল যে, যিনি
আমাকে সৃষ্টি
করেছেন এবং যার
কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত
হবে, আমি তাঁর এবাদত
করব না?
[36:23]
আমি
কি তাঁর পরিবর্তে অন্যান্যদেরকে
উপাস্যরূপে গ্রহণ
করব? করুণাময়
যদি আমাকে কষ্টে
নিপতিত করতে চান, তবে তাদের
সুপারিশ আমার কোনই
কাজে আসবে না এবং
তারা আমাকে রক্ষাও
করতে পারবে না।
[36:24]
এরূপ
করলে আমি প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায়
পতিত হব।
[36:25]
আমি
নিশ্চিতভাবে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি
বিশ্বাস স্থাপন
করলাম। অতএব
আমার কাছ থেকে
শুনে নাও।
[36:26]
তাকে
বলা হল, জান্নাতে
প্রবেশ কর। সে বলল
হায়, আমার সম্প্রদায়
যদি কোন ক্রমে
জানতে পারত-
[36:27]
যে
আমার পরওয়ারদেগার
আমাকে ক্ষমা
করেছেন এবং আমাকে
সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত
করেছেন।